মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং স্কুলের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরে মদন-নেত্রকোনা সড়কে বটতলা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক তিনজনের নাম উল্লেখ করে ওই দিন রাতে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান উপজেলার বাগজান কুটুরীকোনা মডেল হাই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মনুসর মিয়া তিয়শ্রী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বাগজান গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে ও ওই স্কুল কমিটির সদস্য। এ ছাড়াও এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, মনসুরের সঙ্গে থাকা একই গ্রামের মৃত মাজু মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া ও কুটুরীকোনা গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে আঙ্গুর।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর বাগজান কুটুরীকোনা মডেল হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মনসুর মিয়াসহ পাঁচজন অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হন। ২৭ ডিসেম্বর ওই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে সকলের উপস্থিতিতে রহিছ মিয়া নামের একজনকে কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু নবগঠিত ওই কমিটির বিরুদ্ধে মনসুর মিয়াসহ আরও দুজন সদস্য দীর্ঘদিন পর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার হাজিরা দিতে বিদ্যালয়ের সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে গতকাল রোববার সকালে নেত্রকোনা আদালতে রওনা হন প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান। আদালতে যাওয়ার পথে নেত্রকোনা-মদন সড়কের বালী বাজার নামক স্থান থেকে জোরপূর্বক একটি গাড়ি দিয়ে প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে যান মুনসুরসহ কয়েকজন। পরে মদন-নেত্রকোনা সড়কের বটতলা নামক স্থানে এসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে থাকা স্কুলের প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক কাগজপত্রের ব্যাগটি আটকানোর চেষ্টা করলে হাতাহাতির ঘটনার একপর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মুনসুরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ওই দিন রাতেই মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান বলেন, ‘কমিটি নিয়ে মামলা হওয়ার পর থেকে মুনসুর মিয়াসহ তিনজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি এর আগেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়ে রেখেছি। রোববার মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যাওয়ার সময় মদন-নেত্রকোনা সড়ক থেকে আমাকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। বটতলা নামকস্থানে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির কাগজপত্রসহ সব ছিনতাই করে নিয়ে যায়। স্কুলের কাগজপত্র উদ্ধার ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চানগাও গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে ছালাম মিয়া বলেন, ‘আমি গাড়ি দিয়ে নেত্রকোনা থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে মদন আসতেছিলাম। বটতলা নামকস্থানে এসে দেখতে পাই বাগজান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক শিক্ষার্থী জানান, মুনসুর মিয়া স্কুলে এসে সব সময় খারাপ আচরণ করেন। কয়েকবার শিক্ষক হাজিরা খাতাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কয়েক দিন প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধও করেছেন। বিদ্যালয়ের একটি সুন্দর পরিবেশ করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুনসুর মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দেড় মাস আগে স্কুলের কাগজপত্র প্রধান শিক্ষকের কাছে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে আমাকে দেয়নি। তবে প্রধান শিক্ষককে আমি অপহরণ বা কাগজপত্র ছিনতাই করিনি।’
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে মদন থানার এসআই আশরাউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। কাগজপত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং স্কুলের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরে মদন-নেত্রকোনা সড়কে বটতলা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক তিনজনের নাম উল্লেখ করে ওই দিন রাতে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান উপজেলার বাগজান কুটুরীকোনা মডেল হাই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মনুসর মিয়া তিয়শ্রী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বাগজান গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে ও ওই স্কুল কমিটির সদস্য। এ ছাড়াও এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, মনসুরের সঙ্গে থাকা একই গ্রামের মৃত মাজু মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া ও কুটুরীকোনা গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে আঙ্গুর।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর বাগজান কুটুরীকোনা মডেল হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মনসুর মিয়াসহ পাঁচজন অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হন। ২৭ ডিসেম্বর ওই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে সকলের উপস্থিতিতে রহিছ মিয়া নামের একজনকে কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু নবগঠিত ওই কমিটির বিরুদ্ধে মনসুর মিয়াসহ আরও দুজন সদস্য দীর্ঘদিন পর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার হাজিরা দিতে বিদ্যালয়ের সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে গতকাল রোববার সকালে নেত্রকোনা আদালতে রওনা হন প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান। আদালতে যাওয়ার পথে নেত্রকোনা-মদন সড়কের বালী বাজার নামক স্থান থেকে জোরপূর্বক একটি গাড়ি দিয়ে প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে যান মুনসুরসহ কয়েকজন। পরে মদন-নেত্রকোনা সড়কের বটতলা নামক স্থানে এসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে থাকা স্কুলের প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক কাগজপত্রের ব্যাগটি আটকানোর চেষ্টা করলে হাতাহাতির ঘটনার একপর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মুনসুরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ওই দিন রাতেই মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান বলেন, ‘কমিটি নিয়ে মামলা হওয়ার পর থেকে মুনসুর মিয়াসহ তিনজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি এর আগেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়ে রেখেছি। রোববার মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যাওয়ার সময় মদন-নেত্রকোনা সড়ক থেকে আমাকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। বটতলা নামকস্থানে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির কাগজপত্রসহ সব ছিনতাই করে নিয়ে যায়। স্কুলের কাগজপত্র উদ্ধার ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চানগাও গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে ছালাম মিয়া বলেন, ‘আমি গাড়ি দিয়ে নেত্রকোনা থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে মদন আসতেছিলাম। বটতলা নামকস্থানে এসে দেখতে পাই বাগজান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক শিক্ষার্থী জানান, মুনসুর মিয়া স্কুলে এসে সব সময় খারাপ আচরণ করেন। কয়েকবার শিক্ষক হাজিরা খাতাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কয়েক দিন প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধও করেছেন। বিদ্যালয়ের একটি সুন্দর পরিবেশ করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুনসুর মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দেড় মাস আগে স্কুলের কাগজপত্র প্রধান শিক্ষকের কাছে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে আমাকে দেয়নি। তবে প্রধান শিক্ষককে আমি অপহরণ বা কাগজপত্র ছিনতাই করিনি।’
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে মদন থানার এসআই আশরাউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। কাগজপত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
২ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৭ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে