Ajker Patrika

সাংবাদিক নাদিম হত্যায় চেয়ারম্যান বাবুসহ ১৩ আসামি রিমান্ডে

জামালপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, ১৮: ৩৬
সাংবাদিক নাদিম হত্যায় চেয়ারম্যান বাবুসহ ১৩ আসামি রিমান্ডে

সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৩ আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার বাবুর পাঁচ দিনের, তাঁর ১২ সহযোগীর ছয়জনের চার দিন করে এবং বাকি ছয়জনের তিন দিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

দুপুরে জামালপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তানভীর আহম্মেদ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১৩ আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে ভিন্ন মেয়াদে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বেলা ১১টায় বকশীগঞ্জ থানা থেকে মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে জামালপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। পরে সেখান থেকে আদালতে আনা হয়। 

গতকাল শনিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল রানা সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৯ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত আজ রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন। গতকাল শনিবার পঞ্চগড় থেকে মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, জাকিরুল ও মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার হন রেজাউল। 

আজ দুপুরে বাবুসহ চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল রানা। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের জানান, ১৩ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যানকে পাঁচ দিন, ছয় আসামিকে তিন দিন এবং বাকি ছয় আসামিকে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম। পরে সাংবাদিক ও স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মারা যান। 

গতকাল বকশীগঞ্জ থানায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যার মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ও রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় কিছুটা হলেও শান্তি পেয়েছি।’

তাঁর দাবি, মামলার ২ নম্বর আসামি বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত ও রাকি বিল্লাহ্ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিতে হবে। এ ছাড়া সব হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত