Ajker Patrika

মুমূর্ষু প্রকৌশলীকে সেবা দিতে অবহেলার অভিযোগ, চিকিৎসককে শোকজ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৯: ২৬
মুমূর্ষু প্রকৌশলীকে সেবা দিতে অবহেলার অভিযোগ, চিকিৎসককে শোকজ

স্ট্রোকে আক্রান্ত এক উপসহকারী প্রকৌশলীকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এ বি এম বাকি বিল্লাহর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই কর্মকর্তার অভিযোগ পেয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে শোকজ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। 

আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেহানা পারভীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে শোকজ করা হয়। নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ। তাঁর দাবি, তিনি রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়েছেন। 

অভিযোগ দেওয়া রোগী হলেন মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুজ্জামান। 

মফিজুজ্জামান ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ট্রোকে আক্রান্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মফিজুজ্জামানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তাঁর সহকর্মীরা। প্রেশার অতিরিক্ত হওয়ায় তাঁর নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এ সময় জরুরি বিভাগে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) শহীদুল হক দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই সময়ে চিকিৎসক বাকি বিল্লাহর ডিউটি থাকলেও তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন। রোগীর অবস্থা মুমূর্ষু দেখে সেকমো শহীদুল হক বিষয়টি চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে ফোনে জানান। মুমূর্ষু রোগীর খবর দিয়ে বারবার ফোন দিলেও অনেকক্ষণ পর জরুরি বিভাগে আসেন চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ। তবে জরুরি বিভাগে এলেও মুমূর্ষু রোগীর দিকে নজর দেননি তিনি। সহকর্মীরা উপসহকারী প্রকৌশলীর পরিচয় দিলেও এতে কর্ণপাত করেননি বাকি বিল্লাহ। নিজে রোগীর কাছে গিয়ে খোঁজখবর নেননি, এমনকি হাত দিয়ে ছুঁয়েও দেখেননি। পরে বাধ্য হয়ে সেকমো শহীদুল হক ওই কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেন, একপর্যায়ে ময়মনসিংহে পাঠান। পরে অসুস্থ ওই কর্মকর্তা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেত্রকোনা সিভিল সার্জনকে জানানোর পর অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়। 

স্থানীয় লোকজন জানান, চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকাকালীন বেশির ভাগ সময়ই বাসভবনে অবস্থান করেন। তিনি তখন প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। এতে চিকিৎসা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হন রোগীরা। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদি হাসান মৃধা বলেন, ‘আমার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুজ্জামানকে সেদিন রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। স্ট্রোকের কারণে নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তখন সেখানে সেকমো শহীদুল হক থাকলেও দায়িত্বরত চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ্ ছিলেন না। সেকমো গুরুতর রোগীর বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানালেও তিনি দীর্ঘক্ষণ পর বাসা থেকে আসেন। আসার পর চেয়ারে বসে সময় পার করেছেন। রোগীর কাছেও যাননি, তাঁকে ছুঁয়েও দেখেননি। রোগীর পরিচয় দেওয়া হয়েছে তাতেও তিনি কর্ণপাত করেননি। বিষয়টি দুঃখজনক। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক দিনের চিকিৎসায় এখন অনেকটা সুস্থ আছেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুজ্জামান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ 

চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ্ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যে রাতে অসুস্থ হয়ে জরুরি বিভাগে আসেন, আমি তখন রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। তখন জরুরি বিভাগ থেকে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শহীদুল হক আমাকে বিষয়টি জানান। আমি তখন রোগীর সমস্যাগুলো শুনে শহীদুল হককে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দিই এবং খাবার শেষ করে তাৎক্ষণিক আমি জরুরি বিভাগে গিয়ে ওই কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দিয়েছি।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেহেনা পারভিন বলেন, ‘এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুরি ঠেকাতে রাতে চাতাল পাহারা, ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)। তিনি ওই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি চাতালটি ভাড়া নিয়ে ভুট্টা ও ধানের ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গোডাউন থেকে নিয়মিতভাবে ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি হচ্ছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে খাইরুল ইসলাম নিজেই চোর ধরার জন্য রাত্রিকালীন পাহারাদারের কাজ শুরু করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি চাতালে আসেন।

আজ ভোর ৩টা নাগাদ কাদের চাতালের দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড চাতালে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য নাইট গার্ডকে খবর দেন। খবর পেয়ে খাইরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, খাইরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁদের ধারণা, চাতালে অবস্থান করার সময় তিনি স্ট্রোক অথবা সুগার (ডায়াবেটিস) কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু জানান, খাইরুল ইসলাম সাবেক সুগার মিলে কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর নেন। অবসরের পর তিনি সিজনভিত্তিক ধান, গম ও ভুট্টার ব্যবসা করতেন। চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেন, তিনি ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক এমদাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোনো রকম আঘাত বা অস্বাভাবিক কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তিরা হলো মো. শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. শিয়াব মিয়া (১৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, ধানখেতে পানি দেওয়ার জন্য সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ-চালিত সেচযন্ত্র নিয়ে পুকুরপাড়ে যায় বাবা ও ছেলে। ঘণ্টাখানেক পরে শিয়াবের মা ওই পুকুরপাড়ে যান। তিনি সেখানে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে শিয়াবের লাশ বাড়িতে নেন। এর কিছুক্ষণ পরে শহিদুল ইসলামের খোঁজে পুকুরপাড়ে আবারও যান তাঁর স্বজনেরা। তখন তাঁর লাশও পুকুরে পাওয়া যায়।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পে বিদ্যুতায়িত বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসর রাত শেষে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩০
পিসনাইল গ্রামে যুবকের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিসনাইল গ্রামে যুবকের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় জামাল ফকির (২৮) নামের নববিবাহিত এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওই নববধূ বলেন, ‘সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে চাই, দেখি দরজাটা বাইরে থেকে লাগানো। পরে কেউ দরজা খুলে দিলে দেখি, আমার স্বামী ঘরের বাইরে জমির মধ্যে পড়ে আছে।’

মৃত জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ওই ছেলে বিয়ে করেন। আজ সকালে বাড়ির পাশে একটি বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে, যুবক আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৩ কর্মচারীর একে একে সবাই চলে গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তিন কর্মচারীর সবাই একে একে মারা গেলেন।

তানভীর চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার ডিসি রোড এলাকায় থাকতেন। চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের একটি সাততলা ভবনের ছাদে এসি মেরামতের সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় শওকত ওসমান নামের একজন কর্মচারী ছাদ থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। অপর দুজনের মধ্যে মিশকাত ও তানভীর ছাদে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে ছিলেন। পরে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির চার ঘণ্টা পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে শওকত মারা যান। পরে ১৭ অক্টোবর মিশকাত ও আজ দুপুরে তানভীরও চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। তাঁরা গণপূর্ত বিভাগের অধীনে হাসপাতালের টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মচারীদের সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের বয়স ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত