Ajker Patrika

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৮০০ হাঁসের মৃত্যু, দিশেহারা খামারি

প্রতিনিধি, ইসলামপুর (জামালপুর)
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২১, ২০: ২০
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৮০০ হাঁসের মৃত্যু, দিশেহারা খামারি

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় একটি খামারে একইদিন ৮০০ হাঁস মারা গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হাঁস খামারি আব্দুল আওয়াল খান জিন্নাত। তাঁর বাড়ি উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের উত্তর সিরাজাবাদ গ্রামে। হাঁসের খামার গড়ে তুলে বেকারত্ব ঘুচিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জিন্নাত। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, চার মাস আগে নেত্রকোনায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত একটি হাঁসের ফার্ম থেকে বেইজিং জাতের এক হাজার ২৫টি হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে খামার গড়ে তোলেন জিন্নাত। খামারে যথারীতি হাঁসের বাচ্চার পরিচর্চা করেন। ফলে কয়েক মাসের মধ্যেই বেশ বড় হয়ে ওঠে হাঁসের বাচ্চাগুলো। হাঁসগুলো বয়স হয়েছিল ৪ মাস ১০ দিন। আর মাত্র ১৫ দিন পরে হাঁসগুলো ডিম পাড়ার সম্ভাবনা ছিল। 

ভুক্তভোগী খামারি আব্দুল আওয়াল খান জিন্নাত জানান, গত রোববার রাতে ৪টি হাঁস অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পরদিন সোমবার সকালে একটি মৃত হাঁস নিয়ে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন আব্দুল আলীমের নিকট যান তিনি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত হাঁসটিকে পোস্টমর্টেম করে ওষুধের নাম লিখে দেন। সেই মোতাবেক ওষুধ খাওয়ানোর পর খামারে একের পর এক হাঁস মারা যেতে থাকে। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একে একে ৮০০ হাঁস মাথা ঘুরে পড়ে মারা যায়। এতে অন্তত ৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার আব্দুল আলীম বলেন, ‘মৃত একটি হাঁসকে পোস্টমর্টেম করে প্রেসক্রিপশন করে দিয়েছি। লকডাউনের কারণে আমি ওই খামারে যেতে পারেনি।’

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘এতগুলো হাঁস মারা গেল বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। হাঁসগুলো কি কারণে মারা গেছে আমি জানি না। ওই ক্ষতিগ্রস্ত খামারির বাড়িতে গিয়ে আমি খোঁজখবর নেব।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত