Ajker Patrika

আইসিইউর লিফট নিয়ে হতাশা, গণপূর্তে চিঠি

  • ‘এ’ গ্রেডের বদলে লাগানো হয়েছিল ‘সি’ গ্রেডের লিফট।
  • খুলে নেওয়ার ১১ মাস পরও নতুন লিফট আসেনি।
  • আইসিইউ বিভাগের রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ।
  • চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে ওই লিফট স্থাপনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের একটি ভবনের পঞ্চম তলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ইউনিট চালু করা হয়েছে। দরপত্রে শর্ত ছিল, ‘এ’ গ্রেডের ফায়ার প্রটেক্টেড বেড কাম প্যাসেঞ্জার লিফট লাগানো হবে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাগিয়ে দিয়েছিল ‘সি’ গ্রেডের লিফট। ধরা পড়ার পর এই লিফট খুলে নেওয়া হলে ১১ মাসেও নতুন লিফট আসেনি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন সেখানে লিফট স্থাপনের ‘বাস্তব সম্ভাবনা’ দেখছে না। এ কথা জানিয়ে ২১ এপ্রিল রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে ওই লিফট স্থাপনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে হাসপাতালের পরিচালক প্রধান প্রকৌশলীকে লিখেছেন, ‘রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি অত্যাধুনিক ৪০ বেডের আইসিইউ স্থাপিত হয়েছে এবং গত বছরের ১১ মার্চ থেকে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চলছে। প্রতিদিন সেটি মুমূর্ষু রোগী দিয়ে পূর্ণ থাকে এবং অনেক রোগী অপেক্ষমাণ থাকে। এই আইসিইউর জন্য গত বছরের মে মাসে একটি লিফট স্থাপন করা হয়, যা টেন্ডারের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী না হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর আপত্তিতে তা অপসারিত হয়।’

হাসপাতালের পরিচালক আরও লেখেন, ‘পরে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ওই লিফট নতুন করে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী জাপানে ম্যানুফ্যাকচার হচ্ছে, যা ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে স্থাপিত হবে। দুঃখজনকভাবে জানানো যাচ্ছে যে অদ্যাবধি ওই লিফট স্থাপিত হয়নি। নিকট সময়কালে তা স্থাপনের কোনো বাস্তব সম্ভাবনাও পরিলক্ষিত হচ্ছে না।’

গণপূর্ত বিভাগ থেকে জানা গেছে, আইসিইউ স্থাপনের ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার কাজটি পেয়েছিল রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রাদার্স কনস্ট্রাকশন। লিফটের জালিয়াতি ধরা পড়ার পর এ নিয়ে তদন্ত হয়েছিল। গত বছরের ৬ মে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী লিফট লাগানো হয়নি। চাওয়া হয়েছিল ‘এ’ গ্রেডের লিফট, সরবরাহ করা হয়েছে ‘সি’ গ্রেডের। এ দুই লিফটের দামের পার্থক্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা। দরপত্রে চাওয়া হয়েছিল ফায়ার প্রটেক্টেড লিফট, কিন্তু লাগিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ লিফট।

এই অনিয়ম ধরা পড়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে লিফট খুলে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন লিফট লাগানো হয়নি। ফলে পাঁচতলার আইসিইউর মুমূর্ষু রোগী ও তাঁদের স্বজনদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। রোগীদের অন্য লিফট ঘুরিয়ে আইসিইউতে নিতে বেশি সময় লাগছে। প্রতিদিন চিকিৎসক, নার্স ও রোগীর স্বজনদেরও দুর্ভোগ হচ্ছে।

জানতে চাইলে ব্রাদার্স কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ‘নতুন লিফট লাগাতে গিয়ে আমার প্রায় ৮০-৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসায়িক স্বার্থে তা-ও লাগাতে হচ্ছে। জাপানে লিফট প্রস্তুত হয়েছে। প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। তারা লিফট দেখে আসার প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এ জন্য রাজশাহী গণপূর্তের মাধ্যমে আমি একটি দরখাস্ত করেছি প্রধান প্রকৌশলীর কাছে। শুনেছি, প্রধান প্রকৌশলী সেটা আবার মন্ত্রণালয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় এখনো প্রতিনিধি মনোনীত করেনি। ফলে কেউ পরিদর্শনে যেতে পারছে না এবং লিফট আনা সম্ভব হচ্ছে না।’

সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ‘এর আগে একবার না দেখে লিফট এনে আমি বেকায়দায় পড়েছি। এবার না দেখিয়ে লিফট আনব না। বিষয়টি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত হয়ে আছে। এখন কার কারণে এটা হচ্ছে না, তা আমি বলব না।’

জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমি এ বিষয়গুলো জানি না। সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ভালো বলতে পারবেন।’

জানতে চাইলে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াত মুহাম্মদ শাকিউল আজম বলেন, ‘লিফট ম্যানুফ্যাকচারের লাস্ট স্টেজে আছে। জাপানি প্রতিষ্ঠানটি ইন্সপেকশনের জন্য চিঠি দিয়েছে। ঠিকাদার আবার মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। মন্ত্রণালয় এখনো অনুমোদন দেয়নি। অনুমোদন দিলে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিনিধি গিয়ে লিফট দেখে আসবে। তারপর শিপমেন্টে হয়তো দেড় মাস লাগবে লিফট আসতে।’ তিনি জানান, মন্ত্রণালয় যদি কাউকে পাঠানোর বিষয়টি অনুমোদন না করে, তাহলে অন্য উপায়ে অনলাইনের মাধ্যমে তাঁরা লিফট দেখবেন। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানটিকে জানাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মতি মিয়া (৬৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়াকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতি মিয়া ও তাঁর ছেলে ফারুক মিয়া দুজনেই শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় থাকতেন এবং মতি মিয়া ওই এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করতেন। ফারুক মিয়া সাধারণত ঢাকায় কাজ করলেও গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শিবচরে তাঁর বাবার কাছে আসেন এবং বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। গতকাল রোববার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা মতি মিয়ার সঙ্গে ছেলে ফারুক মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এই বিরোধের জেরে রাত ১২টার দিকে বাবা মতি মিয়া ঘুমিয়ে থাকলে ছেলে ফারুক মিয়া তাঁকে কোদাল (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ছেলে ফারুক মিয়া লাশের পাশেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে আটক করে।

স্থানীয়দের ধারণা, ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়।’ তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

নিহত মতি মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে প্রবর্তনার সামনে রাস্তার ওপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেয়ারটেকার ও আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়ী ওই প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ঘটনার কারণ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানিকগঞ্জে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল স্কুলবাস

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি  
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথুলী সংযোগ মোড়ে সারমানো সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের পাশে পার্কিং করে রাখা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন দেয়।

খবর পেয়ে শিবালয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে বাসটির আংশিক অংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল ৬টার দিকে উথুলী মোড় থেকে গিলন্ড পর্যন্ত ওই বাসে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করা হয়। প্রতিদিনের মতো রোববারও বাসটি উথুলী মোড়ে পার্কিং করে রাখা ছিল। সন্ধ্যার পর কে বা কারা বাসটিতে আগুন দেয়, তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কে বা কারা এ অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তা উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলতে বাধা, নিজের ঘরেই আগুন দিলেন যুবক

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০৯
আগুনে পুড়ছে বসতঘর। ছবি: সংগৃহীত
আগুনে পুড়ছে বসতঘর। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিজ বসতঘরে তুলতে না পারায় নিজের বসতঘর আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওমর ফারুক খবির (৩৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর ঘোড়ামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘরসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ফার্নিচার পুড়ে গেছে।

ওমর ফারুকের ভুক্তভোগী স্ত্রী সোনিয়া বেগমের (বর্তমানে সাবেক স্ত্রী) অভিযোগ, কয়েক মাস আগে তাঁর স্বামী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ওই মেয়েকে বিয়ে না করেই বাড়িতে রাখার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ঝগড়াবিবাদ হলে স্থানীয়ভাবে সালিসে বিষয়টি মীমাংসা হয়। পরে খবির তাঁকে না জানিয়ে অন্য এলাকায় গিয়ে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করেন এবং কিছুদিন পর সোনিয়াকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। সোনিয়াকে ডিভোর্স দিলেও তিনি সন্তান নিয়ে ওই বাড়িতেই বসবাস করছিলেন।

সোনিয়া বেগম বলেন, ‘আমাকে ও সন্তানদের সুখে থাকতে দেবে না বলে হুমকি দিত সে। এমনকি আগুনে পুড়িয়ে মারবে বলেছিল। ঘটনার রাতে সৌভাগ্যক্রমে আমি বোনের বাড়িতে ছিলাম। তাই প্রাণে বেঁচে গেছি।’

স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন, তবে ততক্ষণে ঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

সিরাজদিখান ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আরিফ আনোয়ার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, পছন্দের নারীকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতে না পারার ক্ষোভেই ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত