প্রতিনিধি, ইসলামপুর (জামালপুর)
জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই। এতে উপজেলার সাপধরী ইউনিয়ন যমুনার পানিতে টইটম্বুর। ডুবে গেছে সব রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শত শত একর রোপা আমনখেত, বীজতলা ও শাকসবজির খেত। তীব্র ভাঙনে ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক বাড়িঘর। ভাঙনের মুখে রয়েছে এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ইন্দুল্লামারী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাপধরী ইউনিয়নের চারপাশে যমুনার পানি বয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে চেঙ্গানিয়া, মণ্ডলপাড়া, শিশুয়া, বিশরশি, আকন্দপাড়া এলাকায় ভাঙনে অন্তত অর্ধশতাধিক বাড়িঘর যমুনার গর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে সর্বস্বান্ত। এই ইউনিয়নের অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে চেঙ্গানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাপধরী উচ্চবিদ্যালয়, প্রজাপতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরশিশুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বীর নন্দনের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ।
ভুক্তভোগী চেঙ্গানিয়া গ্রামের বিল্লাহ বলেন, ‘যমুনার করাল গ্রাসে আমাদের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁইও থাকল না।’ মণ্ডলপাড়ার শাহাদ মোল্লা ও নুর ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘একাধিকবার বাড়িঘর যমুনায় বিলীন হওয়ায় এখন দিশেহারা। জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করা হলে ইন্দুল্লামারী বাঁধ ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।’ আকন্দপাড়ার টুনু আকন্দ ও আফিল মিস্ত্রি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাঙনের শিকার হলেও আমরা সরকারি কোনো ত্রাণ পাইনি।’
সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নটির চারপাশে বয়ে চলছে যমুনা নদী। সামান্য পানি বাড়লেও বন্যায় তলিয়ে যায় সব গ্রাম। এখনো পানিবন্দী মানুষের জন্য সরকারি কোনো ত্রাণসামগ্রী পাওয়া যায়নি।’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান টিটু জানান, বন্যা মোকাবিলায় সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর একবার সময়মতো বন্যা হওয়ায় আর বন্যা হবে না—এমন ধারণা থেকে কৃষকেরা জমিতে বিভিন্ন ফসল ও বীজ রোপণ করেছেন। অসময়ের বন্যায় তাঁদের চরম ক্ষয়ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান জানান, যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রমতে, আরও সাত দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই। এতে উপজেলার সাপধরী ইউনিয়ন যমুনার পানিতে টইটম্বুর। ডুবে গেছে সব রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শত শত একর রোপা আমনখেত, বীজতলা ও শাকসবজির খেত। তীব্র ভাঙনে ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক বাড়িঘর। ভাঙনের মুখে রয়েছে এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ইন্দুল্লামারী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাপধরী ইউনিয়নের চারপাশে যমুনার পানি বয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে চেঙ্গানিয়া, মণ্ডলপাড়া, শিশুয়া, বিশরশি, আকন্দপাড়া এলাকায় ভাঙনে অন্তত অর্ধশতাধিক বাড়িঘর যমুনার গর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে সর্বস্বান্ত। এই ইউনিয়নের অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে চেঙ্গানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাপধরী উচ্চবিদ্যালয়, প্রজাপতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরশিশুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বীর নন্দনের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ।
ভুক্তভোগী চেঙ্গানিয়া গ্রামের বিল্লাহ বলেন, ‘যমুনার করাল গ্রাসে আমাদের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁইও থাকল না।’ মণ্ডলপাড়ার শাহাদ মোল্লা ও নুর ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘একাধিকবার বাড়িঘর যমুনায় বিলীন হওয়ায় এখন দিশেহারা। জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করা হলে ইন্দুল্লামারী বাঁধ ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।’ আকন্দপাড়ার টুনু আকন্দ ও আফিল মিস্ত্রি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাঙনের শিকার হলেও আমরা সরকারি কোনো ত্রাণ পাইনি।’
সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নটির চারপাশে বয়ে চলছে যমুনা নদী। সামান্য পানি বাড়লেও বন্যায় তলিয়ে যায় সব গ্রাম। এখনো পানিবন্দী মানুষের জন্য সরকারি কোনো ত্রাণসামগ্রী পাওয়া যায়নি।’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান টিটু জানান, বন্যা মোকাবিলায় সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর একবার সময়মতো বন্যা হওয়ায় আর বন্যা হবে না—এমন ধারণা থেকে কৃষকেরা জমিতে বিভিন্ন ফসল ও বীজ রোপণ করেছেন। অসময়ের বন্যায় তাঁদের চরম ক্ষয়ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান জানান, যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রমতে, আরও সাত দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
৪ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
৪ ঘণ্টা আগে