অভিজিৎ সাহা, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)
রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রেজাউল ইসলামের (২১) মৃত্যুর আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো আসামি ধরা পড়েনি। এমনকি রেজাউলের পরিবারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা প্রশাসনের কেউ যোগাযোগ করেনি। রেজাউলের মা রেনুজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত দিনেও কোনো নেতা বা অফিসার তো খোঁজ নিবার আইল না।’
নিহত শিক্ষার্থী রেজাউলের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, রেজাউলের মা রেনুজা বেগম কাঁদছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন আত্মীয়স্বজন। রেনুজা বেগম বলেন, ‘আমার বাপে তো কোনো রাজনীতি করত না। বিনা কারণে আমার পুলাডারে হত্যা করছে। আর কোনো মায়ের বুক জানি আমার মতো খালি না হয় আল্লাহ। আমার বাপে নিরীহ আছিল। আমার পুলাডা লেহাপড়া করবার লাইগ্যা ঢাকায় থাকত। অইসুম (ঘটনার সময়) গেছিল ডেঙ্গুর চিকিৎসা করবার। এত দিনেও কোনো নেতা বা অফিসার তো খোঁজ নিবার আইল না। আমার কইলজার টুকরারে যারা মারছে, অগরেও তুমি কঠিন শাস্তি দিও আল্লাহ।’
রেজাউলের বড় বোন ও মামলার বাদী ফারহানা আফরিন সুমি বলেন, ‘প্রশাসনের কেউ বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা আমাদের দেখতেও আসেনি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আর সাংবাদিকেরা ছাড়া কেউ খোঁজ নেয়নি। আমি বাদী হয়ে মামলা করে আসলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি ধরা পড়েনি। ভাই হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।’
রেজাউলের পরিবার জানায়, এখন পর্যন্ত মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং কোনো আসামিকেও পুলিশ ধরেনি। আট দিনেও কাউকে ধরতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনেরা। এলাকাবাসী দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রেজাউলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। প্রতিবেশী বন্দেজ আলী বলেন, ‘রেজাউল রাজনীতি করত না। এই ছেলে তো বিনা কারণে মারা গেল। আমরা চাই এই হত্যার যেন সুষ্ঠু বিচার হয়।’
রেজাউলের বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমার বাপধন তো আর ফিরা আইব না। এহন একটাই চাওয়া, আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন বিচার হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন এই হত্যার সঠিক বিচার করেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চর অষ্টাধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রেজাউলের পরিবারের খোঁজ-খবর রাখছি। তবে প্রশাসনের কোনো লোক বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা এখনো রেজাউলের বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি ৷’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই নেতার অনুসারীদের সংঘর্ষে নিহত হন পথচারী শিক্ষার্থী রেজাউল। তিনি শেরপুরের নকলা উপজেলার চর অষ্টাধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বর্গাচাষি আব্দুস সাত্তারের বড় ছেলে। রেজাউল ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় দাওরা হাদিস বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
গত ২৯ জুলাই সকালে পরিবারের সদস্যরা থানা-পুলিশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেজাউলের মৃত্যুর খবর পান। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ৩০ জুলাই রাত সোয়া ৮টায় রেজাউলের লাশ এনে রাত সাড়ে ৯টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে গত ৩০ জুলাই রেজাউলের বড় বোন ফারহানা আফরিন সুমি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একেবারেই নম্র-ভদ্র সদালাপি রেজাউল কোনো দিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। তাঁর তিন বোন আছে। ময়মনসিংহ জামিয়া ফয়জুর রহমান মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় দাওরা হাদিস বিভাগে ভর্তি হন।
গত কোরবানি ঈদের কয়েক দিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসেন রেজাউল। পরে গত ২৭ জুলাই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে জামালপুরের নরুন্দী থেকে ট্রেনে ঢাকায় যান ৷ গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করিয়ে ফেরার পথে রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পথচারী রেজাউলের।
রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রেজাউল ইসলামের (২১) মৃত্যুর আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো আসামি ধরা পড়েনি। এমনকি রেজাউলের পরিবারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা প্রশাসনের কেউ যোগাযোগ করেনি। রেজাউলের মা রেনুজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত দিনেও কোনো নেতা বা অফিসার তো খোঁজ নিবার আইল না।’
নিহত শিক্ষার্থী রেজাউলের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, রেজাউলের মা রেনুজা বেগম কাঁদছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন আত্মীয়স্বজন। রেনুজা বেগম বলেন, ‘আমার বাপে তো কোনো রাজনীতি করত না। বিনা কারণে আমার পুলাডারে হত্যা করছে। আর কোনো মায়ের বুক জানি আমার মতো খালি না হয় আল্লাহ। আমার বাপে নিরীহ আছিল। আমার পুলাডা লেহাপড়া করবার লাইগ্যা ঢাকায় থাকত। অইসুম (ঘটনার সময়) গেছিল ডেঙ্গুর চিকিৎসা করবার। এত দিনেও কোনো নেতা বা অফিসার তো খোঁজ নিবার আইল না। আমার কইলজার টুকরারে যারা মারছে, অগরেও তুমি কঠিন শাস্তি দিও আল্লাহ।’
রেজাউলের বড় বোন ও মামলার বাদী ফারহানা আফরিন সুমি বলেন, ‘প্রশাসনের কেউ বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা আমাদের দেখতেও আসেনি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আর সাংবাদিকেরা ছাড়া কেউ খোঁজ নেয়নি। আমি বাদী হয়ে মামলা করে আসলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি ধরা পড়েনি। ভাই হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।’
রেজাউলের পরিবার জানায়, এখন পর্যন্ত মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং কোনো আসামিকেও পুলিশ ধরেনি। আট দিনেও কাউকে ধরতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনেরা। এলাকাবাসী দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রেজাউলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। প্রতিবেশী বন্দেজ আলী বলেন, ‘রেজাউল রাজনীতি করত না। এই ছেলে তো বিনা কারণে মারা গেল। আমরা চাই এই হত্যার যেন সুষ্ঠু বিচার হয়।’
রেজাউলের বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমার বাপধন তো আর ফিরা আইব না। এহন একটাই চাওয়া, আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন বিচার হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন এই হত্যার সঠিক বিচার করেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চর অষ্টাধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রেজাউলের পরিবারের খোঁজ-খবর রাখছি। তবে প্রশাসনের কোনো লোক বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা এখনো রেজাউলের বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি ৷’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই নেতার অনুসারীদের সংঘর্ষে নিহত হন পথচারী শিক্ষার্থী রেজাউল। তিনি শেরপুরের নকলা উপজেলার চর অষ্টাধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বর্গাচাষি আব্দুস সাত্তারের বড় ছেলে। রেজাউল ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় দাওরা হাদিস বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
গত ২৯ জুলাই সকালে পরিবারের সদস্যরা থানা-পুলিশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেজাউলের মৃত্যুর খবর পান। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ৩০ জুলাই রাত সোয়া ৮টায় রেজাউলের লাশ এনে রাত সাড়ে ৯টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে গত ৩০ জুলাই রেজাউলের বড় বোন ফারহানা আফরিন সুমি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একেবারেই নম্র-ভদ্র সদালাপি রেজাউল কোনো দিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। তাঁর তিন বোন আছে। ময়মনসিংহ জামিয়া ফয়জুর রহমান মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় দাওরা হাদিস বিভাগে ভর্তি হন।
গত কোরবানি ঈদের কয়েক দিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসেন রেজাউল। পরে গত ২৭ জুলাই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে জামালপুরের নরুন্দী থেকে ট্রেনে ঢাকায় যান ৷ গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করিয়ে ফেরার পথে রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পথচারী রেজাউলের।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
১৮ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৩ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
২৭ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে