মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার।
সরকারের এ নিয়ম মানছেন না জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৫০ টাকার জায়গায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নে বাসিন্দারা।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে জন্ম সনদের জন্য বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত ফি অন্যদিকে উদ্যোক্তাদের দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে ৪ জন উদ্যোক্তার একজন গোলাম রব্বানীর ছেলে সুমন তাঁর পা টেবিল ও দেয়ালে রেখে সেবা দিচ্ছেন এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। ছাত্রলীগ কর্মীসহ অনেকেই এ নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এরই মধ্যে জন্মনিবন্ধনে করতে সেবা প্রার্থীর কাছে ওই অভিযুক্ত উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম দুটি জন্মনিবন্ধন করতে ৫০০ টাকা চাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তারতাপাড়া এলাকার মাজেদ ও আশিক নামে দুজন যুবক জন্মনিবন্ধন করতে আসলে তারা বলেন দুটি জন্মনিবন্ধনের জন্য কত টাকা দিতে হবে! তখন বিলকিস বেগম বলেন, কত দিবা ৫০০ দিবা। পরে ওই শিক্ষার্থীরা নতুন নিয়মে ৫০ টাকা লাগে বলে জানায়। বিলকিস বেগম জবাবে বলেন, কোনো ইউনিয়নে ২৫০ টাকার কমে জন্মনিবন্ধন করে তোমরা দেখাতে পারবে? ৭ ইউনিয়নে ঘুরে আস, এর কমে কেউ করে না।
সরেজমিনে গিয়ে নাতনির জন্মনিবন্ধন করতে আসা বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আঙ্গুরী বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ৫০ টাকার জন্মনিবন্ধনে ২০০ টাকা নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৩টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।
একই এলাকার নুরুন্নাহার বলেন, ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে এসেছি। সরকার নতুন নিয়মে জন্মনিবন্ধনের জন্য ফি ৫০ টাকা করলেও ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকার পাশাপাশি অনেককে হয়রানির শিকার হতে হয়।
চরনাংলা এলাকার মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থী ছোটন বলে, জন্ম নিবন্ধনের জন্য আগেই বাইরে থেকে আবেদন করার পরও ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে।
চর সুখনগরী এলাকার জমিলা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নাতি ও মেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে ২৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে। ৪টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ১ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। ইউনিয়নে এ অভিযোগ নতুন নয়।
অভিযোগের বিষয়ে বিলকিস বেগমের কাছে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা ফকরুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো প্রমাণ পাইনি। সকলকে বলা আছে অতিরিক্ত টাকা দেবেন না। সরকারি ফি ৫০ টাকা ও উদ্যোক্তা ফি ৫০ সহ মোটে ১০০ টাকা নিতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, কেউ যদি জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা চায় তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবে। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। উদ্যোক্তারা আবেদন বাবদ ন্যূনতম খরচ নিতে পারেন। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার।
সরকারের এ নিয়ম মানছেন না জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৫০ টাকার জায়গায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নে বাসিন্দারা।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে জন্ম সনদের জন্য বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত ফি অন্যদিকে উদ্যোক্তাদের দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে ৪ জন উদ্যোক্তার একজন গোলাম রব্বানীর ছেলে সুমন তাঁর পা টেবিল ও দেয়ালে রেখে সেবা দিচ্ছেন এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। ছাত্রলীগ কর্মীসহ অনেকেই এ নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এরই মধ্যে জন্মনিবন্ধনে করতে সেবা প্রার্থীর কাছে ওই অভিযুক্ত উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম দুটি জন্মনিবন্ধন করতে ৫০০ টাকা চাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তারতাপাড়া এলাকার মাজেদ ও আশিক নামে দুজন যুবক জন্মনিবন্ধন করতে আসলে তারা বলেন দুটি জন্মনিবন্ধনের জন্য কত টাকা দিতে হবে! তখন বিলকিস বেগম বলেন, কত দিবা ৫০০ দিবা। পরে ওই শিক্ষার্থীরা নতুন নিয়মে ৫০ টাকা লাগে বলে জানায়। বিলকিস বেগম জবাবে বলেন, কোনো ইউনিয়নে ২৫০ টাকার কমে জন্মনিবন্ধন করে তোমরা দেখাতে পারবে? ৭ ইউনিয়নে ঘুরে আস, এর কমে কেউ করে না।
সরেজমিনে গিয়ে নাতনির জন্মনিবন্ধন করতে আসা বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আঙ্গুরী বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ৫০ টাকার জন্মনিবন্ধনে ২০০ টাকা নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৩টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।
একই এলাকার নুরুন্নাহার বলেন, ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে এসেছি। সরকার নতুন নিয়মে জন্মনিবন্ধনের জন্য ফি ৫০ টাকা করলেও ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকার পাশাপাশি অনেককে হয়রানির শিকার হতে হয়।
চরনাংলা এলাকার মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থী ছোটন বলে, জন্ম নিবন্ধনের জন্য আগেই বাইরে থেকে আবেদন করার পরও ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে।
চর সুখনগরী এলাকার জমিলা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নাতি ও মেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে ২৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে। ৪টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ১ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। ইউনিয়নে এ অভিযোগ নতুন নয়।
অভিযোগের বিষয়ে বিলকিস বেগমের কাছে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা ফকরুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো প্রমাণ পাইনি। সকলকে বলা আছে অতিরিক্ত টাকা দেবেন না। সরকারি ফি ৫০ টাকা ও উদ্যোক্তা ফি ৫০ সহ মোটে ১০০ টাকা নিতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, কেউ যদি জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা চায় তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবে। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। উদ্যোক্তারা আবেদন বাবদ ন্যূনতম খরচ নিতে পারেন। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
৩ মিনিট আগেরাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগে