মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের মেলান্দহ পৌরসভার চাকদহ সরদারবাড়ি এলাকায় বাড়ি হাসনা বেগমের। স্বামী সুলতান মিয়া প্রায় ১২ বছর আগে মারা গিয়েছেন। সেই থেকে চা বিক্রি করে সংসার চলে। অর্থ-সম্পদ বলতে তাঁর কিছুই নেই। তিন মেয়ে আর এক ছেলেকে খেয়ে না খেয়ে বড় করেছেন। তবে এখন আর ছেলেমেয়েরা তাঁর খোঁজখবর নেন না। তাই মেলান্দহ পৌর শহরের সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সামনে ছোট্ট একটি দোকানে চা বিক্রি করেন তিনি।
আজ রোববার বিশ্ব মা দিবসে সকালে হাসনা বেগমের চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বেশির ভাগ ক্রেতাই অটোরিকশাচালক। ভোরে দোকান খুলে সন্ধ্যায় বন্ধ করেন। একার পেট, তাই বাড়িতে রান্নাবান্না করেন না। দুপুর আর রাতে ফুটপাতের দোকানে ভাত খেয়ে নেন। সকালে রুটি-কলা বা হালকা কিছু দিয়ে নাশতা সারেন।
কেমন আছেন জানতে চাইলে হাসনা বেগম বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা কেউ এখন আর খোঁজখবর নেয় না। চিন্তায় থাকি, যদি কখনো অসুস্থ হয়ে পড়ি, তখন আমাকে কে দেখবে? আমার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলেকে কষ্ট করে এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করিয়েছি। আর মেয়েদের বড় করে বিয়ে দিয়েছি। তারা কেউই এখন আর খোঁজখবর নেয় না।’
হাসনা বেগম বলেন, ‘বর্তমানে আমার বাড়িতে কেউ নেই। রান্না করার মতো কিছু নেই। চা বিক্রি করে যে কয় টাকা পাই, তা দিয়ে হোটেলে ভাত কিনে খাই।’
হাসনা বেগমের চা দোকানের ক্রেতা অটোরিকশাচালক ফজলুল হক বলেন, ‘হাসনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় চা-পান বিক্রি করেন। তা দিয়েই তাঁর জীবন চলে। ছেলেমেয়ে থেকেও না থাকার মতো। কেউ এখন আর খোঁজখবর রাখে না। চা-পান বিক্রি করেই তাঁর পেট চলে। প্রতিদিন সকালবেলা দোকান খোলেন, সন্ধ্যায় বন্ধ করেন। বাড়িতে রান্নাবান্না করে না পাশেই ভাতের দোকান থেকে দুই বেলা ভাত খেয়ে জীবন চলছে তাঁর।
জয়নাল আবেদিন নামের আরেক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘জীবনটা তাঁর খুব কষ্টে যাচ্ছে। হাসনা বেগম মাঝেমধ্যে আমাদের সঙ্গে গল্প করেন। তিনি অসুস্থ হলে কী করবেন, তাঁকে কে দেখবে এ নিয়ে তিনি এখন বেশি চিন্তিত। ছেলেমেয়ে কেউ তাঁর খোঁজখবর নেয় না। হঠাৎ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁকে একটু যে কেউ সেবা যত্ন করবে, এমন কেউ নেই। একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেটি খোঁজখবর নেয় না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেলান্দহ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমাজে যারা পিছিয়ে রয়েছে, সেসব নারীকে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। ওই নারী বিধবা ভাতার আওতায় রয়েছেন কিনা সেটা দেখতে হবে। যদি না থাকেন, তাঁকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।
জামালপুরের মেলান্দহ পৌরসভার চাকদহ সরদারবাড়ি এলাকায় বাড়ি হাসনা বেগমের। স্বামী সুলতান মিয়া প্রায় ১২ বছর আগে মারা গিয়েছেন। সেই থেকে চা বিক্রি করে সংসার চলে। অর্থ-সম্পদ বলতে তাঁর কিছুই নেই। তিন মেয়ে আর এক ছেলেকে খেয়ে না খেয়ে বড় করেছেন। তবে এখন আর ছেলেমেয়েরা তাঁর খোঁজখবর নেন না। তাই মেলান্দহ পৌর শহরের সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সামনে ছোট্ট একটি দোকানে চা বিক্রি করেন তিনি।
আজ রোববার বিশ্ব মা দিবসে সকালে হাসনা বেগমের চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বেশির ভাগ ক্রেতাই অটোরিকশাচালক। ভোরে দোকান খুলে সন্ধ্যায় বন্ধ করেন। একার পেট, তাই বাড়িতে রান্নাবান্না করেন না। দুপুর আর রাতে ফুটপাতের দোকানে ভাত খেয়ে নেন। সকালে রুটি-কলা বা হালকা কিছু দিয়ে নাশতা সারেন।
কেমন আছেন জানতে চাইলে হাসনা বেগম বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা কেউ এখন আর খোঁজখবর নেয় না। চিন্তায় থাকি, যদি কখনো অসুস্থ হয়ে পড়ি, তখন আমাকে কে দেখবে? আমার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলেকে কষ্ট করে এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করিয়েছি। আর মেয়েদের বড় করে বিয়ে দিয়েছি। তারা কেউই এখন আর খোঁজখবর নেয় না।’
হাসনা বেগম বলেন, ‘বর্তমানে আমার বাড়িতে কেউ নেই। রান্না করার মতো কিছু নেই। চা বিক্রি করে যে কয় টাকা পাই, তা দিয়ে হোটেলে ভাত কিনে খাই।’
হাসনা বেগমের চা দোকানের ক্রেতা অটোরিকশাচালক ফজলুল হক বলেন, ‘হাসনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় চা-পান বিক্রি করেন। তা দিয়েই তাঁর জীবন চলে। ছেলেমেয়ে থেকেও না থাকার মতো। কেউ এখন আর খোঁজখবর রাখে না। চা-পান বিক্রি করেই তাঁর পেট চলে। প্রতিদিন সকালবেলা দোকান খোলেন, সন্ধ্যায় বন্ধ করেন। বাড়িতে রান্নাবান্না করে না পাশেই ভাতের দোকান থেকে দুই বেলা ভাত খেয়ে জীবন চলছে তাঁর।
জয়নাল আবেদিন নামের আরেক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘জীবনটা তাঁর খুব কষ্টে যাচ্ছে। হাসনা বেগম মাঝেমধ্যে আমাদের সঙ্গে গল্প করেন। তিনি অসুস্থ হলে কী করবেন, তাঁকে কে দেখবে এ নিয়ে তিনি এখন বেশি চিন্তিত। ছেলেমেয়ে কেউ তাঁর খোঁজখবর নেয় না। হঠাৎ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁকে একটু যে কেউ সেবা যত্ন করবে, এমন কেউ নেই। একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেটি খোঁজখবর নেয় না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেলান্দহ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমাজে যারা পিছিয়ে রয়েছে, সেসব নারীকে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। ওই নারী বিধবা ভাতার আওতায় রয়েছেন কিনা সেটা দেখতে হবে। যদি না থাকেন, তাঁকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।
রংপুরের বদরগঞ্জে স্কুলছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানোর অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামের এক দপ্তরির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। ওই দপ্তরির শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে অভিভাবকেরা হুমকি দিয়েছেন। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক অভিভাবক গত বৃহস্পতিবার ইউএন
৩ মিনিট আগেরাজধানীর মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।
১২ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব-১০ সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় কারাগার ও তেঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এই তথ্য জানান।
২২ মিনিট আগেসাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এই নিয়ে ১২০ বারের মতো তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই তারিখ ধার্য করেন।
২৫ মিনিট আগে