Ajker Patrika

হেক্সিসলে হাত পরিষ্কার করেও ভোট দেওয়া যাচ্ছে না 

সৌগত বসু, ময়মনসিংহ থেকে
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৪, ১১: ২৭
হেক্সিসলে হাত পরিষ্কার করেও ভোট দেওয়া যাচ্ছে না 

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে সময় লাগার অভিযোগ করছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটাররা। একটি ভোট দিতে ১০ মিনিটেরও বেশি সময় লাগছে কখনো কখনো। অনেকে হেক্সিসল দিয়ে হাত পরিষ্কার করেও ভোট দিতে পারছেন না। 

আজ শনিবার সকাল ৮টায় শুরু হয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নগরীর ১২৮টি কেন্দ্রে ৯৯০টি বুথ রয়েছে। নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি এলাকার প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুল কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এখানে ৮টি বুথে ভোট দেবেন ৩ হাজার ৭৭ জন পুরুষ ভোটার। সকাল পৌনে দশটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৪৩টি। অর্থাৎ, এই সময়ের মধ্যে ভোট পড়েছে ৮ শতাংশ। তবে অনেকে ইভিএমে ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছেন। 

প্রায় ১০ মিনিট ধরে চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারেননি মো. বশির। তিনি যে বুথে ভোট দেওয়ার কথা সেখানে আরেক ভোটার তার আগে ১০ মিনিট চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারেননি। তিনি কক্ষে রাখা হেক্সিসল দিয়ে বারবার বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিষ্কার করছিলেন। তবুও সম্ভব হয়নি। বশির আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর আঙুলের ছাপ মেলেনি। তাঁকে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাসায় গিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আবার আসার কথা বলছেন। 

বাইরে ভোট দেওয়ার লাইনে অপেক্ষারত ভোটার তারাপদ রায় উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। এখনো ভোট দিতে পারিনি।’ 

এই কেন্দ্রের ২০২ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, তাঁর কক্ষে ভোটার ২৪২ জন। ভোট পড়েছে ২৬ টি। অনেকেই ইভিএম বুঝতে পারছে না। উল্টো পাল্টা চাপ দিচ্ছে। এতে মেশিন হ্যাং হয়ে যায়। আবার অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না। 

একই অবস্থা নারী ভোটের বুথেও। নয়টি বুথে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ২২০ জন। প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২৩১টি অর্থাৎ ৭ শতাংশ। এখানেও একেকটি ভোট দিতে সময় লাগছে ৮ মিনিটের বেশি। ভোট না দিয়ে ফেরত আসেন লাইলী বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার আঙুলের ছাপ মেলেনি।’ 

সকাল ৮টা থেকে ষাটোর্ধ্ব এই নারী ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করেও পারেননি। সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে তিনি ফিরে যান। তাঁর সঙ্গে থাকে মারুতী রানীও ভোট দিতে পারেননি। একই সমস্যার কারণে তিনিও ফিরে যান। লাইলী বেগম কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলামের কাছে সমাধান চাইলে কোনো সমাধান মেলেনি। এই নারীকেও বাসা থেকে হাত পরিষ্কার করে আসার উপদেশ দেন তিনি। 

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের এমন সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ৩ শতাংশ ভোট প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দিতে পারেন। তবে বেশির ভাগের আঙুলের ছাপ মিলছে না। আর এই সংখ্যা বেশি নারীদের। রান্নার কাজের জন্য আঙুলে সমস্যা হয়।’ 

এর আগে, ইভিএম নিয়ে ভোগান্তির কথা জানান সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু। তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে ভোগান্তির কথা শুনছি। অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না।’ ভোটারদের যেন বারবার ঘুরতে না হয়, কেউ যেন ফিরে না যায়—বিষয়টি নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত