আনোয়ার হোসেন রায়হান, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের মির্জাপুর শাহি মসজিদটি মোগল আমলে তৈরি হয়েছিল। যদি কেউ এখানে আসেন, তাহলে ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি না দেখে ফিরে গেলে তাঁর পঞ্চগড় ভ্রমণটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী এই জেলায় অবস্থিত প্রাচীন মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকেরা।
মসজিদটি কবে নির্মিত হয়েছে, তা কেউ জানে না। জন্ম ইতিহাসের সবটাই অনুমান। বেশ কিছু অনুমানের ওপর বলা যায়, মসজিদটি ষোড়শ শতকের শেষের দিকে নির্মিত। আবার কেউ কেউ মনে করেন মসজিদটির জন্মসাল ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দ। কেন তা মনে করেন, তার কারণ হিসেবে বলেন, মির্জাপুর শাহি মসজিদটির সঙ্গে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদটির শৈলীর সাদৃশ্য আছে। এ থেকে ধারণা করা হয়, এ দুটি মসজিদ সমসাময়িক কালে নির্মিত। তবে মসজিদের দেয়াল থেকে উদ্ধার হয়েছে কিছু শিলালিপি, যা থেকে অনুমান করা হয়, ১৬৫৬ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদটি। ভারতের সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার শাসনামলে শাহি মসজিদের নির্মাণকাজ করা হয়েছে বলেও মনে করা হয়। মির্জাপুর গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মালিক উদ্দিন শাহি মসজিদ নির্মাণের কাজটি করলেও দোস্ত মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি এই মসজিদের নির্মাণকাজ সমাপ্ত করেন বলে জনশ্রুতি আছে।
তিন গম্বুজবিশিষ্ট মির্জাপুর শাহি মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট ও প্রস্থ ২৫ ফুট। মসজিদের মধ্যবর্তী দরজার উপরিভাগে নির্মাণ সম্পর্কে ফারসি ভাষায় লিখিত একটি ফলক রয়েছে। সেই ফলকের ভাষা ও লিপি থেকে ধারণা করা হয়, মোগল সম্রাট শাহ আলমের রাজত্বকালে এই মসজিদের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া মোগল স্থাপত্যরীতির বৈশিষ্ট্যে ভরপুর সুসজ্জিত মির্জাপুর শাহি মসজিদের গম্বুজের শীর্ষবিন্দু ক্রমহ্রাসমান বেল্ট দ্বারা যুক্ত।
মসজিদের দেয়ালে টেরাকোটা ফুল ও লতাপাতার বিভিন্ন খোদাই করা নকশা আছে, যা সহজেই আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। দেয়ালে যে সারি সারি নকশা আছে, সেগুলোর একটির সঙ্গে অন্যটির মিল পাওয়া যায় না। রয়েছে চার কোণে চারটি মিনার। সামনের দেয়ালের দরজার দুই পাশে গম্বুজের সঙ্গে মিল রেখে দুটি মিনার দৃশ্যমান। মসজিদের দেয়ালে ব্যবহার করা ইটগুলো চিকন, রক্তবর্ণ ও অলংকৃত এবং দেয়ালের চারপাশ ইসলামি ডোরাকাটা ফুল ও লতাপাতার নকশায় পরিপূর্ণ। মসজিদের মধ্যবর্তী দরজায় ফারসিলিপিখচিত মুদ্রার কালো ফলক, ফলকের লিপি ও ভাষা থেকে অনুমান করা যায়, মসজিদটি মোগল সম্রাট শাহ আলমের শাসনামলে নির্মিত হয়েছে।
অনেক দিন আগে প্রবল এক ভূমিকম্পে মসজিদটির বেশ কিছু অংশ ভেঙে যায়। তখন মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা মালিক উদ্দিন মসজিদের পুনঃসংস্কারের জন্য সুদূর ইরান থেকে কারিগর নিয়ে আসেন। এরপর থেকে আর কোনো প্রকার সংস্কারের কাজ হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান বলেন, আটোয়ারীর মির্জাপুর শাহি মসজিদ একটি প্রাচীন নিদর্শন। পঞ্চগড় জেলার যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে, তার মধ্যে এটি একটি। মসজিদের নিরাপত্তা ও পবিত্রতা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মসজিদটির কাছে এলে ইতিহাসের ছোঁয়া পাওয়া যায়। তার আকর্ষণেই আসে পর্যটক।
পঞ্চগড়ের মির্জাপুর শাহি মসজিদটি মোগল আমলে তৈরি হয়েছিল। যদি কেউ এখানে আসেন, তাহলে ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি না দেখে ফিরে গেলে তাঁর পঞ্চগড় ভ্রমণটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী এই জেলায় অবস্থিত প্রাচীন মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকেরা।
মসজিদটি কবে নির্মিত হয়েছে, তা কেউ জানে না। জন্ম ইতিহাসের সবটাই অনুমান। বেশ কিছু অনুমানের ওপর বলা যায়, মসজিদটি ষোড়শ শতকের শেষের দিকে নির্মিত। আবার কেউ কেউ মনে করেন মসজিদটির জন্মসাল ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দ। কেন তা মনে করেন, তার কারণ হিসেবে বলেন, মির্জাপুর শাহি মসজিদটির সঙ্গে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদটির শৈলীর সাদৃশ্য আছে। এ থেকে ধারণা করা হয়, এ দুটি মসজিদ সমসাময়িক কালে নির্মিত। তবে মসজিদের দেয়াল থেকে উদ্ধার হয়েছে কিছু শিলালিপি, যা থেকে অনুমান করা হয়, ১৬৫৬ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদটি। ভারতের সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার শাসনামলে শাহি মসজিদের নির্মাণকাজ করা হয়েছে বলেও মনে করা হয়। মির্জাপুর গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মালিক উদ্দিন শাহি মসজিদ নির্মাণের কাজটি করলেও দোস্ত মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি এই মসজিদের নির্মাণকাজ সমাপ্ত করেন বলে জনশ্রুতি আছে।
তিন গম্বুজবিশিষ্ট মির্জাপুর শাহি মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট ও প্রস্থ ২৫ ফুট। মসজিদের মধ্যবর্তী দরজার উপরিভাগে নির্মাণ সম্পর্কে ফারসি ভাষায় লিখিত একটি ফলক রয়েছে। সেই ফলকের ভাষা ও লিপি থেকে ধারণা করা হয়, মোগল সম্রাট শাহ আলমের রাজত্বকালে এই মসজিদের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া মোগল স্থাপত্যরীতির বৈশিষ্ট্যে ভরপুর সুসজ্জিত মির্জাপুর শাহি মসজিদের গম্বুজের শীর্ষবিন্দু ক্রমহ্রাসমান বেল্ট দ্বারা যুক্ত।
মসজিদের দেয়ালে টেরাকোটা ফুল ও লতাপাতার বিভিন্ন খোদাই করা নকশা আছে, যা সহজেই আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। দেয়ালে যে সারি সারি নকশা আছে, সেগুলোর একটির সঙ্গে অন্যটির মিল পাওয়া যায় না। রয়েছে চার কোণে চারটি মিনার। সামনের দেয়ালের দরজার দুই পাশে গম্বুজের সঙ্গে মিল রেখে দুটি মিনার দৃশ্যমান। মসজিদের দেয়ালে ব্যবহার করা ইটগুলো চিকন, রক্তবর্ণ ও অলংকৃত এবং দেয়ালের চারপাশ ইসলামি ডোরাকাটা ফুল ও লতাপাতার নকশায় পরিপূর্ণ। মসজিদের মধ্যবর্তী দরজায় ফারসিলিপিখচিত মুদ্রার কালো ফলক, ফলকের লিপি ও ভাষা থেকে অনুমান করা যায়, মসজিদটি মোগল সম্রাট শাহ আলমের শাসনামলে নির্মিত হয়েছে।
অনেক দিন আগে প্রবল এক ভূমিকম্পে মসজিদটির বেশ কিছু অংশ ভেঙে যায়। তখন মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা মালিক উদ্দিন মসজিদের পুনঃসংস্কারের জন্য সুদূর ইরান থেকে কারিগর নিয়ে আসেন। এরপর থেকে আর কোনো প্রকার সংস্কারের কাজ হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান বলেন, আটোয়ারীর মির্জাপুর শাহি মসজিদ একটি প্রাচীন নিদর্শন। পঞ্চগড় জেলার যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে, তার মধ্যে এটি একটি। মসজিদের নিরাপত্তা ও পবিত্রতা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মসজিদটির কাছে এলে ইতিহাসের ছোঁয়া পাওয়া যায়। তার আকর্ষণেই আসে পর্যটক।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আলকিরহাট গ্রামে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মো. চান মিয়া নামে এক দরিদ্র চা-দোকানির বসতবাড়িসহ দোকানঘরসংলগ্ন জমি লিখে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ওই গ্রামের ‘আলকিরহাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি.’-এর পরিচালক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী...
১ ঘণ্টা আগেট্রেন যাত্রীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ সোমবার ভোর চারটার দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া রেল স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছালে বিকট শব্দে এর তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এসময় ট্রেনের সহস্রাধিক যাত্রী আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নিচে নেমে আসেন।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে অন্তত আটটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম কুমারভোগ জামে মসজিদসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাকে সুস্থ করতে জরুরিভাবে অপারেশন দরকার। অপারেশন করাতে ছয় লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই টাকা পরিবারের নেই। প্রায় পাঁচ বছর ধরে শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবারটি। এখন একসঙ্গে এতগুলো টাকা জোগাড় করতে পরিবারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
২ ঘণ্টা আগে