Ajker Patrika

লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চাওয়ায় ডিভোর্স

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চাওয়ায় ডিভোর্স

লেখাপড়া করতে চাওয়ায় পাঁচ মাসের শিশু সন্তানসহ এক গৃহবধূকে ডিভোর্স দিয়েছেন তাঁর স্বামী শাহজালাল আহম্মেদ রাসেল। আগে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে তাঁর বাবার বাড়িতে ডিভোর্সের চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। প্রথমে যৌতুক নিরোধ আইন এবং দুই দিন পর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন, গৃহবধূর স্বামী শাহজালাল আহাম্মেদ রাসেল, শ্বশুর ফরিদ মিয়া ও শাশুড়ি রিনা বেগম। 

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর নাম নাজিয়া ইসলাম সেতু (১৯)। উপজেলার সররাবাদ গ্রামের গোলাম মোস্তাফার বড় মেয়ে সেতু। তিন সন্তানের মধ্যে সেতু পরিবারের বড়। তিনি এসএসসি ও এইচএসসি দুটি পরীক্ষাতেই জিপিএ ৫ পেয়েছেন। অন্যদিকে শাহজালাল আহম্মেদ রাসেল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে। 

জানা যায়, মো. ফরিদ মিয়া তাঁর একমাত্র ছেলে শাহজালাল আহম্মেদ রাসেলের জন্য সেতুকে নিজে পছন্দ করেন। ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। 

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণপুর সরাফত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়ার পর নরসিংদী মডেল কলেজ থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ ৫ পায় সেতু। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করার সময় বিয়ের প্রস্তাব আসে। লেখাপড়া বন্ধ না করার প্রতিশ্রুতিতে সেতুর পরিবার বিয়ে দিতে রাজি হয়। 

ভুক্তভোগী সেতু জানান, বিয়ে পর ভালোই চলছিল তাঁদের। কিন্তু সন্তান গর্ভে আসার পর থেকেই শ্বশুর-শাশুড়ি গর্ভ নষ্ট করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। স্বামী রাসেল প্রথমে বাবা হওয়ার খবর শুনে খুশি হলেও পরে তিনিও বাবা-মায়ের পক্ষ নেন। একটি ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠের পর থেকে লেখাপড়া বন্ধ করতে চাপ দিতে থাকেন তাঁরা। রাজি না হওয়ায় শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। 

সেতু বলেন, ‘পরিবারের আদরের সন্তান ছিলাম। হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেছি তাই সাংসারিক কাজকর্ম জানি। কিন্তু আমার শ্বশুর চায় সব কাজ যেন আমি একা করি। আমার সিজারের মাধ্যমে সন্তান হয়। সিজারের চতুর্থ দিন স্বামী থাপ্পড় দিলে মাটিতে পড়ে যাই। ফলে সেলাইয়ের জায়গায় ইনফেকশন হয়ে শরীরে জ্বর আসে। তবুও ২০ তম দিন জোর করে আমাকে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সংসারের সব কাজ করতে দেয়। একদিন ছেলেকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য আধঘণ্টা সময় ব্যয় করেছিলাম বলে আমার শ্বশুর বুকের দুধ খাওয়াতে দিত না। বলে এত সময় দুধ খাওয়ালে কাজ করব কখন? তারপর বাজারের প্যাকেট দুধ খাওয়ানো শুরু করি। ফিডার বানিয়ে দিলে শ্বশুর দুধ খাওয়ায় আর আমাকে কাজ করতে দেয়। বাচ্চা কান্না করলে শ্বশুরের কোল থেকে আনতে গেলে ধমক দিয়ে বলে আমি নাকি বেয়াদব। সারা দিন ছেলেকে আমার কোলে দিত না। শুধু রাতে ছেলেকে কাছে পেতাম। শত কাজ করেও কোথাও একটু ভুল হলে শ্বশুর-শাশুড়ি গালাগালি করে। দুই দিন রাত ৮টার সময় আমাকে দিয়ে কাজ হয় না, ডিভোর্স দিয়ে দিবে বলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে চেয়েছে। সন্তানের দিকে তাকিয়ে তাদের অত্যাচার সহ্য করে এসেছি। সর্বশেষ আমার স্বামী ব্যবসা করবে বলে ১০ লাখ টাকা চায় আমার কাছে। না দিতে পারায় আমাকে শ্বশুরের আদেশে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আমি ভাবিনি গোপনে সে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে। তিন দিন আগে জানতে পারি নোটারির মাধ্যমে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে।’ 

সেতু আরও বলেন, ‘৫ মাসের সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে কষ্টে জীবন যাপন করে যাচ্ছি। সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তায় দিন যাচ্ছে আমার।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুর শ্বশুর ফরিদ মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে সেতুর বনিবনা হতো না। প্রায়ই নাকি আমার ছেলের গায়ে হাত তুলত সেতু। তা ছাড়া সে কিছু বিষয়ে আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। আমার ছেলের ইচ্ছাতেই ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে।’ পুত্রবধূকে ফিরিয়ে আনবেন কি না জানতে চাইলে ফরিদ মিয়া বলেন, ‘সেটা ছেলে বলতে পারবে।’ এ সময় তাঁর ছেলে রাসেল বাড়িতে ছিলেন না। 

লেখাপড়া বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদ আরও বলেন, ‘লেখাপড়া করে সংসারে সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। ছেলেও চাইছিল না সেতু লেখাপড়া করুক। তাই আমি সেতুকে লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বুঝিয়ে বলেছিলাম।’ 

এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানান রায়পুরা থানার ওসি আজিজুর রহমান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ শঙ্কামুক্ত, গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সরওয়ার বাবলা নামে আরেকজন নিহত হয়েছেন। শান্ত নামে এক বিএনপি কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

হতাহত তিনজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনজনের মধ্যে সরওয়ার বাবলা মারা গেছেন। বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে ঘটনাস্থলে গুলিতে লুটিয়ে পড়া সরওয়ার বাবলার একটি ছবি আজকের পত্রিকার সংগ্রহে এসেছে। বুধবার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজার বাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, মনোনয়ন পেয়ে হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। সময়টা ছিল মাগরিবের নামাজের পরপরই। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করে।

ঘটনাস্থলে এরশাদ উল্লাহর কাছাকাছি থাকা বিএনপি নেতা মো. ইসমাইল বলেন, ‘আমি এরশাদ ভাইয়ের খুব কাছেই ছিলাম। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়া শুরু করে। হুড়োহুড়িতে আমি নিজেও পায়ে আঘাত পেয়েছি।’ বর্তমানে তিনিও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ইসমাইল।

বিষয়টি জানতে বায়েজিদ থানারি ওসিকে বারবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় মুজিবুর রহমান শেখ (৪৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে মোড়লডাঙ্গা এলাকার একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, মুজিবুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

মুজিবুর উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মোড়লডাঙ্গা গ্রামের গোলাপ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ সকালে মোড়লডাঙ্গায় নিজাম শেখের বাগানের একটি মেহগনিগাছে মুজিবুরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়।

মৃতের ভাই জিল্লাল শেখ ও হাবি শেখের দাবি, তাঁদের ভাইকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাঁরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা মুজিবুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজজাক মীর বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে সঠিকভাবে জানা যাবে আসলে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে ইয়াছিনের সমর্থকদের বিক্ষোভ, অগ্রভাগে নারীরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় নারীদের নেতৃত্বে মিছিল করেন মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লায় নারীদের নেতৃত্বে মিছিল করেন মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা নারীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

নগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে মিছিল শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করা হয়।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইয়াছিনকে কুমিল্লা-৬ আসনে দলের প্রার্থী করার দাবি তুলেছেন তাঁর অনুসারীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজকের মিছিলে প্রায় ৮ হাজার নারী অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা ‘ইয়াছিন ভাইয়ের মনোনয়ন ফেরত চাই’, ‘৮-এর প্রার্থী ৬-এ কেন—মানিনা, মানব না’, ‘আমি কে, তুমি কে, ইয়াছিন ভাই, ইয়াছিন ভাই’, ‘জেল-জুলুম, কারাগারে ইয়াছিন ভাই’ স্লোগান দেন।

ইয়াছিনের সমর্থকেরা বলছেন, ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সাবেক ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তিনি নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সহায়তায় নেতা-কর্মীরা আইনি সহায়তা, চিকিৎসা খরচ, পারিবারিক সহায়তা, ঈদ ও অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা তৈরি হয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, রাজনৈতিক অবদান ও তৃণমূলের সঙ্গে সংযুক্তি বিবেচনা করে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলে হাজি ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকা কলা ঘুষ নেওয়া সেই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

­যশোর প্রতিনিধি
পাকা কলা, আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
পাকা কলা, আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কাজ করে দেওয়ার কথা বলে পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করা যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, জেলা পরিষদের জমি ইজারার নামে উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে গত ২৬ অক্টোবর যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি হয়। গণশুনানিতে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন আলমগীর হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। দুদক কমিশনারের নির্দেশনার ১০ দিন পর আজ আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

জেলা পরিষদের আদেশে বলা হয়, গত ২৬ অক্টোবর যশোরে দুদকের গণশুনানিতে রুস্তম আলীসহ আরও চার ব্যক্তির জমি ইজারা প্রদানসংক্রান্ত যশোর জিলা পরিষদে কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক গণশুনানি অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী যশোর জেলা পরিষদে কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনকে অন্যত্র বদলিসহ সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনা দেন। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এই দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন বলেন, উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হবে। মামলার তদন্তে প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক ছুটিতে থাকায় আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করতে দেরি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত