Ajker Patrika

যুবদল নেতা হত্যার ১০ বছর পর মামলা, আসামি আ.লী-যুবলীগের নেতারা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ০৯
আসামি নবীদুল ইসলাম ও রিগেন তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত
আসামি নবীদুল ইসলাম ও রিগেন তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

২০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি জবান আলীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। হত্যার ১০ বছর পর আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জ সদর আমলী আদালতে মামলা করেন যুবদল নেতা জবান আলীর বড় ভাই আব্দুল হামিদ। মামলার এজাহারে এ তথ্য উল্লেখ করা আছে।

মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা আছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ হাজী মাসুদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলামের ভাই আব্দুল মমিন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিগেন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজল মন্ডল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নাসির উদ্দিন মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের বিচারক বিল্লাল হোসাইন মামলাটির শুনানি করেছেন। কাগজপত্র দেখে পরে আদেশ দেবেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের সঙ্গে মামলার বাদী ও তাঁর ভাই জবান আলীর রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে আসামিরা যুবদল নেতা জবান আলীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে জবান আলীকে মারপিট করে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে পরিকল্পনা করে।

২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি জবান আলী ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় য়ায়। ১৯ জানুয়ারি ঢাকা থেকে ফিরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের কড্ডার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা দুটি মাইক্রোবাসে জবান আলীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আসামিরা জবান আলীর মোবাইল ফোন থেকে তাঁর ভাই আব্দুল হামিদের মোবাইলে ফোন দিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

২০ জানুয়ারি বিকেলে আসামি নবীদুল ইসলামের বাড়িতে, হাজী মাসুদ, আব্দুল মমিন, মজনু ও রিগেন তালুকদারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়। তারপরও আসামিরা তাকে মুক্তি দেয়নি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুজির পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সদর উপজেলার কোনাগাতী ব্রিজ এলাকায় জবান আলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাইলে আসামিরা পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখায় এবং তাদেরও হত্যার হুমকি দেয়। এ কারণে ঘটনার সময় মামলা করতে পারেনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত