এম কে দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
জামালপুরে দশআনী নদীতে পাল্টাপাল্টি বাঁধ নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী। নদীভাঙন থেকে এলাকা রক্ষায় এই বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাঁধের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বাঁধ অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের একটি শাখা দশআনী নদী। এটি দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দশআনীর একটি শাখা দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের খাপড়াপাড়া গ্রাম দিয়ে বয়ে গেছে। প্রতিবছর ওই এলাকায় নদীভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন রোধে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি খাপড়াপাড়ার বাসিন্দারা নদীতে একটি আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করে। এর ফলে নদীর পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বকশীগঞ্জের কামালের বার্ত্তী, শেখপাড়া, খানপাড়া, বাঙালপাড়া, মদনেরচর, নীলেরচর, কুতুবেরচর ও চরগাজিরপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বকশীগঞ্জের চর আইরমারী গ্রামের বাসিন্দারাও নদীতে আরেকটি পাল্টা বাঁধ নির্মাণ করেন।
খাপড়াপাড়ার বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, ‘নদীভাঙনে অনেক ঘরবাড়ি ও জমি বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যাতে আগামী বর্ষায় নদীর পানি গ্রামে ঢুকতে না পারে, সে জন্য নিজেদের অর্থায়নে বাঁধ নির্মাণ করেছি।’
চর আইরমারীর বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, ‘খাপড়াপাড়ার বাঁধের কারণে সাধুরপাড়া, মেরুরচর ও নীলাখিয়া ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মুখে পড়বে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আইরমারীতে পাল্টা বাঁধ দিয়েছি।’
এ নিয়ে কথা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, নদীতে পানিপ্রবাহ বন্ধের জন্য বাঁধ নির্মাণের কোনো নিয়ম নেই। নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঁধ অপসারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
যোগাযোগ করা হলে জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, ‘ইতিমধ্যে বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি। বৈঠক করেছি দুই পক্ষকে নিয়ে। উভয় পক্ষ বাঁধ অপসারণে সম্মত হয়েছে। বাঁধ অপসারণ করতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা জানান, বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাঁধ নির্মাণকারীদের তা অপসারণের জন্য বলা হয়েছে। শিগগির অপসারণ করা হবে।
জামালপুরে দশআনী নদীতে পাল্টাপাল্টি বাঁধ নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী। নদীভাঙন থেকে এলাকা রক্ষায় এই বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাঁধের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বাঁধ অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের একটি শাখা দশআনী নদী। এটি দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দশআনীর একটি শাখা দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের খাপড়াপাড়া গ্রাম দিয়ে বয়ে গেছে। প্রতিবছর ওই এলাকায় নদীভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন রোধে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি খাপড়াপাড়ার বাসিন্দারা নদীতে একটি আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করে। এর ফলে নদীর পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বকশীগঞ্জের কামালের বার্ত্তী, শেখপাড়া, খানপাড়া, বাঙালপাড়া, মদনেরচর, নীলেরচর, কুতুবেরচর ও চরগাজিরপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বকশীগঞ্জের চর আইরমারী গ্রামের বাসিন্দারাও নদীতে আরেকটি পাল্টা বাঁধ নির্মাণ করেন।
খাপড়াপাড়ার বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, ‘নদীভাঙনে অনেক ঘরবাড়ি ও জমি বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যাতে আগামী বর্ষায় নদীর পানি গ্রামে ঢুকতে না পারে, সে জন্য নিজেদের অর্থায়নে বাঁধ নির্মাণ করেছি।’
চর আইরমারীর বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, ‘খাপড়াপাড়ার বাঁধের কারণে সাধুরপাড়া, মেরুরচর ও নীলাখিয়া ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মুখে পড়বে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আইরমারীতে পাল্টা বাঁধ দিয়েছি।’
এ নিয়ে কথা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, নদীতে পানিপ্রবাহ বন্ধের জন্য বাঁধ নির্মাণের কোনো নিয়ম নেই। নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঁধ অপসারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
যোগাযোগ করা হলে জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, ‘ইতিমধ্যে বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি। বৈঠক করেছি দুই পক্ষকে নিয়ে। উভয় পক্ষ বাঁধ অপসারণে সম্মত হয়েছে। বাঁধ অপসারণ করতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা জানান, বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাঁধ নির্মাণকারীদের তা অপসারণের জন্য বলা হয়েছে। শিগগির অপসারণ করা হবে।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে