নেত্রকোনা প্রতিনিধি
স্ট্রোকে আক্রান্ত এক উপসহকারী প্রকৌশলীকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এ বি এম বাকি বিল্লাহর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই কর্মকর্তার অভিযোগ পেয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে শোকজ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেহানা পারভীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে শোকজ করা হয়। নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ। তাঁর দাবি, তিনি রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়েছেন।
অভিযোগ দেওয়া রোগী হলেন মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুজ্জামান।
মফিজুজ্জামান ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ট্রোকে আক্রান্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মফিজুজ্জামানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তাঁর সহকর্মীরা। প্রেশার অতিরিক্ত হওয়ায় তাঁর নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এ সময় জরুরি বিভাগে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) শহীদুল হক দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই সময়ে চিকিৎসক বাকি বিল্লাহর ডিউটি থাকলেও তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন। রোগীর অবস্থা মুমূর্ষু দেখে সেকমো শহীদুল হক বিষয়টি চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে ফোনে জানান। মুমূর্ষু রোগীর খবর দিয়ে বারবার ফোন দিলেও অনেকক্ষণ পর জরুরি বিভাগে আসেন চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ। তবে জরুরি বিভাগে এলেও মুমূর্ষু রোগীর দিকে নজর দেননি তিনি। সহকর্মীরা উপসহকারী প্রকৌশলীর পরিচয় দিলেও এতে কর্ণপাত করেননি বাকি বিল্লাহ। নিজে রোগীর কাছে গিয়ে খোঁজখবর নেননি, এমনকি হাত দিয়ে ছুঁয়েও দেখেননি। পরে বাধ্য হয়ে সেকমো শহীদুল হক ওই কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেন, একপর্যায়ে ময়মনসিংহে পাঠান। পরে অসুস্থ ওই কর্মকর্তা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেত্রকোনা সিভিল সার্জনকে জানানোর পর অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকাকালীন বেশির ভাগ সময়ই বাসভবনে অবস্থান করেন। তিনি তখন প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। এতে চিকিৎসা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হন রোগীরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদি হাসান মৃধা বলেন, ‘আমার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুজ্জামানকে সেদিন রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। স্ট্রোকের কারণে নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তখন সেখানে সেকমো শহীদুল হক থাকলেও দায়িত্বরত চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ্ ছিলেন না। সেকমো গুরুতর রোগীর বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানালেও তিনি দীর্ঘক্ষণ পর বাসা থেকে আসেন। আসার পর চেয়ারে বসে সময় পার করেছেন। রোগীর কাছেও যাননি, তাঁকে ছুঁয়েও দেখেননি। রোগীর পরিচয় দেওয়া হয়েছে তাতেও তিনি কর্ণপাত করেননি। বিষয়টি দুঃখজনক। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক দিনের চিকিৎসায় এখন অনেকটা সুস্থ আছেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুজ্জামান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ্ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যে রাতে অসুস্থ হয়ে জরুরি বিভাগে আসেন, আমি তখন রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। তখন জরুরি বিভাগ থেকে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শহীদুল হক আমাকে বিষয়টি জানান। আমি তখন রোগীর সমস্যাগুলো শুনে শহীদুল হককে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দিই এবং খাবার শেষ করে তাৎক্ষণিক আমি জরুরি বিভাগে গিয়ে ওই কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেহেনা পারভিন বলেন, ‘এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।’
স্ট্রোকে আক্রান্ত এক উপসহকারী প্রকৌশলীকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এ বি এম বাকি বিল্লাহর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই কর্মকর্তার অভিযোগ পেয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে শোকজ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেহানা পারভীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে শোকজ করা হয়। নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ। তাঁর দাবি, তিনি রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়েছেন।
অভিযোগ দেওয়া রোগী হলেন মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুজ্জামান।
মফিজুজ্জামান ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ট্রোকে আক্রান্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মফিজুজ্জামানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তাঁর সহকর্মীরা। প্রেশার অতিরিক্ত হওয়ায় তাঁর নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এ সময় জরুরি বিভাগে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) শহীদুল হক দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই সময়ে চিকিৎসক বাকি বিল্লাহর ডিউটি থাকলেও তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন। রোগীর অবস্থা মুমূর্ষু দেখে সেকমো শহীদুল হক বিষয়টি চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে ফোনে জানান। মুমূর্ষু রোগীর খবর দিয়ে বারবার ফোন দিলেও অনেকক্ষণ পর জরুরি বিভাগে আসেন চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ। তবে জরুরি বিভাগে এলেও মুমূর্ষু রোগীর দিকে নজর দেননি তিনি। সহকর্মীরা উপসহকারী প্রকৌশলীর পরিচয় দিলেও এতে কর্ণপাত করেননি বাকি বিল্লাহ। নিজে রোগীর কাছে গিয়ে খোঁজখবর নেননি, এমনকি হাত দিয়ে ছুঁয়েও দেখেননি। পরে বাধ্য হয়ে সেকমো শহীদুল হক ওই কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেন, একপর্যায়ে ময়মনসিংহে পাঠান। পরে অসুস্থ ওই কর্মকর্তা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেত্রকোনা সিভিল সার্জনকে জানানোর পর অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকাকালীন বেশির ভাগ সময়ই বাসভবনে অবস্থান করেন। তিনি তখন প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। এতে চিকিৎসা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হন রোগীরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদি হাসান মৃধা বলেন, ‘আমার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুজ্জামানকে সেদিন রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। স্ট্রোকের কারণে নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তখন সেখানে সেকমো শহীদুল হক থাকলেও দায়িত্বরত চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ্ ছিলেন না। সেকমো গুরুতর রোগীর বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানালেও তিনি দীর্ঘক্ষণ পর বাসা থেকে আসেন। আসার পর চেয়ারে বসে সময় পার করেছেন। রোগীর কাছেও যাননি, তাঁকে ছুঁয়েও দেখেননি। রোগীর পরিচয় দেওয়া হয়েছে তাতেও তিনি কর্ণপাত করেননি। বিষয়টি দুঃখজনক। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক দিনের চিকিৎসায় এখন অনেকটা সুস্থ আছেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুজ্জামান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
চিকিৎসক বাকি বিল্লাহ্ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যে রাতে অসুস্থ হয়ে জরুরি বিভাগে আসেন, আমি তখন রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। তখন জরুরি বিভাগ থেকে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শহীদুল হক আমাকে বিষয়টি জানান। আমি তখন রোগীর সমস্যাগুলো শুনে শহীদুল হককে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দিই এবং খাবার শেষ করে তাৎক্ষণিক আমি জরুরি বিভাগে গিয়ে ওই কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেহেনা পারভিন বলেন, ‘এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে চিকিৎসক বাকি বিল্লাহকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।’
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তৌহিদী জনতা মিছিল নিয়ে এসে দরবার শরীফে হামলা চালালে, নুরাল পাগলের ভক্তরা এর পাল্টা জবাব দেয়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা...
১২ মিনিট আগেআরেক স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম বলেন, "সে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। সবাই তাকে ভয় পায়। মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধের সঙ্গে সে জড়িত। সে প্রকাশ্যে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। পরে জনতা ধাওয়া করলে সে পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়ি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে...
৩৪ মিনিট আগেযশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ইমরান হোসেন নামে যশোর জেলা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) এক নেতাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ধারণা করা হচ্ছে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সীমান্তে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টম্বর) রাত ৮টার দিকে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আটক ইমরান যশোর..
১ ঘণ্টা আগেউপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ফকিরহাট উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বর্তমানে ১০ হেক্টর জমিতে ৮০ জন কৃষক মাছের ঘেরে অমৌসুমী তরমুজ চাষ করেছেন। কৃষকদের বীজ, সার, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ। মাছের ঘেরের আইলের ওপর গাছ রোপন ও ঘেরে পানির ওপর মাচা হওয়ায় বাড়তি জমি নষ্ট...
১ ঘণ্টা আগে