রাজশাহী প্রতিনিধি
সরকারি খালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর দুটি মার্কেট ভেঙে ফেলা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পবা উপজেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান শুরু করেন।
আব্বাস আলী কাটাখালী বাজারে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশে এ দুটি মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। ড্রেজার ও শ্রমিক দিয়ে সকালে নির্মাণাধীন মার্কেট দুটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। দুপুরের মধ্যেই কাজ অনেকটা এগিয়ে যায়। এ সময় মার্কেট দুটি ভাঙতে দেখে বাজারের ব্যবসায়ীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মেয়র আব্বাস আলী গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন। পুলিশ তাঁর ১০ দিন রিমান্ডের আবেদনও করেছে। পরপর দুবার নৌকা প্রতীকে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। তবে ম্যুরাল ইস্যুতে সমালোচনায় পড়লে আওয়ামী লীগের পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এবার তাঁর অবৈধ মার্কেটও ভাঙা পড়ল। কাটাখালী থানার পুলিশের সহায়তায় চলা উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকেই মার্কেটের মূল কাঠামো ভেঙে ফেলব। বাকি যেটুকু থাকবে, তা আগামীকাল রোববারের মধ্যেই শ্রমিক দিয়ে অপসারণ করা হবে।’
কাটাখালী বাজারকে মাঝে রেখে মহাসড়ক পার হয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে চলে গেছে একটি খাল। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ১৭ কোটি টাকায় খালটি সংস্কার করে। দুই পাড় বাঁধাই করা হয়। খালের দুই পাড়ে পিলার দিয়ে লকডাউনের সময় দুটি মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন মেয়র আব্বাস আলী। মহাসড়কের সেতুর দক্ষিণ পাশের মার্কেটটিতে ২১টি দোকান করার কথা ছিল। উত্তর পাশের দোতলা মার্কেটটিতে দোকান ছিল ছয়টি। দুটির কাঠামোয় দোতলা পর্যন্ত উঠেছিল। এরই মধ্যে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কিছু দোকান বরাদ্দ দিয়েছিলেন মেয়র।
দক্ষিণের মার্কেটটির কারণে পেছনে আড়াল হয়ে যায় ‘ছানা মার্কেট’। এতে সেখানকার ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় পড়েন। তাঁরা দোকানপাট ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। মার্কেট করার সময় ব্যবসায়ীদের মেয়র বোঝান, এটা পৌরসভার মার্কেট। এখানে ব্যবসায়ীদের কম ভাড়ায় দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। এতে পৌরসভার কিছুটা আয়ও হবে। বাস্তবে পৌরসভায় এ ধরনের মার্কেট নির্মাণের কোনো আলোচনা হয়নি। এ কারণে আটজন কাউন্সিলর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে পরপর তিনবার কাজ বন্ধ করান। উপজেলা ভূমি অফিসও এই মার্কেটের ব্যাপারে বিএমডিএকে একটি চিঠি দিয়েছিল। রহস্যজনক কারণে বিএমডিএ ভূমি অফিসকে এটি ‘ইতিবাচক’ বলেই জানিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে আসে। মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দিয়ে জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলে। গত ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ব্যস্ততা কাটলেই মার্কেট দুটি ভাঙা হবে। সে অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকে মার্কেট দুটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হলো।
সরকারি খালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর দুটি মার্কেট ভেঙে ফেলা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পবা উপজেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান শুরু করেন।
আব্বাস আলী কাটাখালী বাজারে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশে এ দুটি মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। ড্রেজার ও শ্রমিক দিয়ে সকালে নির্মাণাধীন মার্কেট দুটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। দুপুরের মধ্যেই কাজ অনেকটা এগিয়ে যায়। এ সময় মার্কেট দুটি ভাঙতে দেখে বাজারের ব্যবসায়ীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মেয়র আব্বাস আলী গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন। পুলিশ তাঁর ১০ দিন রিমান্ডের আবেদনও করেছে। পরপর দুবার নৌকা প্রতীকে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। তবে ম্যুরাল ইস্যুতে সমালোচনায় পড়লে আওয়ামী লীগের পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এবার তাঁর অবৈধ মার্কেটও ভাঙা পড়ল। কাটাখালী থানার পুলিশের সহায়তায় চলা উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকেই মার্কেটের মূল কাঠামো ভেঙে ফেলব। বাকি যেটুকু থাকবে, তা আগামীকাল রোববারের মধ্যেই শ্রমিক দিয়ে অপসারণ করা হবে।’
কাটাখালী বাজারকে মাঝে রেখে মহাসড়ক পার হয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে চলে গেছে একটি খাল। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ১৭ কোটি টাকায় খালটি সংস্কার করে। দুই পাড় বাঁধাই করা হয়। খালের দুই পাড়ে পিলার দিয়ে লকডাউনের সময় দুটি মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন মেয়র আব্বাস আলী। মহাসড়কের সেতুর দক্ষিণ পাশের মার্কেটটিতে ২১টি দোকান করার কথা ছিল। উত্তর পাশের দোতলা মার্কেটটিতে দোকান ছিল ছয়টি। দুটির কাঠামোয় দোতলা পর্যন্ত উঠেছিল। এরই মধ্যে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কিছু দোকান বরাদ্দ দিয়েছিলেন মেয়র।
দক্ষিণের মার্কেটটির কারণে পেছনে আড়াল হয়ে যায় ‘ছানা মার্কেট’। এতে সেখানকার ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় পড়েন। তাঁরা দোকানপাট ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। মার্কেট করার সময় ব্যবসায়ীদের মেয়র বোঝান, এটা পৌরসভার মার্কেট। এখানে ব্যবসায়ীদের কম ভাড়ায় দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। এতে পৌরসভার কিছুটা আয়ও হবে। বাস্তবে পৌরসভায় এ ধরনের মার্কেট নির্মাণের কোনো আলোচনা হয়নি। এ কারণে আটজন কাউন্সিলর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে পরপর তিনবার কাজ বন্ধ করান। উপজেলা ভূমি অফিসও এই মার্কেটের ব্যাপারে বিএমডিএকে একটি চিঠি দিয়েছিল। রহস্যজনক কারণে বিএমডিএ ভূমি অফিসকে এটি ‘ইতিবাচক’ বলেই জানিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে আসে। মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দিয়ে জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলে। গত ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ব্যস্ততা কাটলেই মার্কেট দুটি ভাঙা হবে। সে অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকে মার্কেট দুটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হলো।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে