নেত্রকোনা প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কারফিউ চলাকালে গত ২০ জুলাই বিকেলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইরে বের হন মো. মোস্তাকিম (১৮)। গাজীপুরে কারফিউ ভেঙে হঠাৎ রাস্তায় নেমে আসেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশও তখন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলি ছুড়তে থাকে। দৌড়ে পালানোর সময় একটি গুলি এসে লাগে মোস্তাকিমের পায়ে।
গুলিটি তাঁর হাঁটুর একপাশ দিয়ে লেগে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। উপস্থিত বন্ধুরা মোস্তাকিমকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পাশের একটি হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে তাঁকে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় পায়ে ব্যান্ডেজ করে কোনো রকম চিকিৎসা দিয়েই পরদিন তাঁকে বিদায় দেওয়া হয়।
গাজীপুরের বাসায় এক সপ্তাহ বিশ্রাম নেন মোস্তাকিম। চিকিৎসক জানিয়েছেন, গুলিতে মোস্তাকিমের পায়ের রগ ছিঁড়ে গেছে। ক্ষত শুকানোর পর অপারেশন করতে হবে। তারপর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সাতুর গ্রামে তাঁকে নিয়ে আসেন স্বজনেরা।
সেই থেকে ব্যান্ডেজ প্যাঁচানো পা নিয়ে বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মোস্তাকিম। দরিদ্র পরিবারটি চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। মোস্তাকিম নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সাতুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় মোস্তাকিম। বাবা বাচ্চু মিয়া ২০১৩ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক পা ভেঙে পঙ্গু হয়েছেন। অভাবের পরিবার তাই ভাঙা পা নিয়েই বাড়ির কাছে ছোট একটি টং দোকান চালান তিনি। সম্পদ বলতে বাড়ির ১২ শতাংশ জায়গা ছাড়া আর কিছুই নেই। মোস্তাকিমের বড় ভাই মিজানুর বিয়ের পর সংসার থেকে আলাদা হয়ে গেছেন। ছোট দুই ভাই পড়াশোনা করে।
মোস্তাকিম পাশের আটপাড়া উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে ২০২২ সালে হাফেজি সম্পন্ন করেন। তারপর রোজাগারের খোঁজে গাজীপুর শহরে চলে যান। সেখানে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। তাঁর আয় দিয়ে ভালোই চলছিল পরিবারের ভরণপোষণ আর ছোট ভাইদের পড়াশোনা। কিন্তু গুলিতে আহত হয়ে বিছানায় শুয়ে গুনতে হচ্ছে চিকিৎসা খরচ। এদিকে উপার্জন বন্ধ হওয়ায় কষ্টে দিনযাপন করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার মোহনগঞ্জের সাতুর গ্রামে মোস্তাকিমদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পায়ের নিচে বালিশ রেখে বারান্দায় খাটের ওপর বসে আছেন মোস্তাকিম। ঘর থেকে বারান্দা এ পর্যন্তই তার চলাফেরার সীমানা। লাঠিতে ভর দিয়েই এটুকু জায়গা চলতে হয় তাঁর। তারপর গুলি লাগার বিষয়ে জানান বিস্তারিত।
হাফেজ মোস্তাকিম বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে কারখানা বন্ধ ছিল কয়েক দিন ধরেই। তারপর আবার কারফিউ চলছিল। দরকারি জিনিসপত্র কেনার জন্য ২০ জুলাই বেলা তিনটার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত দেখে বাসা থেকে বের হই। গাজীপুর শহরের বড়বাড়ি মোড়ে যেতেই হঠাৎ কোথায় থেকে আন্দোলনকারীরা চলে আসে। মুহূর্তে তাদের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পুলিশ। আমার পাশে দুজন গুলিতে মারা যায়। আরও অনেকের হাতে-পায়ে গুলি লাগে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে দৌড় দিই। তখনই একটি গুলি এসে আমার পায়ের হাঁটু বরাবর লাগে। গুলিটি পায়ের একপাশে লেগে অন্যপাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারাই। আর কিছু বলতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘বন্ধুরা তুলে আমাকে হাসপাতালে নেয়। সেখানে গিয়ে জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে অনেক আহত লোকজন। অনেকে মারা গেছে।’
মোস্তাকিম আরও বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে আমাকে। পঙ্গুতে গিয়েও দেখি অনেক রোগী। সেখানে ব্যান্ডেজ করে এক দিন রেখেই বিদায় করে দেয়। বাসায় এসে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, গুলিতে পায়ের রগ ছিঁড়ে গেছে। আপাতত পায়ের ক্ষত শুকাতে হবে। পরে আবার গিয়ে অপারেশন করাতে হবে।’
মোস্তাকিমের মা পুষ্প আক্তার বলেন, ‘স্বামী ২০১৩ সাল থেকে পঙ্গু। এই অবস্থায় পেটের দায়ে সামান্য একটা টং দোকান চালায় এটাতে তেমন আয় নেই। বড় ছেলে বিয়ের পর আলাদা হয়ে গেছে। মোস্তাকিমই পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। ছোট দুইটা ছেলের পড়াশোনা, পরিবারের সবার খরচ সবই সামলাত মোস্তাকিম। বাড়ির জায়গাটা ছাড়া আর কোনো জমিজমা নেই। এই অবস্থায় ছেলের চিকিৎসা কীভাবে করাব। ঋণ করে চিকিৎসা করাচ্ছি। আর কত দিন চিকিৎসা করাতে পারব জানি না। আমার ছেলেটার জন্য সবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
পুষ্পা আক্তার আরও বলেন, ‘আমার ছেলেটা তো জীবনে কারও কোনো ক্ষতি করেনি। তার ওপর কেন এই বিপদ এল। কার কাছে এর বিচার দেব।’
মোস্তাকিমের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘একমাত্র উপার্জনশীল ছেলেটা আহত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। আমি নিজেও পঙ্গু। ঋণ করে চিকিৎসা খরচ চালাচ্ছি। কয়দিন পর আবার অপারেশন করাতে হবে। অনেক টাকা খরচ হবে। কীভাবে কী করব জানি না। পরিবার নিয়ে ঘোর অন্ধকার দেখতেছি। অভাবের কারণে হাফেজি পড়া শেষ করেই গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছে। বিপদ শুধু আমাদের গরিবের জন্যই আসে। আল্লাহ এর একমাত্র সমাধানকারী।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কারফিউ চলাকালে গত ২০ জুলাই বিকেলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইরে বের হন মো. মোস্তাকিম (১৮)। গাজীপুরে কারফিউ ভেঙে হঠাৎ রাস্তায় নেমে আসেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশও তখন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলি ছুড়তে থাকে। দৌড়ে পালানোর সময় একটি গুলি এসে লাগে মোস্তাকিমের পায়ে।
গুলিটি তাঁর হাঁটুর একপাশ দিয়ে লেগে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। উপস্থিত বন্ধুরা মোস্তাকিমকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পাশের একটি হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে তাঁকে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় পায়ে ব্যান্ডেজ করে কোনো রকম চিকিৎসা দিয়েই পরদিন তাঁকে বিদায় দেওয়া হয়।
গাজীপুরের বাসায় এক সপ্তাহ বিশ্রাম নেন মোস্তাকিম। চিকিৎসক জানিয়েছেন, গুলিতে মোস্তাকিমের পায়ের রগ ছিঁড়ে গেছে। ক্ষত শুকানোর পর অপারেশন করতে হবে। তারপর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সাতুর গ্রামে তাঁকে নিয়ে আসেন স্বজনেরা।
সেই থেকে ব্যান্ডেজ প্যাঁচানো পা নিয়ে বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মোস্তাকিম। দরিদ্র পরিবারটি চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। মোস্তাকিম নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সাতুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় মোস্তাকিম। বাবা বাচ্চু মিয়া ২০১৩ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক পা ভেঙে পঙ্গু হয়েছেন। অভাবের পরিবার তাই ভাঙা পা নিয়েই বাড়ির কাছে ছোট একটি টং দোকান চালান তিনি। সম্পদ বলতে বাড়ির ১২ শতাংশ জায়গা ছাড়া আর কিছুই নেই। মোস্তাকিমের বড় ভাই মিজানুর বিয়ের পর সংসার থেকে আলাদা হয়ে গেছেন। ছোট দুই ভাই পড়াশোনা করে।
মোস্তাকিম পাশের আটপাড়া উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে ২০২২ সালে হাফেজি সম্পন্ন করেন। তারপর রোজাগারের খোঁজে গাজীপুর শহরে চলে যান। সেখানে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। তাঁর আয় দিয়ে ভালোই চলছিল পরিবারের ভরণপোষণ আর ছোট ভাইদের পড়াশোনা। কিন্তু গুলিতে আহত হয়ে বিছানায় শুয়ে গুনতে হচ্ছে চিকিৎসা খরচ। এদিকে উপার্জন বন্ধ হওয়ায় কষ্টে দিনযাপন করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার মোহনগঞ্জের সাতুর গ্রামে মোস্তাকিমদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পায়ের নিচে বালিশ রেখে বারান্দায় খাটের ওপর বসে আছেন মোস্তাকিম। ঘর থেকে বারান্দা এ পর্যন্তই তার চলাফেরার সীমানা। লাঠিতে ভর দিয়েই এটুকু জায়গা চলতে হয় তাঁর। তারপর গুলি লাগার বিষয়ে জানান বিস্তারিত।
হাফেজ মোস্তাকিম বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে কারখানা বন্ধ ছিল কয়েক দিন ধরেই। তারপর আবার কারফিউ চলছিল। দরকারি জিনিসপত্র কেনার জন্য ২০ জুলাই বেলা তিনটার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত দেখে বাসা থেকে বের হই। গাজীপুর শহরের বড়বাড়ি মোড়ে যেতেই হঠাৎ কোথায় থেকে আন্দোলনকারীরা চলে আসে। মুহূর্তে তাদের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পুলিশ। আমার পাশে দুজন গুলিতে মারা যায়। আরও অনেকের হাতে-পায়ে গুলি লাগে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে দৌড় দিই। তখনই একটি গুলি এসে আমার পায়ের হাঁটু বরাবর লাগে। গুলিটি পায়ের একপাশে লেগে অন্যপাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারাই। আর কিছু বলতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘বন্ধুরা তুলে আমাকে হাসপাতালে নেয়। সেখানে গিয়ে জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে অনেক আহত লোকজন। অনেকে মারা গেছে।’
মোস্তাকিম আরও বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে আমাকে। পঙ্গুতে গিয়েও দেখি অনেক রোগী। সেখানে ব্যান্ডেজ করে এক দিন রেখেই বিদায় করে দেয়। বাসায় এসে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, গুলিতে পায়ের রগ ছিঁড়ে গেছে। আপাতত পায়ের ক্ষত শুকাতে হবে। পরে আবার গিয়ে অপারেশন করাতে হবে।’
মোস্তাকিমের মা পুষ্প আক্তার বলেন, ‘স্বামী ২০১৩ সাল থেকে পঙ্গু। এই অবস্থায় পেটের দায়ে সামান্য একটা টং দোকান চালায় এটাতে তেমন আয় নেই। বড় ছেলে বিয়ের পর আলাদা হয়ে গেছে। মোস্তাকিমই পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। ছোট দুইটা ছেলের পড়াশোনা, পরিবারের সবার খরচ সবই সামলাত মোস্তাকিম। বাড়ির জায়গাটা ছাড়া আর কোনো জমিজমা নেই। এই অবস্থায় ছেলের চিকিৎসা কীভাবে করাব। ঋণ করে চিকিৎসা করাচ্ছি। আর কত দিন চিকিৎসা করাতে পারব জানি না। আমার ছেলেটার জন্য সবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
পুষ্পা আক্তার আরও বলেন, ‘আমার ছেলেটা তো জীবনে কারও কোনো ক্ষতি করেনি। তার ওপর কেন এই বিপদ এল। কার কাছে এর বিচার দেব।’
মোস্তাকিমের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘একমাত্র উপার্জনশীল ছেলেটা আহত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। আমি নিজেও পঙ্গু। ঋণ করে চিকিৎসা খরচ চালাচ্ছি। কয়দিন পর আবার অপারেশন করাতে হবে। অনেক টাকা খরচ হবে। কীভাবে কী করব জানি না। পরিবার নিয়ে ঘোর অন্ধকার দেখতেছি। অভাবের কারণে হাফেজি পড়া শেষ করেই গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছে। বিপদ শুধু আমাদের গরিবের জন্যই আসে। আল্লাহ এর একমাত্র সমাধানকারী।’

ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)।
২ মিনিট আগে
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগে
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
২০ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
৩০ মিনিট আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)। তিনি ওই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি চাতালটি ভাড়া নিয়ে ভুট্টা ও ধানের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গোডাউন থেকে নিয়মিতভাবে ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি হচ্ছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে খাইরুল ইসলাম নিজেই চোর ধরার জন্য রাত্রিকালীন পাহারাদারের কাজ শুরু করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি চাতালে আসেন।
আজ ভোর ৩টা নাগাদ কাদের চাতালের দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড চাতালে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য নাইট গার্ডকে খবর দেন। খবর পেয়ে খাইরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, খাইরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁদের ধারণা, চাতালে অবস্থান করার সময় তিনি স্ট্রোক অথবা সুগার (ডায়াবেটিস) কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু জানান, খাইরুল ইসলাম সাবেক সুগার মিলে কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর নেন। অবসরের পর তিনি সিজনভিত্তিক ধান, গম ও ভুট্টার ব্যবসা করতেন। চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেন, তিনি ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক এমদাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোনো রকম আঘাত বা অস্বাভাবিক কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ নেই।’

ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)। তিনি ওই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি চাতালটি ভাড়া নিয়ে ভুট্টা ও ধানের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গোডাউন থেকে নিয়মিতভাবে ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি হচ্ছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে খাইরুল ইসলাম নিজেই চোর ধরার জন্য রাত্রিকালীন পাহারাদারের কাজ শুরু করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি চাতালে আসেন।
আজ ভোর ৩টা নাগাদ কাদের চাতালের দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড চাতালে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য নাইট গার্ডকে খবর দেন। খবর পেয়ে খাইরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, খাইরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁদের ধারণা, চাতালে অবস্থান করার সময় তিনি স্ট্রোক অথবা সুগার (ডায়াবেটিস) কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু জানান, খাইরুল ইসলাম সাবেক সুগার মিলে কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর নেন। অবসরের পর তিনি সিজনভিত্তিক ধান, গম ও ভুট্টার ব্যবসা করতেন। চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেন, তিনি ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক এমদাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোনো রকম আঘাত বা অস্বাভাবিক কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ নেই।’

মোস্তাকিমের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘একমাত্র উপার্জনশীল ছেলেটা আহত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। আমি নিজেও পঙ্গু। ঋণ করে চিকিৎসা খরচ চালাচ্ছি। কয়দিন পর আবার অপারেশন করাতে হবে। কীভাবে কী করব জানি না। পরিবার নিয়ে ঘোর অন্ধকার দেখতেছি।’
২৮ আগস্ট ২০২৪
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগে
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
২০ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
৩০ মিনিট আগেসুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলো মো. শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. শিয়াব মিয়া (১৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, ধানখেতে পানি দেওয়ার জন্য সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ-চালিত সেচযন্ত্র নিয়ে পুকুরপাড়ে যায় বাবা ও ছেলে। ঘণ্টাখানেক পরে শিয়াবের মা ওই পুকুরপাড়ে যান। তিনি সেখানে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে শিয়াবের লাশ বাড়িতে নেন। এর কিছুক্ষণ পরে শহিদুল ইসলামের খোঁজে পুকুরপাড়ে আবারও যান তাঁর স্বজনেরা। তখন তাঁর লাশও পুকুরে পাওয়া যায়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পে বিদ্যুতায়িত বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলো মো. শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. শিয়াব মিয়া (১৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, ধানখেতে পানি দেওয়ার জন্য সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ-চালিত সেচযন্ত্র নিয়ে পুকুরপাড়ে যায় বাবা ও ছেলে। ঘণ্টাখানেক পরে শিয়াবের মা ওই পুকুরপাড়ে যান। তিনি সেখানে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে শিয়াবের লাশ বাড়িতে নেন। এর কিছুক্ষণ পরে শহিদুল ইসলামের খোঁজে পুকুরপাড়ে আবারও যান তাঁর স্বজনেরা। তখন তাঁর লাশও পুকুরে পাওয়া যায়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পে বিদ্যুতায়িত বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’

মোস্তাকিমের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘একমাত্র উপার্জনশীল ছেলেটা আহত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। আমি নিজেও পঙ্গু। ঋণ করে চিকিৎসা খরচ চালাচ্ছি। কয়দিন পর আবার অপারেশন করাতে হবে। কীভাবে কী করব জানি না। পরিবার নিয়ে ঘোর অন্ধকার দেখতেছি।’
২৮ আগস্ট ২০২৪
ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)।
২ মিনিট আগে
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
২০ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
৩০ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় জামাল ফকির (২৮) নামের নববিবাহিত এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
ওই নববধূ বলেন, ‘সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে চাই, দেখি দরজাটা বাইরে থেকে লাগানো। পরে কেউ দরজা খুলে দিলে দেখি, আমার স্বামী ঘরের বাইরে জমির মধ্যে পড়ে আছে।’
মৃত জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ওই ছেলে বিয়ে করেন। আজ সকালে বাড়ির পাশে একটি বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে, যুবক আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় জামাল ফকির (২৮) নামের নববিবাহিত এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
ওই নববধূ বলেন, ‘সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে চাই, দেখি দরজাটা বাইরে থেকে লাগানো। পরে কেউ দরজা খুলে দিলে দেখি, আমার স্বামী ঘরের বাইরে জমির মধ্যে পড়ে আছে।’
মৃত জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ওই ছেলে বিয়ে করেন। আজ সকালে বাড়ির পাশে একটি বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে, যুবক আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

মোস্তাকিমের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘একমাত্র উপার্জনশীল ছেলেটা আহত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। আমি নিজেও পঙ্গু। ঋণ করে চিকিৎসা খরচ চালাচ্ছি। কয়দিন পর আবার অপারেশন করাতে হবে। কীভাবে কী করব জানি না। পরিবার নিয়ে ঘোর অন্ধকার দেখতেছি।’
২৮ আগস্ট ২০২৪
ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)।
২ মিনিট আগে
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
৩০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।
তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তিন কর্মচারীর সবাই একে একে মারা গেলেন।
তানভীর চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার ডিসি রোড এলাকায় থাকতেন। চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের একটি সাততলা ভবনের ছাদে এসি মেরামতের সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় শওকত ওসমান নামের একজন কর্মচারী ছাদ থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। অপর দুজনের মধ্যে মিশকাত ও তানভীর ছাদে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে ছিলেন। পরে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির চার ঘণ্টা পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে শওকত মারা যান। পরে ১৭ অক্টোবর মিশকাত ও আজ দুপুরে তানভীরও চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। তাঁরা গণপূর্ত বিভাগের অধীনে হাসপাতালের টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মচারীদের সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের বয়স ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।
তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তিন কর্মচারীর সবাই একে একে মারা গেলেন।
তানভীর চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার ডিসি রোড এলাকায় থাকতেন। চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের একটি সাততলা ভবনের ছাদে এসি মেরামতের সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় শওকত ওসমান নামের একজন কর্মচারী ছাদ থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। অপর দুজনের মধ্যে মিশকাত ও তানভীর ছাদে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে ছিলেন। পরে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির চার ঘণ্টা পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে শওকত মারা যান। পরে ১৭ অক্টোবর মিশকাত ও আজ দুপুরে তানভীরও চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। তাঁরা গণপূর্ত বিভাগের অধীনে হাসপাতালের টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মচারীদের সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের বয়স ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।

মোস্তাকিমের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘একমাত্র উপার্জনশীল ছেলেটা আহত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। আমি নিজেও পঙ্গু। ঋণ করে চিকিৎসা খরচ চালাচ্ছি। কয়দিন পর আবার অপারেশন করাতে হবে। কীভাবে কী করব জানি না। পরিবার নিয়ে ঘোর অন্ধকার দেখতেছি।’
২৮ আগস্ট ২০২৪
ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)।
২ মিনিট আগে
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগে
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
২০ মিনিট আগে