নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এ সভায় ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন আইভী।
আলোচনার শুরুতেই তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। আইভী বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নে আমি সাত বছর কাটিয়েছি। ভীষণ খারাপ লাগে যেই শহরটায় আমি থাকতাম, সেখানে এখন যুদ্ধ হচ্ছে। আমি এখনো বলি সোভিয়েত ইউনিয়ন আমার সেকেন্ড মাদারল্যান্ড।’
আশির দশকে আইভি যখন পড়াশোনা করতে সেখানে পাড়ি জমান সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল বর্তমান ইউক্রেন। আইভি জানান, ১৯৮৪ / ১৯৮৫ সালের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েই তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কে জানতে পারেন।
দেশের একমাত্র নারী সিটি মেয়র তাঁর বক্তব্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়তে যাওয়ার ঘটনাপ্রবাহ এবং নারী হওয়ার কারণে ব্যক্তিজীবনে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন। বাবা মারা যাওয়ার মাত্র তিন মাস পর শেখ হাসিনা এবং নিজের মায়ের সহায়তায় বিদেশে পড়তে যাওয়ার কাহিনিও শোনান তিনি।
আইভি বলেন, ‘বিদেশে পড়তে যাওয়ার সময় পুরো পরিবার আমার বিপরীতে ছিল। একমাত্র আমার মা আমার পাশে দাঁড়ায়।’
২০০৩ সালে দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘আমি হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে আসব। নারায়ণগঞ্জে তখন নির্বাচন করার মতো কেউ ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতারা দেশের বাইরে। এমন অবস্থা ছিল আওয়ামী লীগের লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে শব্দ করার সাহস পেত না। আমি সাধারণ কিছু মানুষকে নিয়ে ক্যাম্পেইন করেছিলাম।’
আইভী জানান, ২০০৩ সালে পৌরসভা মেয়র হওয়ার এক বছরের মধ্যেই এমপিসহ সব কাউন্সিল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, তিনি নারী তাই দরজা লাগিয়ে রাখেন। কেউ সেখানে ঢুকতে পারেন না। পৌরসভার অনেক দুর্নীতিবাজ পুরুষ কর্মকর্তাকে সরানোর কারণেই এমনটা হয়েছিল বলে জানান নাসিক মেয়র।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আট বছর মেয়র থাকার পরেও ২০১১ সালে দলের সমর্থন পেতে কষ্ট হয়েছে। বলা হচ্ছিল, আমি নারী তাই সিটি করপোরেশন সামলাতে পারব না।’
নারীদের উদ্দেশে আইভী বলেন, ‘কেউ কাউকে সুযোগ করে দেয় না। সুযোগ করে নিতে হয়। আমাদের কাজ আমাদেরই করে নিতে হবে। নারীকে যোগ্যতা দিয়েই অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’ ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নারী উন্নয়ন নীতিমালা না করলে নারীদের এত অগ্রগতি হতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘নেত্রীর সুদৃষ্টি না থাকলে আমি আইভী হতে পারতাম না।’
সভায় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘ফিমেল প্ল্যানার্স অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘ইয়াং ফিমেল লিডার্স অ্যাওয়ার্ড’ বিভাগে বিআইপির ১০ জন নারী সদস্যকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এ সভায় ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন আইভী।
আলোচনার শুরুতেই তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। আইভী বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নে আমি সাত বছর কাটিয়েছি। ভীষণ খারাপ লাগে যেই শহরটায় আমি থাকতাম, সেখানে এখন যুদ্ধ হচ্ছে। আমি এখনো বলি সোভিয়েত ইউনিয়ন আমার সেকেন্ড মাদারল্যান্ড।’
আশির দশকে আইভি যখন পড়াশোনা করতে সেখানে পাড়ি জমান সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল বর্তমান ইউক্রেন। আইভি জানান, ১৯৮৪ / ১৯৮৫ সালের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েই তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কে জানতে পারেন।
দেশের একমাত্র নারী সিটি মেয়র তাঁর বক্তব্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়তে যাওয়ার ঘটনাপ্রবাহ এবং নারী হওয়ার কারণে ব্যক্তিজীবনে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন। বাবা মারা যাওয়ার মাত্র তিন মাস পর শেখ হাসিনা এবং নিজের মায়ের সহায়তায় বিদেশে পড়তে যাওয়ার কাহিনিও শোনান তিনি।
আইভি বলেন, ‘বিদেশে পড়তে যাওয়ার সময় পুরো পরিবার আমার বিপরীতে ছিল। একমাত্র আমার মা আমার পাশে দাঁড়ায়।’
২০০৩ সালে দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘আমি হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে আসব। নারায়ণগঞ্জে তখন নির্বাচন করার মতো কেউ ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতারা দেশের বাইরে। এমন অবস্থা ছিল আওয়ামী লীগের লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে শব্দ করার সাহস পেত না। আমি সাধারণ কিছু মানুষকে নিয়ে ক্যাম্পেইন করেছিলাম।’
আইভী জানান, ২০০৩ সালে পৌরসভা মেয়র হওয়ার এক বছরের মধ্যেই এমপিসহ সব কাউন্সিল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, তিনি নারী তাই দরজা লাগিয়ে রাখেন। কেউ সেখানে ঢুকতে পারেন না। পৌরসভার অনেক দুর্নীতিবাজ পুরুষ কর্মকর্তাকে সরানোর কারণেই এমনটা হয়েছিল বলে জানান নাসিক মেয়র।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আট বছর মেয়র থাকার পরেও ২০১১ সালে দলের সমর্থন পেতে কষ্ট হয়েছে। বলা হচ্ছিল, আমি নারী তাই সিটি করপোরেশন সামলাতে পারব না।’
নারীদের উদ্দেশে আইভী বলেন, ‘কেউ কাউকে সুযোগ করে দেয় না। সুযোগ করে নিতে হয়। আমাদের কাজ আমাদেরই করে নিতে হবে। নারীকে যোগ্যতা দিয়েই অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’ ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নারী উন্নয়ন নীতিমালা না করলে নারীদের এত অগ্রগতি হতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘নেত্রীর সুদৃষ্টি না থাকলে আমি আইভী হতে পারতাম না।’
সভায় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘ফিমেল প্ল্যানার্স অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘ইয়াং ফিমেল লিডার্স অ্যাওয়ার্ড’ বিভাগে বিআইপির ১০ জন নারী সদস্যকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
সকাল সাড়ে ৭টা। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার সামনের আঞ্চলিক সড়ক ধীরে ধীরে ভরে উঠতে থাকে ধান ও সরিষার বস্তায়। আশপাশের চরাঞ্চল থেকে আসা কৃষকেরা নৌকা বা ভ্যানগাড়িতে করে ধান নামাতে থাকেন আর ব্যাপারীরা দরদামে ব্যস্ত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাটি পরিণত হয় বড়সড় হাটে। কেনাবেচা চলে দুপুর পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক সংস্কারের ছয়টি প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগের নেতা অলি আহাম্মেদ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এসব প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটিতে বরাদ্দ দেয় ১০ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা। মোট সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার।
৪ ঘণ্টা আগেকারও তিনতলা বাড়ি আছে, কেউ চড়ে প্রাইভেট কারে—তবু পেশা দিনমজুর। এভাবে রাজশাহী মহানগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেড়ে গেছে দিনমজুরের সংখ্যা। কথা বলে জানা গেল, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ড পেতে এমন চতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এতে বঞ্চিত হয়েছে দুস্থরা।
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ শহরের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় প্রেমানন্দ হালদার (৮০) নামের এক বৃদ্ধ ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে