প্রতিনিধি
পাবনা : পাবনায় গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। পেশায় ঠিকাদার আওয়ামী লীগের স্থানীয় ওই নেতাদের অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ওই নেতারা কেন এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলছেন না গণপূর্ত বিভাগে কর্মরতরা। কোনো লিখিত অভিযোগও করেননি। তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় অফিসে কর্মরতদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। লিখিত অভিযোগ না পেলেও বিষয়টি তদন্ত করছে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে আসে। এ সময় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন অনেকে। তাঁরা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজছিলেন বলে জানান। একপর্যায়ে তাঁরা উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে গিয়ে তাঁর টেবিলে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তাঁরা বের হয়ে যান।
সূত্রটি আরও জানায়, ঘটনার পরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এসে অফিস থেকে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে প্রভাবশালী ঠিকাদার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চাপে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু সর্বশেষ গত সপ্তাহে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হলে জানাজানি হয়ে যায়।
গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে আসা সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৬ জুন দুপুর ১২টা ২ মিনিটে গোলাপি পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত আওয়ামী লীগের নেতা হাজি ফারুক আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে জামার হাতা গুটিয়ে পূর্ত ভবনে প্রবেশ করেন। তাঁর পেছনে হাফ শার্ট ও মাস্ক পরিহিত অবস্থায় শটগান হাতে আসেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন ও সাদা–কালো টি–শার্ট পরিহিত যুবলীগ নেতা শেখ লালু। অস্ত্র নিয়েই তাঁরা অফিসের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করেন। বাইরে সশস্ত্র সহযোগীরা অপেক্ষা করতে থাকেন। ১২টা ১২ মিনিটে তাঁরা অস্ত্র প্রদর্শন করেই বের হয়ে চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রভাববলয় তৈরি করে উন্নয়নকাজের কোটি কোটি টাকার টেন্ডার নিজেদের আয়ত্তে নিতে চেষ্টা করেন ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদারেরা। এসব লোকের দাপটে অনেক পেশাদার ঠিকাদার গণপূর্ত বিভাগে টেন্ডার জমা দিতেই পারেন না। টেন্ডার নিয়ে তাঁদের নিজেদের মধ্যেই বিভিন্ন গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে। পাশাপাশি অফিসের প্রকৌশলী ও কর্মরতদের নিজেদের পক্ষে নিতে তাঁরা নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। কিছুদিন ধরে এসবের জেরে প্রভাব ও ক্ষমতার দাপট দেখাতে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে শোডাউন, শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছেন। তবে অস্ত্র নিয়ে অফিসে মহড়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এসব ঘটনায় তাঁরা চরম আতঙ্কে আছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগ পাবনার উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ``ওই সব নেতা ও ঠিকাদার আমার কক্ষে এসেছিলেন। আমার টেবিলে অস্ত্র রেখে নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের কাছে এসেছেন বলে জানান। খারাপ আচরণ বা গালাগালি করেননি।' বিল কিংবা টেন্ডার নিয়ে ক্ষোভ থেকেই তাঁদের এমন শোডাউন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, `পাবনায় নতুন যোগদান করেছি, এসব বিষয়ে আমার জানা নেই।'
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বলেন, `ঘটনার সময় আমি অফিসের বাইরে ছিলাম। তবে সিসিটিভির ফুটেজে অস্ত্র হাতে অনেকে এসেছেন দেখেছি। তাঁরা আমাকে সরাসরি বা ফোনে কোনো হুমকি দেননি, তাঁদের সঙ্গে আমরা কথাও হয়নি। তাই আমরা লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।'
অস্ত্র নিয়ে সদলবলে গণপূর্ত বিভাগে প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে অভিযুক্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাজি ফারুক বলেন, ‘আমি গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার নই। বিলসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে মামুন ও লালু আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। তবে এভাবে যাওয়া আমাদের উচিত হয়নি।’
পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন বলেন, ‘নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে বৈধ লাইসেন্সকৃত অস্ত্রটি নিয়ে আমি ব্যবসায়িক কাজে ইটভাটায় যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে কথা বলতে গণপূর্ত বিভাগে যাই। কিন্তু তিনি না থাকায় আমরা ফিরে আসি। তাঁকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়নি। প্রতিপক্ষ ঠিকাদাররা বিষয়টিকে অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে যুবলীগের নেতা শেখ লালু বলেন, ‘ভুলবশত আমরা অস্ত্র নিয়ে অফিসে ঢুকে পড়েছিলাম।’ প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন কাজ নিজেদের আয়ত্তে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।' তিনি সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পাবনা পুলিশ সুপার মুহিবুল হক খান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে গণপূর্ত ভবনে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাদের অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রকৌশলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে পাবনায় চিহ্নিত কিছু ঠিকাদার সব দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন। জোর করে কাজ নেওয়া, নিম্নমানের কাজ করাসহ এমন কোনো অনিয়ম নেই যে তাঁরা করেন না। তাঁদের কথামতো না চললেই অকথ্য গালিগালাজ, মারধরের শিকার হন প্রকৌশলীরা। এর আগেও এই হাজি ফারুকের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল।’
পাবনা : পাবনায় গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। পেশায় ঠিকাদার আওয়ামী লীগের স্থানীয় ওই নেতাদের অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ওই নেতারা কেন এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলছেন না গণপূর্ত বিভাগে কর্মরতরা। কোনো লিখিত অভিযোগও করেননি। তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় অফিসে কর্মরতদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। লিখিত অভিযোগ না পেলেও বিষয়টি তদন্ত করছে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে আসে। এ সময় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন অনেকে। তাঁরা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজছিলেন বলে জানান। একপর্যায়ে তাঁরা উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে গিয়ে তাঁর টেবিলে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তাঁরা বের হয়ে যান।
