Ajker Patrika

নারায়ণগঞ্জে এনসিপির ৩ কর্মীকে ছুরিকাঘাত

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২৯
আহত এনসিপির কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
আহত এনসিপির কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে এনসিপির তিন কর্মীকে ছুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  

আহতরা হলেন জেলা ছাত্রশক্তির রিয়াদ (২৪), বায়েজিদ (২১) ও তামিম (২৩)। তাঁদের প্রথমে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে এনসিপির জেলা সদস্য রাইসুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে এনসিপির দলীয় প্রার্থী আবদুল্লাহ আল আমিনের পোস্টারিং চলছিল। সাইনবোর্ডের মিতালী মার্কেট এলাকায় পোস্টারিং করার সময় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি বাধা দেয়। তখন এর প্রতিবাদ করলে ছাত্রশক্তির কর্মী তামিমকে মারধর করে এবং তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

পরবর্তী সময়ে বুধবার অজ্ঞাতনামা সেই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে বেলা ২টায় মিতালী মার্কেটে যান তামিম, রিয়াদ ও বায়েজিদ। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে হঠাৎ ২৫-৩০ জনের একটি দল সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে তাঁদের।

পরে এনসিপির নেতা-কর্মীরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের একটি হাসপাতালে এবং পরে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘দলীয় নেতারা গত রাতে আমার পোস্টার লাগানোর সময় মারধরের শিকার হয়। পরে আজ কারা মারধর করেছে, সেই ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে ফের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে, আমি এখনো নিশ্চিত হইনি, তথ্য নিচ্ছি। এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আমরা মামলা করব।’ 

ঘটনার বিষয়টি অবগত হয়েছেন জানিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল বারিক বলেন, ‘ভুক্তভোগীরাসহ এনসিপির নেতা-কর্মীরা থানায় এসেছেন। তাঁদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে নিচ্ছি। তথ্যপ্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মায়ের আকুতি—‘আল্লাহ তুমি আমার ছাওয়ালেক কাড়া নিয়ো না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
গর্তের অদূরে বিলাপ করছেন শিশুটির মা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গর্তের অদূরে বিলাপ করছেন শিশুটির মা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে নলকূপের জন্য খনন করা সরু গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে নির্ঘুম রাত কেটেছে উদ্ধারকর্মীদের। সঙ্গে উৎকণ্ঠায় রাত কেটেছে স্বজনদেরও। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত, রাত গড়িয়ে সকাল—তবু উদ্ধার করা যায়নি শিশুটিকে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটনাস্থলের অদূরে সন্তানকে ফিরে পেতে মা রুনা খাতুন আহাজারি করছেন। তাঁর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। এ সময় তিনি বিলাপ করতে থাকেন—‘আল্লাহ তুমি কাড়া (কেড়ে) নিয়ো না, আল্লাহ।’ 

আহাজারি করতে করতে মা রুনা খাতুন বলেন, ‘আল্লাহ আমার ছাওয়ালেক (ছেলে) কত কষ্ট করে মানুষ (বড়) করেছি। আল্লাহ তুমি কাড়া (কেড়ে) নিয়ো না। আল্লাহ আমি কষ্ট করে মানুষ করব। তুমি কাড়া নিয়ো না আল্লাহ। আল্লাহ তুমি আমার ছাওয়ালেক (ছেলে) আমার বুকে আইনা দাও আল্লাহ। আল্লাহ তুমি কাড়া নিয়ো না, আল্লাহ।’

এর আগে গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে গভীর নলকূপ বসানোর জন্য খনন করা আট ফুট ব্যাসার্ধের একটি গর্তে পড়ে যায় দুই বছর বয়সী শিশু সাজিদ। সে কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে সকাল হতে না হতে উদ্ধার অভিযানস্থলে শত শত উৎসুক মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। তাঁদের সরাতে বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সরু গর্তটির পাশে প্রায় ৪০ ফুট গভীর করে খনন করেছেন। এরপর পাশের সরু গর্ত পর্যন্ত সুড়ঙ্গ করা হচ্ছে। তবে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, কর্মচারীদের আলটিমেটাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সার্ভিস রুল (চাকরি বিধিমালা) প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত কর্মচারীরা।

কর্মচারীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবারের (১১ ডিসেম্বর) মধ্যেও সার্ভিস রুল প্রকাশ না হলে আগামীকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে তাঁরা সব যাত্রীসেবা বন্ধ রেখে পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাবেন।

আজ ডিএমটিসিএলে নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যানারে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মবিরতির পাশাপাশি প্রতিদিন ডিএমটিসিএল প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলবে। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই কর্মচারীরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন এবং কর্মসূচির ফলে যেকোনো জনদুর্ভোগের দায়ভার সম্পূর্ণভাবে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৩ সালে ডিএমটিসিএল প্রতিষ্ঠার পর এক যুগ পার হলেও ৯০০-এর বেশি নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এখনো স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালুর পর থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীরা দক্ষতা ও নিরাপত্তার সঙ্গে পরিচালনা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করলেও চাকরি বিধিমালা না থাকায় ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট-অ্যালাউন্স/ওভারটাইম, গ্রুপ ইনস্যুরেন্সসহ ন্যায্য সুবিধা ও পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে সার্ভিস রুল প্রণয়ন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। ফলে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি এক মাসের মধ্যে (২০ মার্চ) বিধিমালা করার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত হয়, কিন্তু ৯ মাসেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এরপর ৪ ডিসেম্বরের অবস্থান কর্মসূচিতে পরিচালক (প্রশাসন) জানান, তিনি ৯ ডিসেম্বরের বোর্ড সভায় সরকারি বিধিবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ‘বিশেষ বিধান’ অপসারণ করে সার্ভিস রুল উত্থাপন করবেন। কর্মচারীরা ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তা প্রকাশের দাবি জানান এবং সময়মতো না হলে ১০ ডিসেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

গতকাল ১০ ডিসেম্বর ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁদের জানান, খসড়া সার্ভিস রুলের সব ধারা নিয়ে বোর্ড একমত হলেও প্রকল্পের জনবলকে ডিএমটিসিএলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একাদশ অধ্যায়ের ‘বিশেষ বিধান’ থাকার কারণে রুল পাস আটকে আছে। তিনি কোনো সময়সীমাও দিতে পারেননি এবং এই বিধান অপরিবর্তিত রেখেই রুল প্রণয়নের কথা উল্লেখ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএমটিসিএল পরিচালনা পর্ষদ ‘বিশেষ বিধান’ ছাড়া রুল পাসে আগ্রহী হলেও কর্তৃপক্ষের চাপের কারণেই বিলম্ব হচ্ছে। প্রকল্পের জনবলকে অবৈধ সুবিধা দিতে গিয়ে নিয়মিত ৯০০-এর বেশি কর্মচারী প্রতিনিয়ত তাঁদের বৈধ সুবিধা পাচ্ছেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে সালিসি বৈঠকে শ্বশুরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়িতে পারিবারিক বিরোধ মেটাতে বসা সালিসি বৈঠকে হারান আলী শেখ (৫৫) নামের এক ভ্যানচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাতে নিহত হারান আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। নিহত হারান আলী শেখ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে।

বহুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন জানান, ১৫ দিন আগে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। সে বিষয় নিয়ে গতকাল বিকেলে বৈঠক চলছিল। বৈঠকের শেষ দিকে মেয়ের স্বামীর পরিবারের লোকজন হামলা করেন। আহত হারান আলী শেখকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত হারান আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন জানান, তাঁর বোন শাপলা খাতুন ও বোনজামাই আবুল কালামের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। সে বিষয়ে গতকাল বিকেলে খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাতী গ্রামে সালিস বসে। বৈঠকের শেষ দিকে আবুল কালামের পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান।

ইকবাল হোসেন বলেন, ‘হামলায় আমার বাবা হারান আলী শেখ, মা মরিয়ম বেগম, আমার ভাগনে আলামিন, বোন শাপলা খাতুন ও আমি আহত হই। গুরুতর আহত বাবাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আইনিপ্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ১৪
আজ ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা হয়েছে। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা হয়েছে। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা আট ফুট ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে পাশে ৪০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। এরপর মূল সরু গর্তে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন সুড়ঙ্গ করার কাজ করছেন। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত শিশু সাজিদের দেখা মেলেনি।

এর আগে গতকাল বুধবার বেলা ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটার সময় ওই গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। এর পর থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। গতকাল থেকে ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

তানোরের এই এলাকা উচ্চ খরাপ্রবণ। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূগর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। এ জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। তাই বছরখানেক আগে আট ফুট ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। কিন্তু পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের দুই বছর বয়সী ছেলে সাজিদ।

ফায়ার সার্ভিস ধারণা করেছিল, শিশুটি প্রায় ৩৫ ফুট নিচে পড়ে গেছে।

ক্যামেরা নামিয়ে তারা শিশুটিকে দেখতে পায়নি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। পরপর তিনটি এক্সকাভেটর যন্ত্র আনা হয়। এগুলোর মাধ্যমে আজ ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা সম্ভব হয়। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। গর্ত কাটা শেষে এখন সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছে। আমরা শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে চাই।’

এদিকে অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা দেখছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত