নওগাঁ প্রতিনিধি
পায়ে আলতা, খোঁপায় বাহারি ফুল, লাল-হলুদ শাড়ি আর ঢোল–মাদলের তালে তালে নাচ ও গানে মুখরিত চারপাশ। এ যেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের অফুরন্ত অবসর। বহু বছর ধরে এভাবেই কারাম উৎসব উদ্যাপন করে আসছে সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীগুলো। এটি মূলত বৃক্ষ পূজার উৎসব। সমতল ভূমির ওঁরাও, মুন্ডা, সাঁওতাল, মাহাতো, হাঁড়িসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষেরা নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরেন এই উৎসবে।
গতকাল রোববার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ডাকবাংলো মাঠে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা যোগ দেন। ঢোল, মাদল আর মন্দিরার তালে তালে তাঁরা নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি–ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে ডাক বাংলো মাঠে উৎসব উদ্যানের প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে মূল আয়োজনের শুরু হয় বিকেলে। এতে অংশ নেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ। এর আগে বিভিন্ন পল্লিতে কারাম ডাল পুঁতে তাতে নানা ধরনের ফুল বেঁধে দেওয়া হয়। প্রদীপ জ্বালিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও পূজা–অর্চনা করা হয়।
উৎসবে আসা কয়েকজন জানালেন, ‘গ্রামের অবিবাহিত তরুণীরা কারাম গাছের ডাল কেটে নিয়ে আসেন আগের দিন সন্ধ্যায়। পরে ডাল মাটিতে পুঁতে এর গায়ে নতুন গামছা পরানো হয়। এরপর বাঁশের ডালায় রাখা বালুমিশ্রিত মাটিতে বিভিন্ন শস্যের বীজ রেখে পূজা করা হয়। পূজা শেষে ডালটি উঠিয়ে গ্রামের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের নারী-পুরুষ নেচে গেয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ডালটি পুকুরে বিসর্জন দেয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল খালকো বলেন, ‘প্রতি বছর এই উৎসব ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি।’
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা মোশারফ চৌধুরী বলেন, ‘আদিবাসীরা প্রকৃতির পূজারি। তারা কারাম গাছের ডালকে পূজা করে। তাদের বিশ্বাস, প্রকৃতি তাদের ভালো রাখবে। এ বিশ্বাস থেকেই তারা এই উৎসব করে।’ পরিষদের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন মুকুল বলেন, ‘বৈশ্বিকভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে। আদিবাসীদের কাছ থেকে যদি প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা নেওয়া যেত তাহলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখতে হতো না।’
এদিকে ডাকবাংলো মাঠে নাচ-গান শেষে এক সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার। সমাবেশে বক্তারা বলেন, কারাম উৎসব শুধু নিছক বিনোদনের জন্য নয়। ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীগুলোর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে প্রধান অতিথি আয়োজকদের পক্ষ থেকে সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় রাজশাহী বিভাগের ৫ সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান করেন।
পায়ে আলতা, খোঁপায় বাহারি ফুল, লাল-হলুদ শাড়ি আর ঢোল–মাদলের তালে তালে নাচ ও গানে মুখরিত চারপাশ। এ যেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের অফুরন্ত অবসর। বহু বছর ধরে এভাবেই কারাম উৎসব উদ্যাপন করে আসছে সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীগুলো। এটি মূলত বৃক্ষ পূজার উৎসব। সমতল ভূমির ওঁরাও, মুন্ডা, সাঁওতাল, মাহাতো, হাঁড়িসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষেরা নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরেন এই উৎসবে।
গতকাল রোববার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ডাকবাংলো মাঠে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা যোগ দেন। ঢোল, মাদল আর মন্দিরার তালে তালে তাঁরা নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি–ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে ডাক বাংলো মাঠে উৎসব উদ্যানের প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে মূল আয়োজনের শুরু হয় বিকেলে। এতে অংশ নেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ। এর আগে বিভিন্ন পল্লিতে কারাম ডাল পুঁতে তাতে নানা ধরনের ফুল বেঁধে দেওয়া হয়। প্রদীপ জ্বালিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও পূজা–অর্চনা করা হয়।
উৎসবে আসা কয়েকজন জানালেন, ‘গ্রামের অবিবাহিত তরুণীরা কারাম গাছের ডাল কেটে নিয়ে আসেন আগের দিন সন্ধ্যায়। পরে ডাল মাটিতে পুঁতে এর গায়ে নতুন গামছা পরানো হয়। এরপর বাঁশের ডালায় রাখা বালুমিশ্রিত মাটিতে বিভিন্ন শস্যের বীজ রেখে পূজা করা হয়। পূজা শেষে ডালটি উঠিয়ে গ্রামের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের নারী-পুরুষ নেচে গেয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ডালটি পুকুরে বিসর্জন দেয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল খালকো বলেন, ‘প্রতি বছর এই উৎসব ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি।’
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা মোশারফ চৌধুরী বলেন, ‘আদিবাসীরা প্রকৃতির পূজারি। তারা কারাম গাছের ডালকে পূজা করে। তাদের বিশ্বাস, প্রকৃতি তাদের ভালো রাখবে। এ বিশ্বাস থেকেই তারা এই উৎসব করে।’ পরিষদের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন মুকুল বলেন, ‘বৈশ্বিকভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে। আদিবাসীদের কাছ থেকে যদি প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা নেওয়া যেত তাহলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখতে হতো না।’
এদিকে ডাকবাংলো মাঠে নাচ-গান শেষে এক সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার। সমাবেশে বক্তারা বলেন, কারাম উৎসব শুধু নিছক বিনোদনের জন্য নয়। ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীগুলোর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে প্রধান অতিথি আয়োজকদের পক্ষ থেকে সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় রাজশাহী বিভাগের ৫ সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান করেন।
ইঞ্জিনের হেডলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ মোবাইল ফোনের টর্চের আলোতে পাড়ি দিয়েছে তিতাস কমিউটার ট্রেন। গতকাল শনিবার (২১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গোড়ের পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেসম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে নাহিদ রাব্বি নামের একজন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ঘুষ লেনদেনের কথা স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
২৪ মিনিট আগেময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাসে অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও লরিসহ চারটি গাড়ির ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
১ ঘণ্টা আগে