Ajker Patrika

৫১ বছর পরে জানা গেল বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিই নেই

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা আছিরুন্নেছা এলাহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা আছিরুন্নেছা এলাহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা আছিরুন্নেছা এলাহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৫১ বছর পরও নিজস্ব জমির অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। বিদ্যালয়টির দুটি ভবন, একটি ওয়াশ ব্লক এবং খেলার মাঠ থাকলেও জমির কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এমনকি ভুয়া দলিল দিয়ে বিদ্যালয়টি সরকারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে মেরাকোনা গ্রামের ইলাহি সরকারের ছেলে আব্দুল মালেক এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু তিনি নিজের জমিতে বিদ্যালয় না করে প্রতিবেশী নূর হোসেন ব্যাপারীর জায়গায় এটি নির্মাণ করেন। পরে নূর হোসেন ব্যাপারীর দুই ছেলে আশ্রব আলী ও জাফর আলী বিদ্যালয়ের জমি নিজেদের নামে নামজারি করে নেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ (সরকারি) করান এবং সরকারি অনুদানে দুটি ভবনও নির্মাণ করা হয়।

বর্তমানে বিদ্যালয়ের দখলে থাকা ৫০ শতাংশ জমির মধ্যে ১৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এই জমি তাঁর চাচাশ্বশুর জাফর আলীর কাছ থেকে কেনা। অন্যদিকে, বিদ্যালয়ের বাকি ২৫ শতাংশ জমি ও ভবন তাঁর শ্বশুর আশ্রব আলীর নামে রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার এবং সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন বাকি জমিটুকুও বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। এতে করে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টি শুধু দুটি ভবন নিয়েই টিকে থাকবে।

এ বিষয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, ‘জায়গাটি আমি আশ্রব আলীর কাছ থেকে এওয়াজ বদলনামা দলিল করে নিয়েছিলাম। এখন যদি তারা বলে বিদ্যালয়ের নামে জায়গা নেই, তাহলে নেই। তারা যদি বিক্রি করে দেয়, করে দিক। আমার কিছু করার নেই।’

বর্তমান প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমি সাত বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছি, কিন্তু আমার কাছে বিদ্যালয়ের কোনো কাগজপত্র নেই। বিদ্যালয়ের বোর্ডে ৪১ শতাংশ লেখা থাকলেও বাস্তবে ২৫ শতাংশ জায়গা দখলে আছে, যারও কোনো কাগজ নেই। যেটুকু আছে, তা আমার শ্বশুরের নামে।’

নান্দাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন নেছা বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রধান শিক্ষককে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। যদি তিনি কাগজ দেখাতে না পারেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন জমি বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করল কানাডা

মাঝ আকাশে হাত ভাঙল বিমানের কেবিন ক্রুর, অঙ্গহানির আশঙ্কা

এরদোয়ানকে খলিফা উমর (রা.)-এর সঙ্গে খ্রিষ্টানদের চুক্তিপত্রের প্রতিলিপি উপহার দিলেন জেরুজালেমের পাদরি

আ.লীগের মিছিল না ঠেকিয়ে খাওয়াদাওয়া, তিন পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

রাজশাহীতে পিস্তল হাতে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা, পুলিশের দাবি—নজরে আসেনি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত