Ajker Patrika

এক মাস ধরে যমুনায় ভাঙন অব্যাহত, দিশেহারা নদীপারের বাসিন্দারা

­­শাহীন রহমান, পাবনা
বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভাঙন শুরু হয়েছে যমুনা নদীতে। ভাঙছে বসতবাড়ি। বুধবার দুপুরে পাবনার বেড়া উপজেলার চর বক্তারপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভাঙন শুরু হয়েছে যমুনা নদীতে। ভাঙছে বসতবাড়ি। বুধবার দুপুরে পাবনার বেড়া উপজেলার চর বক্তারপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা

এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভাঙন শুরু হয়েছে পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদীতে। প্রায় এক মাস ধরে এই ভাঙন অব্যাহত থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে নদীপারের বাসিন্দারা। এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে অন্তত ২০টি বাড়িঘর। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলো। হুমকির মুখে রয়েছে একটি মসজিদ, একটি বিদ্যালয়সহ শতাধিক পরিবার।

পাবনার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চর বক্তারপুর গ্রামে কৃষক হানিফ শেখের স্ত্রী আক্তার বানু দুই ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে যমুনার পারে বসবাস করেন প্রায় দুই যুগ। বর্ষা মৌসুম এলেই তাঁর কপালে দেখা দেয় চিন্তার ভাঁজ। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর পারে বসে তিনি ভাবছিলেন কীভাবে পরিত্রাণ পাবেন ভাঙন থেকে।

আলাপকালে আক্তার বানু জানান, গত তিন বছরে তিনবার তাঁদের ঘর হারিয়েছেন যমুনার গর্ভে। এবারও একই চিন্তায় দিশেহারা তিনি। গেল কোরবানির ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে ভাঙন-আতঙ্ক। শুধু ভয়ে থাকেন, কখন না জানি আবার ভাঙন শুরু হয় আর ঘর সরানোর জন্য চিৎকার করতে হয়।

শুধু আক্তার বানুই নন, তাঁর মতো একই কান্না নদীপারের অন্য মানুষগুলোর। বক্তারপুর, চর বক্তারপুর, চর বুড়ামারা, সিংহাসন, আগবাকশো গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দিন কাটছে ভাঙন-আতঙ্কে। স্থানীয়রা জানান, এরই মধ্যে গত এক মাসে অন্তত ২০টি বাড়িঘর ও অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে একটি মসজিদ, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতাধিক পরিবার।

চর বক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা বেল্লাল শেখ, সেকেন বিশ্বাস বললেন, ‘গেল কোরবানির ঈদের দিন নদীতে ভেঙে যায় কয়েকটি বাড়ি। বাধ্য হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। কেউবা ঘর ভেঙে রেখেছেন, কিন্তু নতুন করে ঘর তৈরি করতে পারছেন না অর্থাভাবে। বর্ষা মৌসুম এলেই আতঙ্কে থাকতে হয়।’

বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভাঙন শুরু হয়েছে যমুনা নদীতে। ভাঙছে বসতবাড়ি। বুধবার দুপুরে পাবনার বেড়া উপজেলার চর বক্তারপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভাঙন শুরু হয়েছে যমুনা নদীতে। ভাঙছে বসতবাড়ি। বুধবার দুপুরে পাবনার বেড়া উপজেলার চর বক্তারপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শাজাহান আলী, নাদের শেখ, মামুন শেখ বলেন, ‘এই বয়সে তাঁরা অন্তত ৬ বার এই নদীভাঙন দেখেছেন। বর্তমানে যেখানে বসবাস করছেন তাঁরা, আগে নদীর প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে বসতবাড়ি ছিল। নদী ভাঙতে থাকায় সেখান থেকে সরে এসেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি, ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে মানুষ বাঁচবে। তবে এবার একটা স্থায়ী ব্যবস্থা দরকার।’

ভুক্তভোগী রওশন বিশ্বাসের স্ত্রী জোসনা খাতুন বলেন, ‘শিশুসন্তান আর গবাদিপশু নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। কতবার ঘর ভাঙবে, আর কতবার করে সরিয়ে নেব? গত কোরবানির ঈদের দিনও ভাঙন হয়েছে। এলাকার লোকজনকে ডেকে ঘর দ্রুত সরিয়ে নিতে হয়। ঈদের দিন আমাদের রান্নাবান্না খাওয়া—কিছুই হয়নি। এভাবে আর কত দিন।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) হায়দার আলী বলেন, কিছু ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুন্দরবনের দুবলার চরে তিন দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু

বাগেরহাট প্রতিনিধি
সুন্দরবনের দুবলার চরে রাসপূর্ণিমা উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আজ সোমবার বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবনের দুবলার চরে রাসপূর্ণিমা উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আজ সোমবার বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুন্দরবনের দুবলার চরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী রাসপূর্ণিমা উৎসব শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা চাঁদপাই ও ঢাংমারী থেকে পুণ্যার্থীরা যাত্রা শুরু করেছেন। নিরাপত্তা দিতে বন বিভাগের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।

বন বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বী তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন কৌশলে অন্য ধর্মাবলম্বীরাও যাওয়ার চেষ্টা করছেন। রাস উৎসবে পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের মেলা আয়োজন করা হবে না। রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।

সুন্দরবনের পরিবেশ, বন্য প্রাণী ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বিজিবির যৌথ টহল দল বনে মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ করে, হরিণ শিকার ও অবৈধ প্রবেশ রোধে বন বিভাগ এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

সুন্দরবনের দুবলার চরে রাসপূর্ণিমা উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আজ সোমবার বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবনের দুবলার চরে রাসপূর্ণিমা উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আজ সোমবার বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আজ সকাল ৮টার দিকে চাঁদপাই ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে পুণ্যার্থীরা স্কট সহযোগে দুবলার চরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। এই প্রথমবার স্কট সহযোগে যাত্রা শুরু হলো। এর মূল উদ্দেশ্য হলো—পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কেউ যেন বনে ঢুকে হরিণ শিকারের সুযোগ না পান।

বন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তীর্থযাত্রীদের শুধু দিনের বেলায় নৌযান চলাচল করতে হবে এবং নির্ধারিত চেকপোস্ট ছাড়া কোথাও নোঙর করা যাবে না। প্রতিটি নৌযানে লাইফ জ্যাকেট বা বয়া রাখা বাধ্যতামূলক। তীর্থযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংযুক্ত করে আগাম অনুমতিপত্র নিতে হবে। অনুমতিপত্রে নির্ধারিত রুট ও সিলমোহর থাকতে হবে এবং প্রতিটি নৌযানকে আলোরকোল কন্ট্রোল রুমে রিপোর্ট করতে হবে।

প্রতিবছর রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো তীর্থযাত্রী দুবলার চরে সমবেত হন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ বছরও বন বিভাগ কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পোশাক কারখানা বন্ধ, ক্ষোভে পাশের ২ কারখানায় ভাঙচুর

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের টঙ্গীতে আজ সোমবার পোশাক কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভের পর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুরের টঙ্গীতে আজ সোমবার পোশাক কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভের পর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের টঙ্গীতে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কাজ করতে এসে বন্ধের নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা পাশের অন্য দুটি কারখানায় হামলা চালান।

আজ সোমবার সকালে টঙ্গীর সাতাইশ রোডের খৈরতল এলাকার ভিয়েলাটেক্স লিমিটেড নামের একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা পাশের দুটি কারখানায়ও হামলা চালান। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

‎কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ভিয়েলাটেক্স লিমিটেডে ২ হাজার ৬৫০ জন শ্রমিক রয়েছেন। কয়েক দিন ধরে শ্রমিকেরা বলে আসছেন, বিদেশি কোনো এক ক্রেতারা শ্রমিকদের জন্য আলাদা করে লভ্যাংশের টাকা দিয়েছেন; যা কারখানা কর্তৃপক্ষ আত্মসাৎ করেছে। বিষয়টি গুজব দাবি করে শ্রমিকদের তা জানিয়ে দেয় মালিকপক্ষ। এ নিয়ে শ্রমিকেরা গতকাল রোববার কারখানার ভেতরে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন।

আজ সকালে শ্রমিকেরা কারখানায় কাজ করতে এসে প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় তাঁরা পাশের দেউটি ফ্যাশন লিমিটেড ও মাস্কো গ্রুপের একটি কারখানায় ইটপাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।

‎এ বিষয়ে জানতে ভিয়েলাটেক্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি। ‎

‎গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. সেলিম রেজা আজকের পত্রিকা বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কারখানা ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ‎

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

নড়াইল প্রতিনিধি 
নড়াইলে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
নড়াইলে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

নড়াইলে মাসুম ফকির (৩৫) নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আরও এক আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ সোমবার দুপুরে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আশা বেগম (৩০) ও আরাফাত শেখ (৩২)। আশা বেগমের বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে এবং আরাফাত শেখ খলিশাখালী-নাকশী গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া রোমান ভূঁইয়া (৩৩) নামের এক আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর আসামি শাবানা খাতুনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আশা বেগম ও আরাফাত শেখ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস এম আব্দুল হক রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার নাকশী গ্রামের তোকাম ফকিরের ছেলে মাসুম ফকির ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে তাঁর সন্ধান পাননি। ঘটনার পাঁচ দিন পর ১৩ ডিসেম্বর লোহাগড়া উপজেলার জালালশি গ্রামের তপন বিশ্বাসের বাড়ির কাছে নবগঙ্গা নদীর উত্তর পাড়ের চর থেকে পুলিশ মাসুমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহত মাসুমের ছোট ভাই শহিদুল ফকির বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে মাসুমের বান্ধবী আশা বেগমকে আসামি করা হয়। মামলায় দুই নারীসহ চারজনকে আসামি করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মার চরে নিহতের ঘটনায় আরও একটি মামলা, এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
দৌলতপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত
দৌলতপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে আধিপত্য বিস্তার ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

গতকাল রোববার রাতে কাকন গ্রুপের নিহত সদস্য লিটন হোসেনের ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় নতুন একটি মামলা করেন। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে কাকন বাহিনীর প্রধান প্রকৌশলী কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঘার মণ্ডল বাহিনী ও দৌলতপুরের কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের তিনজন নিহত হন। ঘটনার দিন নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) ও শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। তাঁরা মূলত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে বাঘায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মাঘাট থেকে কাকন বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত কসমেটিকস ব্যবসায়ী লিটন হোসেনের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌ পুলিশ। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল।

নতুন মামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, পদ্মার চরের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত