Ajker Patrika

গোয়ালন্দে আস্তানায় হামলা: ওসির পর এবার ইউএনও বদলি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
মো. নাহিদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
মো. নাহিদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আস্তানায় হামলার ৮ দিন পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। আজ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল হায়াত মো. রফিক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপণে তাঁকে (মো. নাহিদুর রহমান) ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

নিজের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বদলি সরকারি চাকরির একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। সেই অনুযায়ী হয়েছে, আর কিছু নয়।’

এর আগে গত শুক্রবার রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক আদেশে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (গত ৫ আগস্ট) জুমার নামাজের পর ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার আস্তানায় আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় পুলিশসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন। হামলায় নিহত হন রাসেল মোল্লা নামের এক যুবক।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। পরে নুরাল পাগলার লাশটি কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ওই দিন (শুক্রবার) রাতেই অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ছাড়া রাসেল মোল্লা নিহতের ঘটনায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজারজনকে আসামি করে মামলা করেন তাঁর বাবা আজাদ মোল্লা। মামলায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি ও জখমের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত