Ajker Patrika

২৫ শিক্ষক-কর্মচারীর মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী পাওয়া গেল ১৮ জন

আসাদুজ্জামান রিপন, নরসিংদী 
সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের সুটরিয়া ফজলুল হক খান দাখিল মাদ্রাসা। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন ২০ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী। তবে সম্প্রতি সরেজমিন সেখানে মাত্র ১৮ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে শুরুর দিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এখন প্রতিদিন ১৫-২০ জন উপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখানোর জন্য পাশের শাহ ইরানি কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এখানে ভর্তি দেখানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে আসলে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থী এনে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। তবে শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষার্থী আছে দেড় শতাধিক।

গত রোববার গিয়ে দেখা গেছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে অফিস কক্ষের বারান্দায় বসে গল্প করছেন শিক্ষকেরা। এ সময় তৃতীয় শ্রেণিতে তিন; চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণিতে দুজন করে; সপ্তম শ্রেণিতে ছয় এবং নবম শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়। অর্থাৎ পুরো মাদ্রাসায় মোট ১৮ জন উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া ২০ শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৭ জন শিক্ষক।

এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে তাড়াহুড়ো করে পাঠদানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গল্প করতে থাকা শিক্ষকেরা। অভিযোগ রয়েছে, পাঠদানে শিক্ষকদের গাফিলতিসহ মাঝেমধ্যেই বেলা ২টা-৩টায় ছুটি দেওয়া হয় মাদ্রাসাটি। যদিও বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকার কথা রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পাশে বাড়ি থাকা এক শিক্ষার্থী জানায়, এই মাদ্রাসায় নিয়মিত ক্লাস হয় না। শিক্ষকেরা ক্লাস না করে বাইরে বসে থাকেন এবং বিকেল ৪টার আগেই ছুটি দেওয়া হয়। এ জন্য স্থানীয় অনেকে দূরের প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে।

মাদ্রাসার প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে জানান, মাদ্রাসার বর্তমান সুপার দীর্ঘদিন ধরে এখানে কর্মরত থাকায় তাঁর ইশারাতেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সুপারসহ অন্য শিক্ষকেরা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ছুটিতে থাকেন। যাঁর কারণে পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।

সুটরিয়া গ্রামের রাজু মিয়া বলেন, মাদ্রাসায় আগের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে খুবই কম। মাঝেমধ্যে দুপুরের পরপর ছুটি দেওয়া হয়।

তবে শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা প্রতিদিন উপস্থিত থাকেন। এখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দেড় শতাধিক।

মাদ্রাসাটিতে ১৫ বছর যাবৎ সুপার পদে দায়িত্বে রয়েছেন মো. সিদ্দিকুর রহমান। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কথা বলতে তিনি বাধ্য নন। প্রতিষ্ঠানের এসব সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। একপর্যায়ে তিনি নিজেও একজন সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন।

এ সময় সুপারের কক্ষে থাকা অন্য শিক্ষকেরা বলেন, সুপারের সঙ্গে সচিবালয়, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সখ্য রয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘আমি পূর্বেও এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এখানে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে এখানে যোগদান করেছি। তাই মাদ্রাসাটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত অবগত নই। শিগগিরই সরেজমিন মাদ্রাসা পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

রাজশাহী-১ আসন: বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রস্তুত জামায়াত

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে ‘এএ ইয়ার্ন মিলস’ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আকস্মিক বন্ধের কারণে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা আজ সোমবার সকাল থেকে কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আজ সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু শ্রমিকেরা কর্মস্থলে এসে দেখেন মূল ফটকের সামনে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ ঝোলানো রয়েছে।

শ্রমিক শামীম বলেন, ‘দীর্ঘ বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা চলছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। আমাদের বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য দাবিদাওয়া না মিটিয়ে কারখানা বন্ধ করা শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায়।’

শ্রমিক বিলকিস বেগম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘কমপক্ষে ৯ বছর এই কারখানায় কর্মরত। শেষ বয়সে এসে চাকরি হারানোর মতো অবস্থা। এই বয়সে অন্য কোনো কারখানায় চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের বেতন-ভাতা কোনো কিছু পরিশোধ না করেই হঠাৎ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। গত ২৩ তারিখ আমরা ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট খেয়েছি। আমাদের কী অপরাধ?’

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা কারখানার গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ভাঙচুর করেছে। এ অবস্থায় কারখানা চালানো সম্ভব নয়। মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে মোতাবেক বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩(১) অনুসারে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।’

শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘খবর পেয়ে সকাল থেকেই কারখানার নিরাপত্তায় আমরা রয়েছি। শ্রমিকেরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ইতিমধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমস্যা সমাধানের জন্য দুই ঘণ্টার সময় নিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

রাজশাহী-১ আসন: বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রস্তুত জামায়াত

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উচ্ছেদচেষ্টার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ, ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনে থেকে দোকান উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওষুধের ফার্মেসি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার সকাল থেকে এই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। তবে টি রোড, কালীবাড়ি, স্টেশন রোড ও কাউতলী এলাকার কিছু ফার্মেসি খোলা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি পৌর শাখার সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ১৯৮৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা কলেজের আশপাশের এই দোকানগুলো তাঁরা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন এবং নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘অথচ বর্তমানে আমাদের অবৈধ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অমানবিক ও অবৈধ। আমরা অবিলম্বে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায়সংগত সমাধান চাই।’

তিনি আরও জানান, এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রতিকার না পেয়ে সোমবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সব ফার্মেসি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা অবস্থান কর্মসূচিও পালন করছেন।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে নতুন ও দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মাণের দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজের সামনের বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোর কারণে তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং চলাচলের সময় তাঁরা নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন।

এই ধর্মঘটের ফলে জেলা শহরের প্রায় এক হাজার ফার্মেসির বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে, যার কারণে জরুরি ওষুধ কিনতে এসে রোগী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

রাজশাহী-১ আসন: বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রস্তুত জামায়াত

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল
অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন। ছবি: সংগৃহীত

ব‌রিশাল বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের রে‌জিস্ট্রার (অতিরিক্ত দা‌য়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন উদ্দীন পদত‌্যাগ ক‌রে‌ছেন। আজ সোমবার সকা‌লে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌ‌ফিক আলমের দপ্ত‌রে তিনি পদত‌্যাগপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন।

অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববারই তিনি উপাচার্যকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন এবং আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মুহসিন জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বাজেট টিম বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় ১৭টি ‘অবজার্ভেশন’ (পর্যবেক্ষণ) দিয়েছে। এর মধ্যে চারটি পর্যবেক্ষণ সরাসরি রেজিস্ট্রার-সংক্রান্ত। এই পর্যবেক্ষণগুলো ছিল—কেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক হয়েও সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক সদস্য? কেন তিনি আবাসিক কর্মকর্তা হিসেবে ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকেন না? কেন রেজিস্ট্রার গাড়ি ব্যবহার করেন?

রেজিস্ট্রার জানান, এসব কারণে তিনি মনে করেন এই পদে থাকা উচিত হবে না। যে কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। চলতি বছরের ২১ মে ড. মুহসিন রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। ছয় মাস পর্যন্ত এ পদে থাকার কথা থাকলেও তার আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে উপাচার্যের পিএস টু ভিসি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান আজ‌কের প‌ত্রিকা‌কে ব‌লেন, ‘আমি শু‌নে‌ছি রে‌জিস্ট্রার পদত‌্যাগপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন, কিন্তু দে‌খিনি।’ উপাচার্য প্রস‌ঙ্গে ব‌লেন, ‘স‌্যার এক‌টি সভায় আছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

রাজশাহী-১ আসন: বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রস্তুত জামায়াত

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জে বাস উল্টে খাদে পড়ে ১ জন নিহত, আহত ২০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাজার জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাস উল্টে খাদে পড়ে বাদল মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন যাত্রী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেজুড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের পল্টু মিয়ার ছেলে। আহতদের সবাই একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, রোববার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক মাজারে জিয়ারত শেষে ভোরে দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাদল। বাসটি মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এর ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের নিচে অনেক যাত্রী আটকা পড়েন এবং বাদল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

রাজশাহী-১ আসন: বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রস্তুত জামায়াত

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত