শেরপুর প্রতিনিধি
মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে আজ আনন্দের জোয়ার। কিন্তু সন্তানের এমন ভালো ফলাফলের খবরে বাবা-মায়ের যন্ত্রণা যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। যার এই অর্জন, সেই সন্তানই আর পৃথিবীতে নেই। মেয়ের ছবি জড়িয়ে বুক চাপড়ে কাঁদছেন মা। নির্বাক ভঙ্গিতে অঝোরে চোখের পানি ছাড়ছেন বাবা।
শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাশুরা নোকাদ্দেস তানাজ। শ্রীবরদী উপজেলার চরশিমুলচুড়া গ্রামের বাসিন্দা কুয়েতপ্রবাসী মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব ও মোছা. মনিরা বেগম দম্পতির বড় সন্তান ছিল সে। শেরপুর শহরের নওহাটা এলাকায় বাড়ি করে সেখানেই থাকত তানাজের পরিবার। গত ৩১ মার্চ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তানাজ ও তাঁর ছোট ভাই আনাছ নিহত হয়। আহত হন বাবা-মা।
রোববার এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, তানাজ জিপিএ-৫ পেয়েছে। শুধুমাত্র বাংলা বিষয়ে এ গ্রেড, বাকি সব বিষয়েই এ প্লাস পেয়েছে সে। এ খবরে তার বাড়িতে আরও ঘন বিষাদ নেমে আসে।
সরেজমিনে নওহাটা এলাকায় তানাজের বাড়িতে দেখা যায়, ওই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখনো পুরোপুরি সেড়ে ওঠেননি তানাজের মা মনিরা। অসুস্থ মা মেয়ের স্মৃতি স্মরণ করে কেঁদেই চলেছেন। অন্যদিকে মেয়ের ছবি ও স্কুলের আইডি কার্ড বের করে অশ্রুসিক্ত চোখে বারবার হাত বুলিয়ে দেখছেন বাবা মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব।
মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন ছিল মনিরা-তোরাব দম্পতির। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাঁদের সেই স্বপ্ন।
তানাজের বাবা মোকাদ্দেসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তানাজ খুবই মেধাবী ছিল। সে চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। পড়াশোনার প্রতি ওর আগ্রহ আর মনোযোগ দেখে, আমরা ওকে চিকিৎসকই বানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা আমাদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে সব স্বপ্নও কেড়ে নিয়েছে।’
তানাজের মামা সোহাবুর রহমান বাপ্পী বলেন, ‘আমার বড় ভাগনি তানাজ খুবই আদরের ছিল। আমাদের সবার চোখের মনি ছিল সে। কিন্তু এভাবে সে সবাইকে কাঁদিয়ে মারা যাবে, কখনোই ভাবিনি।’
তানাজের বিষয়ে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু তারেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তানাজ খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে খুবই শান্তশিষ্ট ছিল। তানাজ জেএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষাতেও সে খুব ভালো করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফল প্রকাশের পর তার সহপাঠীরাও তানাজকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ তানাজের মামা কুয়েতপ্রবাসী সোহাবুর রহমান বাপ্পীকে বিমানবন্দর থেকে আনতে সপরিবারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পথে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তানাজ ও তার ছোট ভাই আড়াই বছর বয়সী শিশু আনাছ। আহত হয় তাদের বাবা-মাসহ তিনজন।
মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে আজ আনন্দের জোয়ার। কিন্তু সন্তানের এমন ভালো ফলাফলের খবরে বাবা-মায়ের যন্ত্রণা যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। যার এই অর্জন, সেই সন্তানই আর পৃথিবীতে নেই। মেয়ের ছবি জড়িয়ে বুক চাপড়ে কাঁদছেন মা। নির্বাক ভঙ্গিতে অঝোরে চোখের পানি ছাড়ছেন বাবা।
শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাশুরা নোকাদ্দেস তানাজ। শ্রীবরদী উপজেলার চরশিমুলচুড়া গ্রামের বাসিন্দা কুয়েতপ্রবাসী মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব ও মোছা. মনিরা বেগম দম্পতির বড় সন্তান ছিল সে। শেরপুর শহরের নওহাটা এলাকায় বাড়ি করে সেখানেই থাকত তানাজের পরিবার। গত ৩১ মার্চ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তানাজ ও তাঁর ছোট ভাই আনাছ নিহত হয়। আহত হন বাবা-মা।
রোববার এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, তানাজ জিপিএ-৫ পেয়েছে। শুধুমাত্র বাংলা বিষয়ে এ গ্রেড, বাকি সব বিষয়েই এ প্লাস পেয়েছে সে। এ খবরে তার বাড়িতে আরও ঘন বিষাদ নেমে আসে।
সরেজমিনে নওহাটা এলাকায় তানাজের বাড়িতে দেখা যায়, ওই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখনো পুরোপুরি সেড়ে ওঠেননি তানাজের মা মনিরা। অসুস্থ মা মেয়ের স্মৃতি স্মরণ করে কেঁদেই চলেছেন। অন্যদিকে মেয়ের ছবি ও স্কুলের আইডি কার্ড বের করে অশ্রুসিক্ত চোখে বারবার হাত বুলিয়ে দেখছেন বাবা মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব।
মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন ছিল মনিরা-তোরাব দম্পতির। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাঁদের সেই স্বপ্ন।
তানাজের বাবা মোকাদ্দেসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তানাজ খুবই মেধাবী ছিল। সে চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। পড়াশোনার প্রতি ওর আগ্রহ আর মনোযোগ দেখে, আমরা ওকে চিকিৎসকই বানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা আমাদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে সব স্বপ্নও কেড়ে নিয়েছে।’
তানাজের মামা সোহাবুর রহমান বাপ্পী বলেন, ‘আমার বড় ভাগনি তানাজ খুবই আদরের ছিল। আমাদের সবার চোখের মনি ছিল সে। কিন্তু এভাবে সে সবাইকে কাঁদিয়ে মারা যাবে, কখনোই ভাবিনি।’
তানাজের বিষয়ে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু তারেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তানাজ খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে খুবই শান্তশিষ্ট ছিল। তানাজ জেএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষাতেও সে খুব ভালো করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফল প্রকাশের পর তার সহপাঠীরাও তানাজকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ তানাজের মামা কুয়েতপ্রবাসী সোহাবুর রহমান বাপ্পীকে বিমানবন্দর থেকে আনতে সপরিবারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পথে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তানাজ ও তার ছোট ভাই আড়াই বছর বয়সী শিশু আনাছ। আহত হয় তাদের বাবা-মাসহ তিনজন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে একটি মা হাতির ডান পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে বাংলাদেশ অংশে ঢুকে পড়েছে। হাতিটি গত সাত দিন সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে থাকার পর গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সীমান্ত সড়ক পেরিয়ে স্থানীয় একটি গ্রামে ঢুকে ধানখেত ও পানের বরজ নষ্ট করে। এখন
১ সেকেন্ড আগেবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আগামী ৫ অক্টোবর থেকে নিয়মিত ক্লাস ও সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। এর আগে শিক্ষার্থীরা ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে নিজ নিজ আবাসিক হলে উঠতে পারবেন।
১৫ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফুটবল খেলা শুরুর আগে কিছু ছাত্র স্কুলমাঠে গিয়ে প্রকাশ্যে হাতুড়ি দেখানোয় খেলা স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দুই স্কুলের মধ্যে ফুটবল সেমিফাইনাল হওয়ার কথা ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী খেলা স্থগিত করার কথা নিশ্চিত করেছেন।
১৬ মিনিট আগেকমলা রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারীকে নিয়ে টানাটানি করছেন চল্লিশোর্ধ্ব দুই ব্যক্তি। তাঁরা দুজনই ওই নারীকে স্ত্রী দাবি করছেন। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের চারখাম্বার মোড়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। আর তাই দেখতে ভিড় জমে উৎসুক মানুষদের। খবর পেয়ে পুলিশ তিনজনকেই নিয়ে যায় থানায়।
২০ মিনিট আগে