Ajker Patrika

জামায়াতের অফিসে আগুন নেভাতে গিয়ে কোরআন শরিফ দেখেননি, দাবি ফায়ার সার্ভিসের

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, ১৭: ২৪
পাবনার আটঘরিয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান (বাঁয়ে)। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনার আটঘরিয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান (বাঁয়ে)। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘটনার দিন জামায়াতের অফিসে আগুন নেভাতে গিয়ে সেখানে স্তূপ করা কোরআন শরিফ বা বই পুস্তক কিছুই দেখেননি বলে দাবি করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এমনকি পরদিন সকাল পর্যন্ত সেখানে নতুন করে আগুন লাগারও কোনো তথ্য পাননি বলে দাবি তাঁদের। রোববার (১৮ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাবনার আটঘরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মোস্তাফিজুর রহমান এ দাবি করেন।

ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিওতে আটঘরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘গত ১৫ মে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর আমি দোতলায় আগুন দেখতে পাই। ওখানে প্রচণ্ড ধোঁয়া ছিল। দুইটা রুমে চেয়ার-টেবিল, ওপরে আগুন ছিল। ওইটা আমি অতি সত্বর নিভিয়ে চলে আসি। প্রায় ৫ মিনিটের মতো আমরা এই কাজ করেছি।’

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। যেহেতু এটা গন্ডগোলের আগুন ছিল। ওটা ছিল জামায়াতের পার্টি অফিস। আমি দেখেছি ওখানে দুইটা রুমের মধ্যে চেয়ার-টেবিল ছিল, ওখানে আগুন ছিল। আগুন নিভিয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। সেখানে কোরআন শরিফ, ওই রকম স্তূপ করা কোরআন শরিফ বা বই পুস্তক দেখি নাই আমরা। যেহেতু আগুন নির্বাপণ করার পরেই চলে আসছি, তাই পরে আর আগুন লাগার কোনো মেসেজ আমরা পাইনি। পরদিন সকাল পর্যন্ত আমরা আর আগুনের কোনো মেসেজ পাই নাই।’

তার পর থেকে ঘটনার নতুন মোড় নিয়েছে। সবার মনে প্রশ্ন তাহলে জামায়াতের অফিসে কোরআন শরিফ পুড়ল কীভাবে? কারাই বা পোড়াল ? বিএনপি-জামায়াত-ই বা কেন একে অপরকে দোষারোপ করছে। তাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে উপজেলা ও জেলায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।

এর আগে শনিবার (১৭ মে) ‘পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনো ইমাম নামাজ পড়াতে পারবে না’ বলে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়।

হাবিবের এই বক্তব্যের পরই দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী উপজেলা ও জেলা সদরে জামায়াত-বিএনপির মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতির মাঝে আটঘরিয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমানের বক্তব্যে নতুন মোড় নিল সেদিনের ঘটনার।

এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল বলেন, ‘ওই দলের বড় নেতা কী বলেছিলেন? জামায়াতের অফিসে আগুনই লাগেনি। এখন কী হলো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, তাঁরা গিয়ে আগুন নিভিয়েছেন। আর কোরআন শরিফ না থাকার যে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, তাঁকে আসলে চাপ দিয়ে মিথ্যা কথা বলানো হয়েছে। বিএনপির বড় নেতার চাপে তিনি পড়ে গেছেন বিপদে। অথচ তাঁকে এখন আর আমরা ফোনে পাচ্ছি না। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারলে বিষয়টি বুঝতে পারতাম। ঘটনার পর তো এলাকার মানুষ সবাই দেখেছে সেখানে কোরআন শরিফ ছিল কি না।’

উল্লেখ্য, আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম তোলা নিয়ে ১৫ মে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই দলের দলীয় কার্যালয় এবং ২৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনা উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। জামায়াতের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যাথা লাঘব হবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যারা ছাত্র জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যারা আসবেন তারা এ বিচার কাজ এগিয়ে নেবেন।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কার কাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীতে যে নির্বাচিত সরকার আসবে তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সেরকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম খুন আর ফেরত আসবে না।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ-পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ-বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন-ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’

এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময়কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতাল উন্নতিকরণ ও শিক্ষা ব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’

এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কিনা জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগন্জের দরিদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪২
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।

জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাটোর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট

নাটোর প্রতিনিধি 
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাতক্ষীরায় মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীর সমর্থনে সড়ক অবরোধ

দেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৫
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত