Ajker Patrika

গোপনে নিয়োগ, ডিসি–ইউএনওসহ ১২ জনের নামে মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপনে নিয়োগ, ডিসি–ইউএনওসহ ১২ জনের নামে মামলা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঘুষ নিয়ে ভেন্যু পরিবর্তন করে গোপনে চার প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ এনে সিরাজগঞ্জে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)–সহ ১২ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। 

মামলাটির শুনানি শেষে বিবাদীদের ৩০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দিয়েছেন তাড়াশ সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. লোকমান হাকিম। আদালতের পেশকার মুনতাসীর মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গত ২২ জানুয়ারি তিন চাকরি প্রার্থী হাদিউল ইসলাম, জয় ইসলাম ও ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

মামলার বিবাদীরা হলেন—তাড়াশ উপজেলার গোন্তা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ টি. আর আব্দুল মান্নান, সভাপতি আতিকুর রহমান, তাড়াশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আবু নাঈম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সেলিম রেজা, নিরাপত্তাকর্মী মো: সাগর, আয়া স্বপ্না খাতুন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তাড়াশ উপজেলার গোন্তা আলিম মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী এবং আয়া পদে নিয়োগের জন্য ২০২৩ সালের ২৭ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন পদে যথা নিয়মে আবেদন করেন। গত ২১ জুলাই তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। পরে অনিয়মের অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষাটির আগের দিন পরীক্ষা স্থগিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এরপরও নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এ অবস্থায় একাধিক প্রার্থী চাকরির জন্য টাকা দিয়েও প্রতারিত হন। 

পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন কীটনাশক পান করেন এবং অপর এক প্রার্থী পরীক্ষার হলেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মাদ আবু নঈম নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে চলে যান। পরে পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করে 
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সভাপতি আতিকুর রহমান মিলে অবৈধভাবে অন্য কোনো প্রার্থীকে প্রবেশপত্র না দিয়ে গোপনে ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ওই চারটি পদে নিয়োগ সম্পন্ন করে বিল দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেন। 

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ নিয়োগের বিষয়ে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছিল। যখনই আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, আমি তদন্ত করতে দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেব। ম্যানেজিং কমিটি বা নিয়োগ কমিটি কোনোটিতেই আমি নেই।’ 

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমার নামে মামলা দায়েরের বিষয়টি আমি অবগত নই। কে কী কারণে মামলা করেছে সেটাও আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত