Ajker Patrika

নির্মাণ শেষ হতে না হতেই বাঁধ কেন ভাঙে? 

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
নির্মাণ শেষ হতে না হতেই বাঁধ কেন ভাঙে? 

যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাঁধ নদীতে ধসে যাওয়ায় জামালপুরের সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি হোসনে আরা বলেন, নির্মাণ শেষ হতে না হতেই বাঁধ কেন ভাঙে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীভাঙন প্রতিরোধে প্রতিবছর বাঁধ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু সুযোগ সন্ধানী এক শ্রেণির লোক তা লুটপাট করছেন। আজ সোমবার বিকেলে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দী যমুনার হার্ড পয়েন্ট এলাকায় নদীতে ধসে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এমপি। 

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা যায়, যমুনার ভাঙন প্রতিরোধে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানী বাজার থেকে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টে ৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালে বাঁধ নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০১৭ সালে শেষ হয়। এর মধ্যে ইসলামপুরের কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের আড়াই কিলোমিটারের জন্য ৯০ কোটি টাকার ব্যয়ে যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প নামে একটি তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ করা হয়। 

সভায় উপস্থিত অতিথি ও এলাকাবাসীর উদ্দেশে এমপি বলেন, বাঁধ কেন ভাঙে? নির্মাণ শেষ হতে না হতেই কেন নদীর গর্ভে বাঁধ বিলীন হয়? বাঁধ নির্মাণকাজ কারা করেন? বাঁধ ভাঙনে কারাই বা জড়িত? তাঁদের খোঁজে বের করুন। তাঁরা দেশের উন্নয়ন চায় না। এলাকার উন্নয়ন হোক তাঁরা চান না। 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বাঁধের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় নির্মাণের এক বছরেই বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বাঁধের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। 

কুলকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু বলেন, গত সপ্তাহে কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের মাঝামাঝি পুরোনো পাইলিং ঘাট এলাকায় বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বাঁধের অন্তত ৯০ মিটার অংশ যমুনার গর্ভে ধসে গেছে। বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে কুলকান্দী বাজার, একাধিক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ৷ বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা। 

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, যতই আমরা প্রকল্প করি না কেন যদি বালু উত্তোলন বন্ধ করতে না পারি তাহলে লোহার বাঁধেও কাজ হবে না। 

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইসলামপুর আসনের এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. রোকন উদ-দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন সরকার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত