মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রচলিত নাম ট্রাক্টর। সাধারণত কৃষিজমির মাটি কাটা, ভারী মালমাল টেনে নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় ট্রাক্টর নামের এই যান। এতে মানুষের অনেক উপকার হয়, পরিবহনের কাজ সহজ হয়ে যায়। তবে উপকারী এই যানের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ মাদারগঞ্জ উপজেলার জনগণ। একদিকে ভারী এই যানের কারণে প্রতিনিয়ত ভাঙছে সড়ক; অন্যদিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক, অনভিজ্ঞ, লাইসেন্সবিহীন চালকদের বেপরোয়া চালানোয় প্রতিমুহূর্তে দুর্ঘটনার আতঙ্ক থাকেন তাঁরা। এরই মধ্যে গত চার বছরে এসব যানের সঙ্গে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ছয়য়জনের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যানটি এখন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার মানুষের কাছে দানব হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই ট্রাক্টর চলাচলের ফলে একের পর এক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সড়ক, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যোগাযোগব্যবস্থা। পরিবহন করা মাটি ও বালু সড়কে পড়ে থকায় সড়ক ধুলাবালিতে ভরে যায়। এই দুর্ভোগে অতিষ্ঠ এলাকার জনজীবন।
উপজেলার পৌর শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের যেকোনো স্থানে একটু দাঁড়ালেই চোখে পড়বে বিকট শব্দে বালু, ইট কিংবা রড-সিমেন্টসহ নানা রকম মাল বোঝাই করে এই যান সড়ক কাঁপিয়ে চলছে। শহর ও আশপাশের ব্যস্ততম সব সড়ক এখন এসব অবৈধ যানের দখলে। এই যন্ত্রের বেপরোয়া চলাচলের কারণে এখন প্রায় সব রাস্তায় আতঙ্কের নাম।
অপ্রাপ্তবয়স্ক, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের দ্বারা পরিচালিত এসব যানবাহন অহরহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। গত চার বছরে মাহেন্দ্র ট্রাক্টর নামের এই যানের সঙ্গে সংঘর্ষে এবং চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে অন্তত ছয়জনের। আহত হয়েছে বহু লোক। সবশেষ গত মঙ্গলবার দুপুরে বালিজুড়ী-জামথল-সারিয়াকান্দি সড়কে ট্রাক্টরচাপায় দই বন্ধু নুর হোসেন (১৭) ও রাকিব (১৮) প্রাণ হারালে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয় ট্রাক্টরের বিষয়টি। এ নিয়ে নুর হোসেনের এলাকাবাসী মানববন্ধন করে। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাক্টর বন্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসব মাহিন্দ্র ট্রাক্টর তো কেবল জমি চাষের জন্য অনুমোদিত। রাস্তায় এসব যানবাহন চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। নেই বিআরটিএর কোনো অনুমতি। অভিযোগ রয়েছে, এসব মাহেন্দ্র ট্রাক্টরের মালিকেরা বেশির ভাগই প্রভাবশালী লোকজন হওয়ায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয় না প্রশাসন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলায় শতাধিক মাহেন্দ্র রয়েছে। আর এই মাহেন্দ্রর অধিকাংশ মালিকই প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় সাধারণ মানুষসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও এসব প্রতিরোধে অসহায়।
মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, ‘মাহেন্দ্র ট্রাক্টর নামের এই অবৈধ যানর কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনা। অতিরিক্ত মাল বোঝাই করে চলাচলের কারণে উপজেলার সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মির্জা হুমায়ন কবির বলেন, ট্রাক্টরগুলোর মালিকেরা বেশির ভাগই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। পূর্বের ইউএনও আমিনুল ইসলাম জনদুর্ভোগ কমাতে রাতে ট্রাক্টর চালাচলের নিয়ম করতে চাইলেও তাতে সফল হননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মিটিংয়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ার অজুহাতে ট্রাক্টরমালিকদের বাধায় তিনি পিছিয়ে যান। অথচ ট্রাক্টর চলাচলের কারণে বছর না ঘুরতেই পাকা রাস্তাগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। অবৈধ মাহেন্দ্র ট্রাক্টর চলাচলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।
প্রচলিত নাম ট্রাক্টর। সাধারণত কৃষিজমির মাটি কাটা, ভারী মালমাল টেনে নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় ট্রাক্টর নামের এই যান। এতে মানুষের অনেক উপকার হয়, পরিবহনের কাজ সহজ হয়ে যায়। তবে উপকারী এই যানের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ মাদারগঞ্জ উপজেলার জনগণ। একদিকে ভারী এই যানের কারণে প্রতিনিয়ত ভাঙছে সড়ক; অন্যদিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক, অনভিজ্ঞ, লাইসেন্সবিহীন চালকদের বেপরোয়া চালানোয় প্রতিমুহূর্তে দুর্ঘটনার আতঙ্ক থাকেন তাঁরা। এরই মধ্যে গত চার বছরে এসব যানের সঙ্গে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ছয়য়জনের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যানটি এখন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার মানুষের কাছে দানব হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই ট্রাক্টর চলাচলের ফলে একের পর এক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সড়ক, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যোগাযোগব্যবস্থা। পরিবহন করা মাটি ও বালু সড়কে পড়ে থকায় সড়ক ধুলাবালিতে ভরে যায়। এই দুর্ভোগে অতিষ্ঠ এলাকার জনজীবন।
উপজেলার পৌর শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের যেকোনো স্থানে একটু দাঁড়ালেই চোখে পড়বে বিকট শব্দে বালু, ইট কিংবা রড-সিমেন্টসহ নানা রকম মাল বোঝাই করে এই যান সড়ক কাঁপিয়ে চলছে। শহর ও আশপাশের ব্যস্ততম সব সড়ক এখন এসব অবৈধ যানের দখলে। এই যন্ত্রের বেপরোয়া চলাচলের কারণে এখন প্রায় সব রাস্তায় আতঙ্কের নাম।
অপ্রাপ্তবয়স্ক, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের দ্বারা পরিচালিত এসব যানবাহন অহরহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। গত চার বছরে মাহেন্দ্র ট্রাক্টর নামের এই যানের সঙ্গে সংঘর্ষে এবং চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে অন্তত ছয়জনের। আহত হয়েছে বহু লোক। সবশেষ গত মঙ্গলবার দুপুরে বালিজুড়ী-জামথল-সারিয়াকান্দি সড়কে ট্রাক্টরচাপায় দই বন্ধু নুর হোসেন (১৭) ও রাকিব (১৮) প্রাণ হারালে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয় ট্রাক্টরের বিষয়টি। এ নিয়ে নুর হোসেনের এলাকাবাসী মানববন্ধন করে। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাক্টর বন্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসব মাহিন্দ্র ট্রাক্টর তো কেবল জমি চাষের জন্য অনুমোদিত। রাস্তায় এসব যানবাহন চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। নেই বিআরটিএর কোনো অনুমতি। অভিযোগ রয়েছে, এসব মাহেন্দ্র ট্রাক্টরের মালিকেরা বেশির ভাগই প্রভাবশালী লোকজন হওয়ায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয় না প্রশাসন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলায় শতাধিক মাহেন্দ্র রয়েছে। আর এই মাহেন্দ্রর অধিকাংশ মালিকই প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় সাধারণ মানুষসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও এসব প্রতিরোধে অসহায়।
মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, ‘মাহেন্দ্র ট্রাক্টর নামের এই অবৈধ যানর কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনা। অতিরিক্ত মাল বোঝাই করে চলাচলের কারণে উপজেলার সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মির্জা হুমায়ন কবির বলেন, ট্রাক্টরগুলোর মালিকেরা বেশির ভাগই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। পূর্বের ইউএনও আমিনুল ইসলাম জনদুর্ভোগ কমাতে রাতে ট্রাক্টর চালাচলের নিয়ম করতে চাইলেও তাতে সফল হননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মিটিংয়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ার অজুহাতে ট্রাক্টরমালিকদের বাধায় তিনি পিছিয়ে যান। অথচ ট্রাক্টর চলাচলের কারণে বছর না ঘুরতেই পাকা রাস্তাগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। অবৈধ মাহেন্দ্র ট্রাক্টর চলাচলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৫ ঘণ্টা আগে