Ajker Patrika

ময়মনসিংহ হাই-টেক পার্ক

কাজে ধীরগতি, দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে মেয়াদ

  • ২০২২ সালের জুনে নির্মাণকাজ শুরু করে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলঅ্যান্ডটি।
  • কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে।
  • গত বছরের ৫ আগস্টের পর থমকে যায় কাজ।
  • ৭ মাস বন্ধ থাকার পর এখন ফের চলছে নির্মাণ।
ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ  
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৩২
ময়মনসিংহে চলছে সাততলাবিশিষ্ট হাই-টেক পার্কের নির্মাণকাজ। সম্প্রতি তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে চলছে সাততলাবিশিষ্ট হাই-টেক পার্কের নির্মাণকাজ। সম্প্রতি তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে নির্মিত হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত হাই-টেক পার্ক। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জেরে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থমকে যায় প্রকল্পের কাজ। সাত মাস বন্ধ থাকার পর এখন ধীরগতিতে চলছে পার্কটির নির্মাণ। ইতিমধ্যে এক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর আরেক দফা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। তবে পুরোদমে কাজ শুরু করা না গেলে সেই সময়েও প্রকল্পটি সম্পন্ন করা যাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ নগরের কিসমত এলাকায় ছয় দশমিক এক একর জমিতে পার্ক নির্মাণে ২০১৭ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০২২ সালের জুনে নির্মাণকাজ শুরু করে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রু (এলঅ্যান্ডটি) এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ভয়েন্টস সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড। সাততলাবিশিষ্ট প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১৫৩ কোটি টাকা। প্রতি তলায় জায়গা থাকবে ১৫ হাজার বর্গফুট।

এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে। পরে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। তাতেও কাজ শেষ করতে না পারায় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরোদমে কাজ করার সুযোগ পেলে সম্পন্ন হতে সময় লাগবে আরও এক বছর।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণকাজে নিয়োজিত আছেন ৫০-৬০ শ্রমিক; যেখানে ২৫০-৩০০ শ্রমিক কাজ করার কথা ছিল। গত ৩০ জুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে ভারতে চলে গেলে দুশ্চিন্তা বাড়ে কর্মকর্তাদের। তাঁরা বলছেন, আগের নকশা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। তবে দ্রুত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান না ফিরলে বা নতুন নিয়োগ না হলে বন্ধ হয়ে যাবে কাজ।

প্রকল্পটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হলে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কাজ ফেলে চলে যায়। তখন প্রায় সাত মাস কাজ বন্ধ ছিল। পরিবেশ-পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবার কাজ শুরু হয়। তবে সেটা অনেকটাই সীমিত পরিসরে। যেখানে ৩০০ শ্রমিক কাজ করত, সেখানে এখন করছে ৫০-৬০ জন। এখন নতুন করে উদ্বেগের কারণ হলো পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চলে যাওয়া। তবে আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারলে এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলঅ্যান্ডটির প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এই প্রকল্পে আমি নতুন যোগদান করেছি। সবকিছু বুঝতেও একটু সময় লাগছে। কাজ ধাপে ধাপে শুরু করা হচ্ছে। পুরোদমে শুরু করতে পারলে এক বছরের মধ্যে সরকারকে বুঝিয়ে দিতে পারব।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে কর্মসংস্থান হবে হাজার মানুষের। প্রতিবছর বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ পাবে ১ হাজার তরুণ-তরুণী। স্থানীয়রা বলছেন, গতি ফিরিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হোক নির্মাণ।

কিসমতপুরের বাসিন্দা হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘এটি শুধু একটি প্রকল্প নয়, এখানে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে। প্রকল্প শুরুর দিকে জায়গা-জমি নিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও আমরা আগ্রহভরে জমি দিয়েছি। প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হওয়ার মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন হোক, সেটাই চাচ্ছি।’

আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। আইটি পার্কের কাজ সম্পন্ন হলে সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে জীবনকে সাজাতে চাই। আমার মতো অনেক তরুণের স্বপ্ন এই পার্ক। কোনো কারণে যেন কাজের গতি না হারায়, সরকারকে সে দিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল মুমিন খান বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভারতে চলে যাওয়ায় কাজে স্থবিরতা দেখা দেয়। কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করতে আরও এক বছর সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তারা কাজে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশা করছি দু-এক মাসের মধ্যে চলেও আসবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেছারাবাদের ‘অদম্য যুবসমাজ’: স্বেচ্ছাশ্রমে ৩০টি সেতু সংস্কার

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিরোজপুরের নেছারাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি বা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যোগাযোগব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অবহেলিত জনপদের ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুন কাঠামোয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বলদিয়া ইউনিয়নের ৩০ তরুণের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ‘সবার আগে বলদিয়া’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ক্ষুদ্র অর্থায়নে এ পর্যন্ত ৩০টি সেতু সংস্কার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তাঁরা এখন ‘অদম্য যুবসমাজ’ নামে পরিচিত।

বলদিয়া ইউনিয়নের চামি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একতা বাজার থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এলজিইডির অধীনে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ছিল তিনটি পুল (ছোট সেতু)। এই রাস্তা দিয়ে কোনো রোগী পরিবহন বা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারত না। একবার রাস্তাটির পুলসহ পুরো রাস্তার জন্য টেন্ডার হলেও সরকার পরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা গাছ ও বাঁশের সাহায্যে পুলগুলোতে জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতেন। গত শনিবার ‘সবার আগে বলদিয়া’ সংগঠনের সদস্যরা সারা দিন স্বেচ্ছাশ্রমে এ তিনটি পুল সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করেন। এতে রাস্তাটি পুনরায় সচল হওয়ায় এলাকাবাসীর মুখে হাসি ফোটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দ না পাওয়ায় এত দিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই তরুণেরা প্রমাণ করেছে, উন্নয়নের জন্য শুধু বরাদ্দ নয়, দরকার ইচ্ছা আর আগ্রহ।’

একই ইউনিয়নে অবস্থিত বলদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে ৬০ ফুট লম্বা একটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে সেটি পার হতো। সংগঠনের উদ্যোগে সেটি সংস্কার করা হলে এখন শিক্ষার্থীরা নিশ্চিন্তে চলাচল করছে। বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলে, ‘আগে সেতু পার হতে ভয় লাগত, এখন মনে হয় নতুন রাস্তা পেয়েছি।’

উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাগরকান্দা বাজার থেকে জিনুহার গ্রাম পর্যন্ত সড়কেও একই ধরনের কাজ করেছে সংগঠনটি। নাথপাড়া এলাকায় স্কুল, মসজিদ ও মন্দিরসংলগ্ন তিনটি পুল প্রায় ১৫ বছর ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের পর সংগঠনের নেতা মো. মাসুদ পারভেজ ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে নতুন করে তিনটি সেতু নির্মিত হয়।

ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ দিয়েছিলেন। আমরা সেই অর্থে পাঁচটি সেতু করেছি। এ ছাড়াও আমরা আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে ২৫টি সেতু সংস্কার করেছি।’

সংগঠনের সভাপতি মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘প্রথমে নিজেদের অর্থায়নে ২২টি সেতু সংস্কার করেছি। পরে সোহেল মঞ্জুর সুমন সাহেবের সহায়তায় আরও পাঁচটি নতুন সেতু করেছি। শনিবার চামি গ্রামে আরও তিনটি সেতু সংস্কার শেষে আমাদের মোট কাজের সংখ্যা ৩০-এ পৌঁছেছে। শুরুতে সদস্য ছিল ৩০ জন, এখন শতাধিক তরুণ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।’

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, যুবকদের এমন কাজ প্রশংসার দাবিদার এবং দৃষ্টান্ত। তিনি এই কাজকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অসাধারণ উদ্যোগ। অন্য ইউনিয়নের লোকেরা এগিয়ে আসতে পারেন এমনভাবে নিজেদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জৈন্তাপুরের লাল শাপলার বিল: কচুরিপানার আগ্রাসনে হারাচ্ছে সৌন্দর্য

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৬
কচুরিপানার আধিপত্য বাড়ছে জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার বিলে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কচুরিপানার আধিপত্য বাড়ছে জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার বিলে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর এলাকার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ লাল শাপলার বিল এখন প্রকৃতিগত পরিবর্তনের শিকার। কচুরিপানার দ্রুত আগ্রাসনের ফলে এ বিলটি অচিরেই লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার বিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিলের লাল শাপলা সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের গঠিত সুরক্ষা কমিটি কী ভূমিকা পালন করছে?

সরেজমিনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওরে ইয়াম, হরফকাটা, ডিবি, কেন্দ্রী—এই চারি বিল নিয়ে গঠিত প্রায় ৯০০ একর জায়গাজুড়ে প্রকৃতিগতভাবে এই লাল শাপলার বিল সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালে সংবাদপত্রের মাধ্যমে এটি সারা দেশসহ বিশ্ববাসীর সামনে অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা বিলের সৌন্দর্য দেখে প্রশংসা করেন।

চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকাজুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে। ফলে জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ এই লাল শাপলার বিলটি বিলীন হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ লাল শাপলা সুরক্ষায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত সুরক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, লাল শাপলা বিলের সুরক্ষার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান কাজ ছিল বিলের শাপলাকে ধ্বংসকারী জলজ উদ্ভিদসহ অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান ও পরিচর্যা করা। এ ছাড়া পর্যটকদের বহনকারী নৌকা থেকে ১০০ টাকা হারে আদায়কৃত অর্থ বিলের বাঁধ সুরক্ষা এবং জলজ উদ্ভিদ থেকে শাপলাকে রক্ষার পরিচর্যার জন্য ব্যয় সংকুলান করার কথা ছিল।

ইয়াম বিলের প্রায় অর্ধেক অংশই এখন কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইয়াম বিলের প্রায় অর্ধেক অংশই এখন কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

তাঁরা আরও জানান, বর্তমানে ইয়াম বিলটিতে যেভাবে লাল শাপলার চরম শত্রু কচুরিপানা গ্রাস করছে, তাতে আগামী বছরে তা বিলগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে। ইয়াম বিলের প্রায় অর্ধেক অংশ এখন কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। লাল শাপলার পরিবর্তে সেখানে এখন কচুরিপানার ফুল ফুটছে। এর ফলে লাল শাপলার সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত পরিবেশ সমীক্ষা করে লাল শাপলাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, ‘লাল শাপলা বিলে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানার কারণে শাপলা ধ্বংস হচ্ছে, এ বিষয়টি ইতিপূর্বে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লাল শাপলা সুরক্ষায় দ্রুত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে প্রার্থীর প্রচারে গুলি: পাসপোর্ট ব্লক থাকায় বিদেশে যেতে পারেননি সরোয়ার

  • বাকলিয়ায় দুই খুনের পর থেকে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা
  • রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তদবির
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম    
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৭
বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলা। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলা। ছবি: সংগৃহীত

সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যাক্সন, সরোয়ার ও আকবর আলী বড় সাজ্জাদের সঙ্গ ছেড়ে আলাদাভাবে পথচলা শুরু করেন ১০ বছর আগে। এ অবস্থায় ২০১৫ সাল থেকে বড় সাজ্জাদের কমান্ডে ছোট সাজ্জাদ দলের হাল ধরেন। পরে ভারতে ম্যাক্সনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সরোয়ার ও আকবর বড় ও ছোট দুই সাজ্জাদের নিশানায় পড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে এ-সংক্রান্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে গত ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা তাঁর দুই সহযোগী বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩৬) ঘটনাস্থলে মারা যান। সেই থেকে সরোয়ার হোসেন বাবলা বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে তদবির করে তিনি পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিন মাস ধরে চেষ্টা করেছেন বলে জানান বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরোয়ারের পাসপোর্ট ব্লক (বন্ধ) করে দেয় বলে জানান মো. আজিজ।

সরোয়ারের আরেক সহযোগী নগরের বিভিন্ন থানার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলার আসামি আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দুই দিন পর ঢাকাইয়া আকবর মারা যান। কারাগারে বন্দী সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা আকবর হত্যার পেছনে রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সহযোগীর এই ধরনের টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডে বিদেশে যাওয়ার জন্য আরও ব্যাকুলতা বাড়ে সরোয়ার হোসেন বাবলার। এর মধ্যে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি আসতে থাকে বড় সাজ্জাদ ও রায়হানদের কাছ থেকে। কেউ সাত দিন, কেউ তিন দিনের মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠায় সরোয়ারকে। এরই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সরোয়ার। বিয়ের পর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই জোর করছিল সরোয়ারকে বিদেশে চলে যেতে। জীবন বাঁচাতে সরোয়ারও বিদেশে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাসপোর্টের ব্লক খুলতে পারছিলেন না। শেষতক মৃত্যুই সরোয়ারের জীবনের সমাধান দিল বলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁর ছোট ভাই মো. আজিজ।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাসপোর্ট ব্লক মূলত সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার নির্দেশনা দিলে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (পুলিশের বিশেষ শাখা) আবেদন করে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে। এরপর পাসপোর্ট ব্লক হয়। সরোয়ার হোসেন বাবলার পাসপোর্ট ব্লকের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকার কথা নয়।’

বুধবার (৫ নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের পরপরই চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা। এ সময় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।

এদিকে সরোয়ার হত্যায় করা মামলার এজাহারে এক নম্বরে যাঁর নাম এসেছে, সেই সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের। নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে ব্যাপক প্রচার আছে। এ নিয়ে দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন সাজ্জাদ আলী। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।

২০০০ সালের ১২ জুলাই মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ছাত্রলীগের ওই ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাবে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বড় সাজ্জাদের স্ত্রী পাঞ্জাবি হওয়ার সূত্রে তিনি পাঞ্জাবে অবস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ১০ মাসে সাপে কেটেছে ১৭১১ জনকে

  • প্রতিষেধকের চাহিদা ৭৬০ ভায়াল, মজুত মাত্র ৩৪০
  • ১৫ উপজেলায় প্রতি মাসে গড়ে সাপে কেটেছে ১৭১ জনকে
  • মারা যাওয়ার তথ্য নেই সংশ্লিষ্ট কোনো বিভাগে
  • পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকা প্রাণহানির জন্য দায়ী: বিশেষজ্ঞ
  • প্রতিষেধক কম থাকলে কোনো সমস্যা হয় না; কারণ, যেকোনো সময় প্রতিষেধক কেনা যায়: সিভিল সার্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ০৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা রোগীদের জন্য চাহিদার অর্ধেকও নেই প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের বাঁচানো যায় না। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (১০ মাস) ১ হাজার ৭১১ জনকে সাপে কেটেছে। সেই হিসাবে এই ১০ মাসে জেলায় গড়ে সাপে কেটেছে ১৭১ জনকে। এ সময় কতজন সাপে কাটা রোগী মারা গেছে, সেই হিসাবে কারও কাছে পাওয়া যায়নি।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি উপজেলা ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা রয়েছে ৭৬০ ভায়াল; অথচ মজুত আছে ৩৪০। সেই হিসাবে চাহিদার মাত্র ৪৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভায়াল মজুত রয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় প্রতিষেধক কম থাকলেও এতে কোনো সমস্যা হয় না। কারণ, যেকোনো সময় প্রতিষেধক চাইলেই আমরা কিনতে পারি।’

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উল্লিখিত ১০ মাসে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬৬, বাঁশখালীতে ১৬৫, বোয়ালখালীতে ২৩০, চন্দনাইশে ১৩, দোহাজারীতে ১৭, ফটিকছড়িতে ৫৭, হাটহাজারীতে ২৭, লোহাগাড়ায় ৯৩, মিরসরাইয়ে ২৮৮, পটিয়ায় ২০৮, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৫, রাউজানে ১১১, সন্দ্বীপে ৫৬, সাতকানিয়ায় ৪৭ ও সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯৮ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়।

এদিকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা ৫০ ভায়াল। এর মধ্যে মজুত রয়েছে ২০ ভায়াল। বাঁশখালীতে ৪০টি চাহিদার জায়গায় রয়েছে ১০টি, বোয়ালখালীতে ৫০টি চাহিদার বিপরীতে ১০, চন্দনাইশে ১০ চাহিদার বিপরীতে ২০টি, দোহাজারীতে ১০টি চাহিদার স্থলে মজুত ১০টি, ফটিকছড়িতে ৫০টি চাহিদার বিপরীতে ২০টি, হাটহাজারীতে ৫০টির স্থলে ৪০, লোহাগাড়ায় ৫০টির স্থলে ২০, মিরসরাইয়ে ৫০টির বিপরীতে ২০, পটিয়ায় ১০০ চাহিদার বিপরীতে ৩০, রাঙ্গুনিয়ায় চাহিদার সব কটি রয়েছে (২০টি), রাউজানে ৫০টির স্থলে ২০, সন্দ্বীপে ৩০ এর স্থলে ২০, সাতকানিয়ায় ৫০ এর বিপরীতে ১০, সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০টির স্থলে ৩০ এবং চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ১০০ ভায়াল চাহিদার বিপরীতে রয়েছে ৪০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম। সব মিলিয়ে উল্লিখিত এলাকাগুলোতে ৪২০ ভায়াল অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি রয়েছে।

চমেক হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৪ সালে সাপের দংশনে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ২৮৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৩ জন। অ্যান্টিভেনম পেয়েছিল মাত্র ৫২ জন। দেশে প্রতিবছর বর্ষায় চন্দ্রবোড়া, গোখরা, কাল কেউটে, কিং কোবরা ও সবুজ বোড়ার মতো সাপের কামড়ের ঘটনা বাড়ে। চিকিৎসকের বদলে কবিরাজ বা ঝাড়ফুঁকের ওপর নির্ভরতার কারণে দেশে প্রতিবছর ছয় হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্ন্যাকস রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মাহদী হিমু বলেন, ‘সাপের কামড়ে চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত ঘটছে মানুষের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা। আমাদের পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকাই এসব প্রাণহানির জন্য দায়ী। এর সঙ্গে মফস্বল এলাকায় স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতাও উল্লেখ করার মতো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত