জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরের গারো পাহাড়ে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। দখলদারদের কারণে বনে পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে প্রতিদিনই হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে। ধানখেতে হানা দিচ্ছে। হাতির আক্রমণের ভয়ে খেতের আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন সীমান্ত এলাকার অনেক কৃষক।
ধান রক্ষায় কৃষকের দেওয়া বিদ্যুতের জিআই তারে জড়িয়ে এবং মানুষের আঘাতে মারা পড়ছে একের পর এক বন্য হাতি। আবার হাতির আক্রমণে মারা পড়ছে মানুষও। এভাবেই পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বাড়ছে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব। এক সপ্তাহ আগেও নালিতাবাড়ী উপজেলার বাতকুচি টিলাপাড়া এলাকায় ধানখেতের বিদ্যুতের ফাঁদে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। তবে এ দ্বন্দ্বের নিরসন চান পরিবেশবিদেরা। তাঁরা বলছেন, হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রয়োজন হাতির অভয়ারণ্য ও পর্যাপ্ত খাবারের জোগান।
জানা গেছে, একসময় শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের বনাঞ্চল বিস্তৃত ছিল বিশাল এলাকাজুড়ে। কিন্তু কালের বিবর্তনে পাহাড়ে বসতি স্থাপন করেছে মানুষ। ধীরে ধীরে ছোট হয়ে এসেছে হাতির বিচরণক্ষেত্র। ১৯৯৫ সালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গহিন পাহাড় থেকে দলছুট হয়ে বাংলাদেশে চলে আসা শতাধিক বন্য হাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে খাদ্যের অভাবে নানা সময় নেমে আসছে সীমান্তের ফসলের খেত ও বাড়িঘরে। এতে ফসল বাঁচাতে বাধা দিচ্ছে মানুষ। নানাভাবে মারা হচ্ছে হাতি। ক্ষিপ্ত হয়ে হাতিও আক্রমণ করছে মানুষকে। মারা পড়ছে মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল-বাড়িঘর। এভাবে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে হাতি-মানুষের লড়াই।
বিশেষ করে পাকা ধানের মৌসুমে লোকালয়ে হাতির আনাগোনা বেড়ে যায়। পাহাড়ে খাদ্যের অভাবে হাতির দল নেমে আসে কৃষকের ধানখেতে। কৃষকেরা ধান ও জানমাল রক্ষায় মশাল, বল্লম ও পটকা নিয়ে খেত পাহারা দেন। শুরু হয় হাতি-মানুষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। হাতি এখন আগুন ও শব্দে ভয় পায় না। তবে হাতি হত্যার দায় নিতে চান না স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, হাতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘হাতির আক্রমণের ভয়ে আমরা রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারছি না। এখন রাত জেগে মশাল নিয়ে বাড়িঘর ও খেত পাহারা
দিচ্ছি। হাতি প্রায় সময়েই আমাদের ফসল খেয়ে যাচ্ছে।’
বন বিভাগের তথ্যমতে, গত এক যুগে শেরপুরের গারো পাহাড়ে মারা পড়েছে অন্তত ৩০টি বন্য হাতি। বিপরীতে হাতির আক্রমণে মারা পড়েছেন ৩৫ জন মানুষ। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ক্ষতি হয়েছে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ও ফসলের। তবে বৈদ্যুতিক শকে হাতি মারার ঘটনায় গত তিন বছরে মাত্র তিনটি মামলা করা হয়েছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন শাইনের সভাপতি মুগনিউর রহমান মনি বলেন, হাতি হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়ায় থামছে না হাতির মৃত্যু। তাই হাতি হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে বনে হাতির পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা ও সীমান্তে অভয়ারণ্য তৈরি করতে হবে। তা হলেই হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, সীমান্তে সোলার ফেন্সি, বায়ো ফেন্সি করে এবং ইআরটি টিমের সংখ্যা বাড়িয়ে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। হাতির কারণে যাঁদের আবাদি ফসল, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাঁদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি কীভাবে দ্রুত নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শেরপুর সীমান্তের বনাঞ্চলে এখন কমবেশি প্রায় ১২০টির মতো হাতি বিচরণ করছে। এগুলো পরিযায়ী হাতি হলেও এখন প্রায় ৪০-৫০টি বন্য হাতি দীর্ঘদিন ধরে শেরপুর সীমান্তে অবস্থান করছে।
শেরপুরের গারো পাহাড়ে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। দখলদারদের কারণে বনে পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে প্রতিদিনই হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে। ধানখেতে হানা দিচ্ছে। হাতির আক্রমণের ভয়ে খেতের আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন সীমান্ত এলাকার অনেক কৃষক।
ধান রক্ষায় কৃষকের দেওয়া বিদ্যুতের জিআই তারে জড়িয়ে এবং মানুষের আঘাতে মারা পড়ছে একের পর এক বন্য হাতি। আবার হাতির আক্রমণে মারা পড়ছে মানুষও। এভাবেই পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বাড়ছে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব। এক সপ্তাহ আগেও নালিতাবাড়ী উপজেলার বাতকুচি টিলাপাড়া এলাকায় ধানখেতের বিদ্যুতের ফাঁদে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। তবে এ দ্বন্দ্বের নিরসন চান পরিবেশবিদেরা। তাঁরা বলছেন, হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রয়োজন হাতির অভয়ারণ্য ও পর্যাপ্ত খাবারের জোগান।
জানা গেছে, একসময় শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের বনাঞ্চল বিস্তৃত ছিল বিশাল এলাকাজুড়ে। কিন্তু কালের বিবর্তনে পাহাড়ে বসতি স্থাপন করেছে মানুষ। ধীরে ধীরে ছোট হয়ে এসেছে হাতির বিচরণক্ষেত্র। ১৯৯৫ সালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গহিন পাহাড় থেকে দলছুট হয়ে বাংলাদেশে চলে আসা শতাধিক বন্য হাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে খাদ্যের অভাবে নানা সময় নেমে আসছে সীমান্তের ফসলের খেত ও বাড়িঘরে। এতে ফসল বাঁচাতে বাধা দিচ্ছে মানুষ। নানাভাবে মারা হচ্ছে হাতি। ক্ষিপ্ত হয়ে হাতিও আক্রমণ করছে মানুষকে। মারা পড়ছে মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল-বাড়িঘর। এভাবে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে হাতি-মানুষের লড়াই।
বিশেষ করে পাকা ধানের মৌসুমে লোকালয়ে হাতির আনাগোনা বেড়ে যায়। পাহাড়ে খাদ্যের অভাবে হাতির দল নেমে আসে কৃষকের ধানখেতে। কৃষকেরা ধান ও জানমাল রক্ষায় মশাল, বল্লম ও পটকা নিয়ে খেত পাহারা দেন। শুরু হয় হাতি-মানুষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। হাতি এখন আগুন ও শব্দে ভয় পায় না। তবে হাতি হত্যার দায় নিতে চান না স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, হাতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘হাতির আক্রমণের ভয়ে আমরা রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারছি না। এখন রাত জেগে মশাল নিয়ে বাড়িঘর ও খেত পাহারা
দিচ্ছি। হাতি প্রায় সময়েই আমাদের ফসল খেয়ে যাচ্ছে।’
বন বিভাগের তথ্যমতে, গত এক যুগে শেরপুরের গারো পাহাড়ে মারা পড়েছে অন্তত ৩০টি বন্য হাতি। বিপরীতে হাতির আক্রমণে মারা পড়েছেন ৩৫ জন মানুষ। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ক্ষতি হয়েছে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ও ফসলের। তবে বৈদ্যুতিক শকে হাতি মারার ঘটনায় গত তিন বছরে মাত্র তিনটি মামলা করা হয়েছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন শাইনের সভাপতি মুগনিউর রহমান মনি বলেন, হাতি হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়ায় থামছে না হাতির মৃত্যু। তাই হাতি হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে বনে হাতির পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা ও সীমান্তে অভয়ারণ্য তৈরি করতে হবে। তা হলেই হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, সীমান্তে সোলার ফেন্সি, বায়ো ফেন্সি করে এবং ইআরটি টিমের সংখ্যা বাড়িয়ে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। হাতির কারণে যাঁদের আবাদি ফসল, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাঁদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি কীভাবে দ্রুত নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শেরপুর সীমান্তের বনাঞ্চলে এখন কমবেশি প্রায় ১২০টির মতো হাতি বিচরণ করছে। এগুলো পরিযায়ী হাতি হলেও এখন প্রায় ৪০-৫০টি বন্য হাতি দীর্ঘদিন ধরে শেরপুর সীমান্তে অবস্থান করছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর রামপুরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এর জেরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার রুমে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্তৃপক্ষ।
২ ঘণ্টা আগে