ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন উদ্যানে (পার্ক) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন। গুঁড়িয়ে দেওয়া স্থাপনার মধ্যে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চও রয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত পার্কের ভেতর অবৈধভাবে গড়ে তোলা বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এদিকে মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কবি–সাহিত্যিকেরা।
তবে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, তাঁরা কোনো বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি। অবৈধ স্থাপনাতেই অভিযান চালানো হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযানের শুরুতেই সকালে কাচারীঘাট এলাকায় হিমু আড্ডার খানিকটা সামনে গড়ে ওঠা ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের অসম্পন্ন একতলা ভবন ভাঙার চেষ্টা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাধার মুখে সেটি ভাঙা হয়নি। পরে পাশেই স্থাপিত মুক্তমঞ্চ, বিজয়ী পিঠাবাড়িসহ রাস্তার পাশের বেশ কয়েকটি দোকান ও স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
মুক্তমঞ্চ ভাঙার পর কবি–সাহিত্যিকেরা সেখানে ছুটে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রাফসান রাব্বির সঙ্গে তর্কে জড়ান বলে অভিযোগ উঠেছে।
তরুণ কবি শামীম আশরাফ বলেন, ‘৪৩ বছর ধরে পার্কের একটু জায়গায় আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করে আসছি। প্রতি শুক্রবার সেখানে ‘‘বীক্ষণের আসর’’ নামের সাহিত্য আড্ডা বসে। শিল্পসাহিত্যের নগরীর এই স্থানে কবি নির্মলেন্দু গুণ, হেলাল হাফিজ, শামসুল ফয়েজসহ অসংখ্য গুণী মানুষের পদচারণা রয়েছে। কোনো পূর্বনোটিশ ছাড়া অবৈধ আখ্যা দিয়ে মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়া সাহিত্যচর্চার অগ্রযাত্রাকে রোধ করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে প্রশাসন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছি।’
ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, ‘শত শত একর জমি প্রশাসন ও প্রভাবশালীরা নানাভাবে দখল করে রেখেছে। সেখানে কারও চোখ পড়ে না। সামান্য একটু জায়গায় গড়ে তোলা সাহিত্য মঞ্চটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো। এতে আমাদের মনে দাগ কেটেছে। আগামী শুক্রবারের আগে মঞ্চটি প্রশাসন তৈরি করে না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ময়মনসিংহের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল নাকিব বলেন, ‘মুক্তমঞ্চ থেকে ১০০ গজ দূরে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বাণিজ্যমেলা নামের একটি স্থাপনা গত ছয় মাস ধরে গড়ে উঠেছে। প্রশাসন সেটি উচ্ছেদ না করে কবি–সাহিত্যিকদের সাহিত্যচর্চায় আঘাত হেনেছে। তাঁরা কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। কবি–সাহিত্যিকদের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের মানুষ তা মেনে নেবে না।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মাজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গুঁড়িয়ে দেওয়া স্থাপনাগুলোর কোনো বৈধতা ছিল না। এগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নাগরিকদের অভিযোগ ছিল। তাই উচ্ছেদ করা হয়েছে। নগরবাসী এমন উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
ময়মনসিংহ নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন উদ্যানে (পার্ক) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন। গুঁড়িয়ে দেওয়া স্থাপনার মধ্যে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চও রয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত পার্কের ভেতর অবৈধভাবে গড়ে তোলা বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এদিকে মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কবি–সাহিত্যিকেরা।
তবে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, তাঁরা কোনো বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি। অবৈধ স্থাপনাতেই অভিযান চালানো হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযানের শুরুতেই সকালে কাচারীঘাট এলাকায় হিমু আড্ডার খানিকটা সামনে গড়ে ওঠা ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের অসম্পন্ন একতলা ভবন ভাঙার চেষ্টা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাধার মুখে সেটি ভাঙা হয়নি। পরে পাশেই স্থাপিত মুক্তমঞ্চ, বিজয়ী পিঠাবাড়িসহ রাস্তার পাশের বেশ কয়েকটি দোকান ও স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
মুক্তমঞ্চ ভাঙার পর কবি–সাহিত্যিকেরা সেখানে ছুটে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রাফসান রাব্বির সঙ্গে তর্কে জড়ান বলে অভিযোগ উঠেছে।
তরুণ কবি শামীম আশরাফ বলেন, ‘৪৩ বছর ধরে পার্কের একটু জায়গায় আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করে আসছি। প্রতি শুক্রবার সেখানে ‘‘বীক্ষণের আসর’’ নামের সাহিত্য আড্ডা বসে। শিল্পসাহিত্যের নগরীর এই স্থানে কবি নির্মলেন্দু গুণ, হেলাল হাফিজ, শামসুল ফয়েজসহ অসংখ্য গুণী মানুষের পদচারণা রয়েছে। কোনো পূর্বনোটিশ ছাড়া অবৈধ আখ্যা দিয়ে মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়া সাহিত্যচর্চার অগ্রযাত্রাকে রোধ করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে প্রশাসন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছি।’
ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, ‘শত শত একর জমি প্রশাসন ও প্রভাবশালীরা নানাভাবে দখল করে রেখেছে। সেখানে কারও চোখ পড়ে না। সামান্য একটু জায়গায় গড়ে তোলা সাহিত্য মঞ্চটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো। এতে আমাদের মনে দাগ কেটেছে। আগামী শুক্রবারের আগে মঞ্চটি প্রশাসন তৈরি করে না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ময়মনসিংহের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল নাকিব বলেন, ‘মুক্তমঞ্চ থেকে ১০০ গজ দূরে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বাণিজ্যমেলা নামের একটি স্থাপনা গত ছয় মাস ধরে গড়ে উঠেছে। প্রশাসন সেটি উচ্ছেদ না করে কবি–সাহিত্যিকদের সাহিত্যচর্চায় আঘাত হেনেছে। তাঁরা কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। কবি–সাহিত্যিকদের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের মানুষ তা মেনে নেবে না।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মাজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গুঁড়িয়ে দেওয়া স্থাপনাগুলোর কোনো বৈধতা ছিল না। এগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নাগরিকদের অভিযোগ ছিল। তাই উচ্ছেদ করা হয়েছে। নগরবাসী এমন উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৮ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১২ মিনিট আগে২০১১ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর পিপলস অ্যাকশন ইন চেঞ্জ অ্যান্ড ইকুইটি—স্পেস’র সহায়তায় এসব ইকো টয়লেট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি টয়লেটের দুটি চেম্বার থেকে বছরে দেড়শ কেজি জৈব সার উৎপন্ন হয়। পাশাপাশি প্রস্রাব সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সারের বিকল্প হিসেবে। এতে বিঘাপ্রতি ২-৩ হাজার টাকা
১৬ মিনিট আগেভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১ ঘণ্টা আগে