প্রতিনিধি, ইসলামপুর (জামালপুর)
নদ-নদীর ভাঙা-গড়ার খেলায় দিশেহারা শত শত পরিবার। ভাঙনের কবলে পড়ে গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়ে অনেকেই ছেড়েছেন নিজস্ব জন্মস্থানও। ভাঙন রোধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো স্থায়ী সমাধান।
টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ইসলামপুর উপজেলায় নদ-নদীতে ক্রমেই বাড়ছে পানি। ভাঙন বেড়েই চলছে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও দশআনীপাড়ের বাসিন্দাদের বসতভিটাসহ ফসলি জমি। গত কয়েক দিনে অন্তত অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে দশআনী নদীর তীব্র ভাঙনে দিশেহারা নদীপারে থাকা মানুষ। ভাঙনের মুখে তাঁদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও স্থাপনা। নদীভাঙনের শিকার চন্দনপুর উত্তরপাড়ার হাসমত মিয়া, উসমান আলী, শাহজল, কেরামত, ছফের, মুক্তার আলী, বাবুল মিয়া, হাবিবুর রহমান, নুর নবী, তৈয়ব আলীসহ অনেকেই জানান, কয়েক দিনের ভাঙনে তাঁদের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটার অধিকাংশই ধসে পড়ছে।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ভাঙন রোধ করতে প্রয়োজন মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ; যা ইউনিয়ন পরিষদের সামর্থ্যে নেই।'
অপরদিকে, চরপুটিমারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর চর, চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ শত শত একর ফসলি জমি। অতিমাত্রায় ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে নদের তীরবর্তী বসবাসরত লোকজন।
ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর চর গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে সৈয়দ জামান (৬০) জানান, একসময় তাঁদের জমাজমির কমতি ছিল না। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে এখন সর্বস্বান্ত হয়েছেন। আকবর হোসেন, আলম, নাজমাসহ অনেকেই জানান, বাপ–দাদার কবর আজ নদের গর্ভে। তাঁদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে যে একটু দোয়া খায়ের করবেন, সেই চিহ্নটুকুও নদে বিলীন।
এ ছাড়া সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, যমুনা নদী ভাঙনের ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রজাপতি, চেংগানিয়া, মণ্ডলপাড়া, কাঁসারী ডোবা, আকন্দপাড়া এলাকায় যমুনার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকার নির্মিত নতুন বাঁধেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনকবলিত এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতিবছর নদটির ভাঙন অব্যাহত থাকে। এ বছর বর্ষার শুরুতেই যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে এলাকার বাকি অংশ এবার ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে না বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে, গ্রামগুলো আর রক্ষা পাবে না। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান কবে মিলবে—এমন প্রশ্ন নদ-নদীপারের মানুষের।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, ‘ভাঙন রোধে উপজেলা প্রকৌশলী রিপোর্ট করলে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবগত করতে পারব।’
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
নদ-নদীর ভাঙা-গড়ার খেলায় দিশেহারা শত শত পরিবার। ভাঙনের কবলে পড়ে গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়ে অনেকেই ছেড়েছেন নিজস্ব জন্মস্থানও। ভাঙন রোধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো স্থায়ী সমাধান।
টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ইসলামপুর উপজেলায় নদ-নদীতে ক্রমেই বাড়ছে পানি। ভাঙন বেড়েই চলছে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও দশআনীপাড়ের বাসিন্দাদের বসতভিটাসহ ফসলি জমি। গত কয়েক দিনে অন্তত অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে দশআনী নদীর তীব্র ভাঙনে দিশেহারা নদীপারে থাকা মানুষ। ভাঙনের মুখে তাঁদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও স্থাপনা। নদীভাঙনের শিকার চন্দনপুর উত্তরপাড়ার হাসমত মিয়া, উসমান আলী, শাহজল, কেরামত, ছফের, মুক্তার আলী, বাবুল মিয়া, হাবিবুর রহমান, নুর নবী, তৈয়ব আলীসহ অনেকেই জানান, কয়েক দিনের ভাঙনে তাঁদের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটার অধিকাংশই ধসে পড়ছে।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ভাঙন রোধ করতে প্রয়োজন মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ; যা ইউনিয়ন পরিষদের সামর্থ্যে নেই।'
অপরদিকে, চরপুটিমারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর চর, চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ শত শত একর ফসলি জমি। অতিমাত্রায় ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে নদের তীরবর্তী বসবাসরত লোকজন।
ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর চর গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে সৈয়দ জামান (৬০) জানান, একসময় তাঁদের জমাজমির কমতি ছিল না। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে এখন সর্বস্বান্ত হয়েছেন। আকবর হোসেন, আলম, নাজমাসহ অনেকেই জানান, বাপ–দাদার কবর আজ নদের গর্ভে। তাঁদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে যে একটু দোয়া খায়ের করবেন, সেই চিহ্নটুকুও নদে বিলীন।
এ ছাড়া সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, যমুনা নদী ভাঙনের ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রজাপতি, চেংগানিয়া, মণ্ডলপাড়া, কাঁসারী ডোবা, আকন্দপাড়া এলাকায় যমুনার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকার নির্মিত নতুন বাঁধেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনকবলিত এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতিবছর নদটির ভাঙন অব্যাহত থাকে। এ বছর বর্ষার শুরুতেই যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে এলাকার বাকি অংশ এবার ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে না বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে, গ্রামগুলো আর রক্ষা পাবে না। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান কবে মিলবে—এমন প্রশ্ন নদ-নদীপারের মানুষের।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, ‘ভাঙন রোধে উপজেলা প্রকৌশলী রিপোর্ট করলে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবগত করতে পারব।’
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
৬ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
৬ ঘণ্টা আগে