সূত্রটি আরও জানায়, ঘটনার পরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এসে অফিস থেকে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে প্রভাবশালী ঠিকাদার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চাপে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু সর্বশেষ গত সপ্তাহে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হলে জানাজানি হয়ে যায়।
গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে আসা সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৬ জুন দুপুর ১২টা ২ মিনিটে গোলাপি পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত আওয়ামী লীগের নেতা হাজি ফারুক আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে জামার হাতা গুটিয়ে পূর্ত ভবনে প্রবেশ করেন। তাঁর পেছনে হাফ শার্ট ও মাস্ক পরিহিত অবস্থায় শটগান হাতে আসেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন ও সাদা–কালো টি–শার্ট পরিহিত যুবলীগ নেতা শেখ লালু। অস্ত্র নিয়েই তাঁরা অফিসের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করেন। বাইরে সশস্ত্র সহযোগীরা অপেক্ষা করতে থাকেন। ১২টা ১২ মিনিটে তাঁরা অস্ত্র প্রদর্শন করেই বের হয়ে চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রভাববলয় তৈরি করে উন্নয়নকাজের কোটি কোটি টাকার টেন্ডার নিজেদের আয়ত্তে নিতে চেষ্টা করেন ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদারেরা। এসব লোকের দাপটে অনেক পেশাদার ঠিকাদার গণপূর্ত বিভাগে টেন্ডার জমা দিতেই পারেন না। টেন্ডার নিয়ে তাঁদের নিজেদের মধ্যেই বিভিন্ন গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে। পাশাপাশি অফিসের প্রকৌশলী ও কর্মরতদের নিজেদের পক্ষে নিতে তাঁরা নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। কিছুদিন ধরে এসবের জেরে প্রভাব ও ক্ষমতার দাপট দেখাতে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে শোডাউন, শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছেন। তবে অস্ত্র নিয়ে অফিসে মহড়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এসব ঘটনায় তাঁরা চরম আতঙ্কে আছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগ পাবনার উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ``ওই সব নেতা ও ঠিকাদার আমার কক্ষে এসেছিলেন। আমার টেবিলে অস্ত্র রেখে নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের কাছে এসেছেন বলে জানান। খারাপ আচরণ বা গালাগালি করেননি।' বিল কিংবা টেন্ডার নিয়ে ক্ষোভ থেকেই তাঁদের এমন শোডাউন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, `পাবনায় নতুন যোগদান করেছি, এসব বিষয়ে আমার জানা নেই।'
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বলেন, `ঘটনার সময় আমি অফিসের বাইরে ছিলাম। তবে সিসিটিভির ফুটেজে অস্ত্র হাতে অনেকে এসেছেন দেখেছি। তাঁরা আমাকে সরাসরি বা ফোনে কোনো হুমকি দেননি, তাঁদের সঙ্গে আমরা কথাও হয়নি। তাই আমরা লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।'
অস্ত্র নিয়ে সদলবলে গণপূর্ত বিভাগে প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে অভিযুক্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাজি ফারুক বলেন, ‘আমি গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার নই। বিলসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে মামুন ও লালু আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। তবে এভাবে যাওয়া আমাদের উচিত হয়নি।’
পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন বলেন, ‘নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে বৈধ লাইসেন্সকৃত অস্ত্রটি নিয়ে আমি ব্যবসায়িক কাজে ইটভাটায় যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে কথা বলতে গণপূর্ত বিভাগে যাই। কিন্তু তিনি না থাকায় আমরা ফিরে আসি। তাঁকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়নি। প্রতিপক্ষ ঠিকাদাররা বিষয়টিকে অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে যুবলীগের নেতা শেখ লালু বলেন, ‘ভুলবশত আমরা অস্ত্র নিয়ে অফিসে ঢুকে পড়েছিলাম।’ প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন কাজ নিজেদের আয়ত্তে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।' তিনি সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পাবনা পুলিশ সুপার মুহিবুল হক খান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে গণপূর্ত ভবনে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাদের অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রকৌশলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে পাবনায় চিহ্নিত কিছু ঠিকাদার সব দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন। জোর করে কাজ নেওয়া, নিম্নমানের কাজ করাসহ এমন কোনো অনিয়ম নেই যে তাঁরা করেন না। তাঁদের কথামতো না চললেই অকথ্য গালিগালাজ, মারধরের শিকার হন প্রকৌশলীরা। এর আগেও এই হাজি ফারুকের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল।’
পিরোজপুরের নেছারাবাদে সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকার আমানত সংগ্রহের পর মেয়াদ শেষে টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের আতা গ্রামের সমবায় সমিতির পরিচালক উত্তম মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
১ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ীর নুরাল পাগলের দরবারের ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাত ৪ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় নূরাল পাগলার মরদেহ তোলার ‘নির্দেশদাতা’ লতিফ (ইমাম) ও আসলাম শেখ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে নিহত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায়
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ফুলপুরে জুবায়েদ আহমেদ (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীকে পিষে দিয়ে খাদে পড়ে গেছে একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ শেরপুর সড়কের ফুলপুরে মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুবায়েদ আহমেদ মোকামিয়া গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় একটি এনজিও অফিস থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করার পর শংকর সাহা (৪০) নামে এক ঋণগ্রহীতা মারা গেছেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ঋণ না দিয়ে এনজিওর কর্মীরা তাঁকে অপমান করে এবং জোর করে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। তবে এনজিও কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে হাতিয়া উপজেলা
১ ঘণ্টা আগে