Ajker Patrika

৫ আগস্টের ঘটনায় উত্তরার হত্যা মামলায় আসামি বকশীগঞ্জের লোকজন, চাঁদাবাজির অভিযোগ

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৪১
সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিপন মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিপন মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত যুবকের স্ত্রী তাঁর ভাশুরের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এই অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ, স্বামী ঢাকার উত্তরায় মারা গেলেও ভাশুর এলাকার লোকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এখনো নানাজনকে মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে তিনি চাঁদাবাজি করছেন।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রিপন মিয়া (২৮)। তিনি ঢাকায় সেলসম্যানের কাজ করতেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিপন মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী গত ৫ আগস্ট ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। পরদিন গ্রামের বাড়ি বকশীগঞ্জের বাট্টাজোড় পানাতিয়াপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। আমাকে কিছু না জানিয়ে ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন আমার ভাশুর আক্তার হোসেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় দুই শ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়, তাঁদের মধ্যে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান ও আমানুল্লাহসহ বকশীগঞ্জের ১৩ জন রয়েছেন।’

খাদিজা বেগম আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজি করার জন্যই আমাকে না জানিয়ে কৌশলে আক্তার হোসেন মামলার বাদী হয়েছেন। রিপন হত্যার সঙ্গে বকশীগঞ্জের কোনো মানুষ জড়িত না। কারণ আমার স্বামী মারা গেছেন ঢাকার উত্তরায়। মামলা করার আগেই আক্তার হোসেন মামলার ভয় দেখিয়ে দুই শতাধিক নিরীহ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছেন।’

নিহত রিপন মিয়ার স্ত্রী বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে আক্তার হোসেন পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতেন একটি কুঁড়েঘরে। পত্রিকার হকারি করাসহ মানুষের কাছে হাত পেতে সংসার চালাতেন। কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনি লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন। পাকা ভবন করেছেন, নামি-দামি আসবাবপত্রসহ কিনেছেন নতুন মোটরসাইকেলও। আক্তার সমাজের ধনী শ্রেণির মানুষকে টার্গেট করে প্রতিদিন ফেসবুকে পোস্ট করে মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন। সরকারি-বেসরকারি কয়েক লাখ টাকা অনুদান আত্মসাৎ করেছেন। স্বামী নিহত হওয়ার এক মাস পর বাড়ি থেকে আমাকে বের করে দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে গার্মেন্টে চাকরি করে কোনো রকম জীবন-যাপন করছি।’ আক্তারের চাঁদাবাজি বন্ধসহ স্বামী হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিপন মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিপন মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

তবে মামলার বাদী ও খাদিজা বেগমের ভাশুর আক্তার হোসেন দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘রিপন আমার ছোট ভাই। সে কারণেই তান হত্যার বিচার চেয়ে আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। আমি চাঁদাবাজ নাকি ভালো মানুষ, সেটা এলাকাবাসী জানে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী কেউ চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত