Ajker Patrika

শেরপুরে বেড়েছে নদ-নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ২৩: ৫৭
ঝিনাইগাতীর ধানশাইল বাগেরভিটা এলাকায় সোমেশ্বরী নদীতে বেড়েছে পানি। রোববার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইগাতীর ধানশাইল বাগেরভিটা এলাকায় সোমেশ্বরী নদীতে বেড়েছে পানি। রোববার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুদিনের বৃষ্টি ও উজানে ভারতের মেঘালয়ে টানা বৃষ্টির কারণে শেরপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সব কটি নদ-নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এতে জনজীবনের পাশাপাশি কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বন্যা মোকাবিলায় শেরপুর জেলা কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ের কৃষকদের দ্রুত আধা পাকা ধান কেটে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় যেসব ধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে, তা দ্রুত কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলার ৮০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি ধানগুলোও দ্রুত কেটে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে ও আজ রোববার সকালে কয়েক দফা মাঝারি বর্ষণের কারণে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা এলাকায় সোমেশ্বরী নদীতে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজে ময়লা-আবর্জনা আটকে পানির তোড়ে পাশের সড়কের কিছু অংশ এবং একটি দোকান আংশিক ভেঙে গেছে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত কোনো এলাকা বা বাড়িঘর প্লাবিত হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল।

ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বাগেরভিটা এলাকায় সোমেশ্বরী নদীতে নির্মাণাধীন ব্রিজের নিচে কাঠের শাটারিং না খোলায় পাহাড়ি ঢলের পানি সেখানে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্রিজের পাশে একটি দোকানের একাংশ ভেঙে যায় এবং কিছু পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। তবে এতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।

ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর বর্তমান অবস্থা। রোববার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর বর্তমান অবস্থা। রোববার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইগাতীর ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই ব্রিজের নিচের শাটারিং খুলে ফেলতে উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। আমরা বন্যার পূর্বাভাস পেয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’

এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বন্যার আশঙ্কা থাকায় সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা প্রতিটি উপজেলায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করছি। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে এবং জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস দিলেন স্ত্রী

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

ইরানে ভূমিকম্প নিয়ে পারমাণবিক পরীক্ষার জল্পনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত