ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
অবশেষে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো মাত্র চারজন নিয়ে গড়ে ওঠা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সেই উমানাথপুর গ্রাম। চার মাস আগে এই গ্রামের মালিক মো. সিরাজুল হক সরকার স্থানীয় আব্দুল মন্নাছের কাছে গ্রামটি বিক্রি করেন। তবে আজ বুধবার বিকেলে গ্রামটি বিক্রির ঘটনা প্রকাশ পায় বলে জানান এলাকাবাসী।
সিরাজুল ইসলাম সরকার জানান, নিজের জন্য এত বড় বাড়ির প্রয়োজন নেই। তাই ভালো দামে বিক্রির পর কম দামে পাশের গ্রামে জমি কিনেছেন। সেখানে নতুন বাড়ি করে বসবাস করবেন।
বাড়ি তো নয়, পুরো গ্রাম বিক্রি করে দিলেন—এমন প্রশ্নে সিরাজ সরকার বলেন, ‘তা বলতে পারেন। এখন যাঁরা থাকবেন, তাঁরা ভাগ্যবান। প্রায় ৬০ বছরের ইতি টানলাম।’
বাড়ি বা গ্রামটি কিনেছেন পাশের উদয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মন্নাছ। তিনি ঢাকায় বড় ছেলে মোস্তফা কামালকে নিয়ে ফলের ব্যবসা করেন। তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিলে ধরেন তাঁর ছেলে মোস্তফা কামাল। তিনি ওই বাড়ি কেনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাঁর বাবা বাড়িটি কিনেছেন ১৫ লাখ টাকায়। রেজিস্ট্রিসহ খরচ পড়েছে ১৭ লাখ। সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার পরদিন তিন ভাই, মা ও বাবাকে নিয়ে বাড়িতে উঠেছেন। এখন তাঁদের সদস্যসংখ্যা ৯ জন। বাড়িটি কিনতে পেরে তাঁরা খুশি। কারণ, এটা শুধু বাড়ি নয়, একটা গ্রামের পরিচয়।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রামের ঘটনা প্রকাশ পায় দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এরপর এই গ্রাম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ‘উমানাথপুর’ গ্রামের জমির পরিমাণ ২৫ শতক। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এ জমিতে মো. সিরাজুল সরকার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। যেখানে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, একটি ছোট পুকুর, একটি টয়লেট ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। অন্যের জমির আলপথ দিয়ে এই বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। এই বাড়ি ঘিরেই ‘উমানাথপুর’ গ্রাম।
বাড়িটির আগের মালিক সিরাজুল হক সরকার স্থানীয় সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কাজ করেন। ইউনিয়ন পরিষদসহ সব স্থানে কাগজে-কলমে এ বাড়িকে ঘিরে গ্রামের পরিচয়। উপজেলার উত্তর দিকে গ্রামটির অবস্থান। এই গ্রামের পাশে পশ্চিমে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। উপজেলা সদর থেকে ১২-১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাগজপত্রে মৌজার নামও উমানাথপুর।
উমানাথপুরের উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর এবং পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর গ্রাম। মো. সিরাজ সরকারের নামীয় ২৫ শতক জমির ওপর বাড়িটি অবস্থিত। আর এই বাড়ি ঘিরে উমানাথপুর গ্রামের অস্তিত্ব।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় চার মাস আগে ১৫ লাখ টাকায় এই বাড়ি বা গ্রাম বিক্রি করেন সিরাজুল ইসলাম সরকার। এক সপ্তাহ আগে সবকিছু সম্পন্ন করা হয়।
আরও খবর পড়ুন:
অবশেষে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো মাত্র চারজন নিয়ে গড়ে ওঠা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সেই উমানাথপুর গ্রাম। চার মাস আগে এই গ্রামের মালিক মো. সিরাজুল হক সরকার স্থানীয় আব্দুল মন্নাছের কাছে গ্রামটি বিক্রি করেন। তবে আজ বুধবার বিকেলে গ্রামটি বিক্রির ঘটনা প্রকাশ পায় বলে জানান এলাকাবাসী।
সিরাজুল ইসলাম সরকার জানান, নিজের জন্য এত বড় বাড়ির প্রয়োজন নেই। তাই ভালো দামে বিক্রির পর কম দামে পাশের গ্রামে জমি কিনেছেন। সেখানে নতুন বাড়ি করে বসবাস করবেন।
বাড়ি তো নয়, পুরো গ্রাম বিক্রি করে দিলেন—এমন প্রশ্নে সিরাজ সরকার বলেন, ‘তা বলতে পারেন। এখন যাঁরা থাকবেন, তাঁরা ভাগ্যবান। প্রায় ৬০ বছরের ইতি টানলাম।’
বাড়ি বা গ্রামটি কিনেছেন পাশের উদয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মন্নাছ। তিনি ঢাকায় বড় ছেলে মোস্তফা কামালকে নিয়ে ফলের ব্যবসা করেন। তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিলে ধরেন তাঁর ছেলে মোস্তফা কামাল। তিনি ওই বাড়ি কেনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাঁর বাবা বাড়িটি কিনেছেন ১৫ লাখ টাকায়। রেজিস্ট্রিসহ খরচ পড়েছে ১৭ লাখ। সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার পরদিন তিন ভাই, মা ও বাবাকে নিয়ে বাড়িতে উঠেছেন। এখন তাঁদের সদস্যসংখ্যা ৯ জন। বাড়িটি কিনতে পেরে তাঁরা খুশি। কারণ, এটা শুধু বাড়ি নয়, একটা গ্রামের পরিচয়।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রামের ঘটনা প্রকাশ পায় দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এরপর এই গ্রাম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ‘উমানাথপুর’ গ্রামের জমির পরিমাণ ২৫ শতক। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এ জমিতে মো. সিরাজুল সরকার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। যেখানে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, একটি ছোট পুকুর, একটি টয়লেট ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। অন্যের জমির আলপথ দিয়ে এই বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। এই বাড়ি ঘিরেই ‘উমানাথপুর’ গ্রাম।
বাড়িটির আগের মালিক সিরাজুল হক সরকার স্থানীয় সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কাজ করেন। ইউনিয়ন পরিষদসহ সব স্থানে কাগজে-কলমে এ বাড়িকে ঘিরে গ্রামের পরিচয়। উপজেলার উত্তর দিকে গ্রামটির অবস্থান। এই গ্রামের পাশে পশ্চিমে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। উপজেলা সদর থেকে ১২-১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাগজপত্রে মৌজার নামও উমানাথপুর।
উমানাথপুরের উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর এবং পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর গ্রাম। মো. সিরাজ সরকারের নামীয় ২৫ শতক জমির ওপর বাড়িটি অবস্থিত। আর এই বাড়ি ঘিরে উমানাথপুর গ্রামের অস্তিত্ব।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় চার মাস আগে ১৫ লাখ টাকায় এই বাড়ি বা গ্রাম বিক্রি করেন সিরাজুল ইসলাম সরকার। এক সপ্তাহ আগে সবকিছু সম্পন্ন করা হয়।
আরও খবর পড়ুন:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান সুজন খান (৪৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক সুজন খান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে।
৭ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৪ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৫ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৫ ঘণ্টা আগে