Ajker Patrika

ঘুষ লেনদেনের বিরোধিতা করায় যুবদল নেতা শামীমকে হত্যা, দাবি পরিবারের

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নিহত যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম শামীম। ছবি: সংগৃহীত
নিহত যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম শামীম। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় নিখোঁজের দুই মাস ২৭ দিন পর নিখোঁজ যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম শামীমের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাড়গোড়ে জড়ানো থাকা জামা-কাপড় দেখে তাঁকে শনাক্ত করেছে পরিবারের লোকজন।

স্ত্রী ও ভাইসহ পরিবারের লোকজনের দাবি, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের বিরোধিতা করায় প্রভাবশালী একটি চক্র শামীমকে হত্যার পর লাশ গুম করে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।

গতকাল সোমবার দুপুরে কেন্দুয়ায় নিজ গ্রামে শামীমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ এলাকার অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত শনিবার উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা গ্রামের নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিরান্ধরী বিল থেকে শামীমের হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ২ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে গন্ডা ইউনিয়নের পাহাড়পুর এলাকা থেকে যুবদল নেতা শামীম নিখোঁজ হন। তিনি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন।

নিহত শামীমের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের বিরোধিতা করায় নিজ দলের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ইন্ধনে শামীমকে হত্যা করা হয়েছে। তখন আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাইনি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

নিহত শামীমের বাবা মো. আক্কাস আলী বলেন, ‘হাড়গোড় দেখে চেনার উপায় না থাকলেও জামা-কাপড় দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটা শামীমের লাশ। তাই যথাযথ নিয়মে জানাজা পড়ে দাফন করা হয়েছে।’ হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাড়গোড় উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ রিপোর্টের জন্য আলামত পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটি কার লাশ। যদিও পরিবারের লোকজন এটি শামীমের লাশ বলে দাবি করছেন। এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত