এম কে দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি হতে না হতেই নদীটির বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে যমুনা নদীর বাম পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় নির্মাণের দেড় বছরেই বাঁধে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাঁধের ধস ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ যেন অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনার ভাঙন প্রতিরোধে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানি বাজার থেকে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টে ৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালে শুরু হয়ে ২০১৭ সালে বাঁধ নির্মাণ শেষ হয়।
এর মধ্যে ইসলামপুরের কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের আড়াই কিলোমিটারের জন্য ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প নামে একটি তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ করা হয়।
বাঁধ এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বাঁধ নির্মাণ করায় বেলগাছ, কুলকান্দী, পার্থশী ও চিনাডুলী ইউনিয়নসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যমুনায় পানির ঢল নেমেছে। কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের মাঝামাঝি কুলকান্দী গ্রামের মিয়াপাড়া পুরোনো পাইলিং ঘাট এলাকায় দুইটি পয়েন্ট বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধের অন্তত ২০ মিটার অংশ ধসে যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। হুমকির মুখে পড়েছে কুলকান্দী শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, কুলকান্দী বাজার, একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বসতবাড়িসহ কয়েক শ একর ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয়দের দাবি, বাঁধের ধস ঠেকাতে অতি দ্রুত যেন কর্তৃপক্ষ টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অপরদিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলার কুলকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিছুই অবগত নন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎ করে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যমুনায় পানি বাড়ার কারণে পানির চাপে বাঁধে ধস দেখা দিতে পারে।’
বাঁধ এলাকার আকবর আলী, সুজন, মিজান ও সাইফুল জানান, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় নির্মাণের দেড় বছরেই বাঁধ ধসে পড়ছে। এ ছাড়া একটি শক্তিশালী বালু সিন্ডিকেটরা দীর্ঘদিন যাবৎ নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধের ভাঙন রোধে অতি দ্রুত টেকসই পদক্ষেপ না নিলে বাঁধসহ যমুনার তীরবর্তী এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কুলকান্দী শামছুন্নাহার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার, আজাদ ও দিপামণি জানায়, যমুনার পানি বৃদ্ধি হতে না হতে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বাঁধের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের বিদ্যালয়ও যমুনার গর্ভে বিলীন হতে পারে।
কুলকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু বলেন, ‘বাঁধে ভাঙন ধরার বিষয়টি আমি জানি না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘বাঁধ ধসে যাওয়ার খবর আমার জানা নেই। ঘটনাটি আমি আপনার কাছে জানলাম। এখন খোঁজ খবর নেব।’
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, ‘বাঁধের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বাঁধের ধস ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, যমুনা নদীতে নতুন চ্যানেল বের হওয়ায় ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে তীর রক্ষা বাঁধের ৯০ মিটার অংশের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সময় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ধস ঠেকায় জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘বাঁধ ধসে যাওয়ার বিষয়ে আমি জানি না। তবে বাঁধ রক্ষায় আমরা তৎপর রয়েছি। প্রয়োজনে বাঁধ রক্ষায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করা হবে।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি হতে না হতেই নদীটির বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে যমুনা নদীর বাম পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় নির্মাণের দেড় বছরেই বাঁধে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাঁধের ধস ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ যেন অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনার ভাঙন প্রতিরোধে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানি বাজার থেকে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টে ৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালে শুরু হয়ে ২০১৭ সালে বাঁধ নির্মাণ শেষ হয়।
এর মধ্যে ইসলামপুরের কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের আড়াই কিলোমিটারের জন্য ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প নামে একটি তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ করা হয়।
বাঁধ এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বাঁধ নির্মাণ করায় বেলগাছ, কুলকান্দী, পার্থশী ও চিনাডুলী ইউনিয়নসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যমুনায় পানির ঢল নেমেছে। কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের মাঝামাঝি কুলকান্দী গ্রামের মিয়াপাড়া পুরোনো পাইলিং ঘাট এলাকায় দুইটি পয়েন্ট বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধের অন্তত ২০ মিটার অংশ ধসে যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। হুমকির মুখে পড়েছে কুলকান্দী শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, কুলকান্দী বাজার, একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বসতবাড়িসহ কয়েক শ একর ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয়দের দাবি, বাঁধের ধস ঠেকাতে অতি দ্রুত যেন কর্তৃপক্ষ টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অপরদিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলার কুলকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিছুই অবগত নন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎ করে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যমুনায় পানি বাড়ার কারণে পানির চাপে বাঁধে ধস দেখা দিতে পারে।’
বাঁধ এলাকার আকবর আলী, সুজন, মিজান ও সাইফুল জানান, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় নির্মাণের দেড় বছরেই বাঁধ ধসে পড়ছে। এ ছাড়া একটি শক্তিশালী বালু সিন্ডিকেটরা দীর্ঘদিন যাবৎ নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধের ভাঙন রোধে অতি দ্রুত টেকসই পদক্ষেপ না নিলে বাঁধসহ যমুনার তীরবর্তী এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কুলকান্দী শামছুন্নাহার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার, আজাদ ও দিপামণি জানায়, যমুনার পানি বৃদ্ধি হতে না হতে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বাঁধের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের বিদ্যালয়ও যমুনার গর্ভে বিলীন হতে পারে।
কুলকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু বলেন, ‘বাঁধে ভাঙন ধরার বিষয়টি আমি জানি না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘বাঁধ ধসে যাওয়ার খবর আমার জানা নেই। ঘটনাটি আমি আপনার কাছে জানলাম। এখন খোঁজ খবর নেব।’
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, ‘বাঁধের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বাঁধের ধস ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, যমুনা নদীতে নতুন চ্যানেল বের হওয়ায় ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে তীর রক্ষা বাঁধের ৯০ মিটার অংশের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সময় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ধস ঠেকায় জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘বাঁধ ধসে যাওয়ার বিষয়ে আমি জানি না। তবে বাঁধ রক্ষায় আমরা তৎপর রয়েছি। প্রয়োজনে বাঁধ রক্ষায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করা হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) ক্লাস আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
৯ মিনিট আগেপুলিশ সুপার বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরও একটি বিভাগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করছে। তবে মাদক নির্মূলের জন্য সবার সহযোগিতা জরুরি। তিনি তথ্য দিয়ে কিংবা সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে মাদক নির্মূলের আহ্বান জানান। প্রয়োজনে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে বয়কট করার পরামর্শও দে
১৩ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জবায়দুর রহমান হত্যা মামলায় বিএনপির ১২৩ নেতা-কর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সমরেশ শীল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
১৭ মিনিট আগেকর্মসূচিতে অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের সব বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আগেও আন্দোলন করেছিলাম। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে স্থগিত করেছি। কিন্তু বর্তমানে এই প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। দেশের বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল থাকলেও আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করার জবাব
৩০ মিনিট আগে