Ajker Patrika

পালানোর সময় নদীতে পড়ে আসামির মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ০০
পালানোর সময় নদীতে পড়ে আসামির মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

নরসিংদীতে পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের পর হাতকড়াসহ পালানোর সময় নদীতে পড়ে সুজন দাস (২৬) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগ তাঁকে পিটিয়ে নদীতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার হাজিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সুজন দাস হাজিপুর এলাকার অজিত দাসের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সুজন দাসের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদকসহ ১০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এরই মধ্যে ৩টি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিল। মঙ্গলবার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শহরতলির হাজিপুর এলাকার একটি চানাচুর কারখানায় অভিযান চালায় সদর মডেল থানা-পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এক হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি পকেট থেকে ছুরি বের করে দায়িত্বরত পুলিশকে আঘাত করেন। এ সময় আসামি সুজন পালাতে গিয়ে পাশের হাড়িধোয়া নদীতে ঝাঁপ দেন এবং নদী পার হওয়ার সময় মাঝনদীতে আটকে যান। পরে পুলিশ নদী থেকে তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে সুজনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ পুলিশ ও চানাচুর ফ্যাক্টরির শ্রমিকেরা মিলে তাঁকে পিটিয়ে আহত করে নদীতে ফেলে হত্যা করেছে। 

সুজনের বিরুদ্ধে মামলার কথা স্বীকার করে তাঁর মা অজান্তা সাহা ও বোন পিংকি সাহা বলেন, ‘শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে হাজিপুর এলাকায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সেখানে পূর্বশত্রুতার জের ধরে একটি চানাচুর ফ্যাক্টরির শ্রমিকেরা পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেন। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।’ 

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, গ্রেপ্তারের সময় আসামি সুজন দাসের ছুরিকাঘাতে একজন উপপরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পালানোর সময় নদীর মাঝখানে কোনো কিছুতে আটকা পড়ায় পার হতে না পেরে নদীতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত