ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের বিবাদে চার দিন বন্ধ থাকার পর আজ আনন্দ মোহন কলেজের হল খুলেছে। গতকাল সোমবার দিনভর কয়েক দফা মিটিং শেষে রাত ৯টার দিকে আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। হল খোলায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে বিবাদে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, দু-একজন করে শিক্ষার্থী হলে আসছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই উচ্ছ্বসিত আবার অনেকের মধ্যে রয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ। অন্যদিকে হল খোলার সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
জসিম উদ্দিন হলের ছাত্র আরিফুল ইসলাম বলেন, `ছাত্রলীগের বিবাদের কারণে পাঁচটা দিন আমাদের খুব ভোগান্তির মধ্যে কাটাতে হয়েছে। আমি বাড়িতে না গিয়ে বন্ধুর বাসায় ছিলাম। আজ সকালে হলে এসেছি। আমার বাকি বন্ধুরা অনেকে গ্রাম থেকে আসছে। সবার জন্য একটু কষ্ট হলেও এখন চাইব পরিবেশটা যেন শান্ত থাকে।'
শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাসের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জেসমিন নাহার বলেন, `হল বন্ধ হওয়ায় যাবতীয় আসবাবপত্র নিয়ে বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। রাতে হল খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সকালেই চলে এসেছি। কারণ কয়েক দিন পর ফাইনাল পরীক্ষা, তাই পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চাই। হল খোলাতে খুব ভালো হয়েছে। রাজনীতি নয়, আমাদের উদ্দেশ্য পড়াশোনা। তাই কর্তৃপক্ষ পরিবেশটা শান্ত রাখবে এটাই প্রত্যাশা করছি।'
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন বলেন, `শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত হল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাঁদের সহযোগিতা করতে চাই। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের যে নির্দেশনা দেবে, আমরা সেইভাবে চলব। আমরা মনে করি আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিটটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঘোষণা অনুযায়ী জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।'
জসিম উদ্দিন হলের হল সুপার ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, `গত শনিবার ছাত্রলীগের বিবাদে আমি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক স্বপন কুমার দাশ ককটেল ও ইটের আঘাতে আহত হন। এ বিষয়ে ঘটনার পরদিন কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পুলিশকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে বিচার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এ ঘটনার বিচার হোক আমরাও তা চাই।'
আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমান উল্লাহ বলেন, গতকাল সোমবার কয়েক দফা স্থানীয় প্রশাসন এবং কলেজ স্টিয়ারিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে রাতে শর্তসাপেক্ষে হল খোলার সিদ্ধান্ত হয়। ছেলেমেয়েরা পরিচয়পত্র ছাড়া হলের ভেতরে ও বাইরে যেতে পারবে না।
দুজন শিক্ষক আহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ আরও বলেন, `পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে। যাদের কারণে শিক্ষকেরা আহত হয়েছে, তাদের বিচার হোক। এ নিয়ে আমার ওপর চাপও আছে।'
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ছাত্রলীগের বিবাদে শিক্ষক আহত হওয়ার ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কারও নাম উল্লেখ না থাকায় অপরাধীদের শনাক্ত করা একটু কঠিন হচ্ছে। তবে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সব দিক থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ইউনিটটি জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীরা আন্দোলনে নামেন। পরদিন শনিবার দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিক্ষকসহ কয়েকজন আহত হন। উত্তেজনার মুখে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে কলেজের হল বন্ধের নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের বিবাদে চার দিন বন্ধ থাকার পর আজ আনন্দ মোহন কলেজের হল খুলেছে। গতকাল সোমবার দিনভর কয়েক দফা মিটিং শেষে রাত ৯টার দিকে আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। হল খোলায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে বিবাদে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, দু-একজন করে শিক্ষার্থী হলে আসছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই উচ্ছ্বসিত আবার অনেকের মধ্যে রয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ। অন্যদিকে হল খোলার সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
জসিম উদ্দিন হলের ছাত্র আরিফুল ইসলাম বলেন, `ছাত্রলীগের বিবাদের কারণে পাঁচটা দিন আমাদের খুব ভোগান্তির মধ্যে কাটাতে হয়েছে। আমি বাড়িতে না গিয়ে বন্ধুর বাসায় ছিলাম। আজ সকালে হলে এসেছি। আমার বাকি বন্ধুরা অনেকে গ্রাম থেকে আসছে। সবার জন্য একটু কষ্ট হলেও এখন চাইব পরিবেশটা যেন শান্ত থাকে।'
শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাসের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জেসমিন নাহার বলেন, `হল বন্ধ হওয়ায় যাবতীয় আসবাবপত্র নিয়ে বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। রাতে হল খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সকালেই চলে এসেছি। কারণ কয়েক দিন পর ফাইনাল পরীক্ষা, তাই পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চাই। হল খোলাতে খুব ভালো হয়েছে। রাজনীতি নয়, আমাদের উদ্দেশ্য পড়াশোনা। তাই কর্তৃপক্ষ পরিবেশটা শান্ত রাখবে এটাই প্রত্যাশা করছি।'
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন বলেন, `শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত হল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাঁদের সহযোগিতা করতে চাই। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের যে নির্দেশনা দেবে, আমরা সেইভাবে চলব। আমরা মনে করি আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিটটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঘোষণা অনুযায়ী জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।'
জসিম উদ্দিন হলের হল সুপার ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, `গত শনিবার ছাত্রলীগের বিবাদে আমি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক স্বপন কুমার দাশ ককটেল ও ইটের আঘাতে আহত হন। এ বিষয়ে ঘটনার পরদিন কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পুলিশকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে বিচার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এ ঘটনার বিচার হোক আমরাও তা চাই।'
আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমান উল্লাহ বলেন, গতকাল সোমবার কয়েক দফা স্থানীয় প্রশাসন এবং কলেজ স্টিয়ারিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে রাতে শর্তসাপেক্ষে হল খোলার সিদ্ধান্ত হয়। ছেলেমেয়েরা পরিচয়পত্র ছাড়া হলের ভেতরে ও বাইরে যেতে পারবে না।
দুজন শিক্ষক আহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ আরও বলেন, `পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে। যাদের কারণে শিক্ষকেরা আহত হয়েছে, তাদের বিচার হোক। এ নিয়ে আমার ওপর চাপও আছে।'
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ছাত্রলীগের বিবাদে শিক্ষক আহত হওয়ার ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কারও নাম উল্লেখ না থাকায় অপরাধীদের শনাক্ত করা একটু কঠিন হচ্ছে। তবে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সব দিক থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ইউনিটটি জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীরা আন্দোলনে নামেন। পরদিন শনিবার দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিক্ষকসহ কয়েকজন আহত হন। উত্তেজনার মুখে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে কলেজের হল বন্ধের নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের গঙ্গামতি এলাকার কাউয়ারচর থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে নৌ পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪০ বছর। তাঁর পরনে জলপাই রঙের হাফপ্যান্ট ছিল।
১৬ মিনিট আগে১৬ বছর বয়সে রেহেনা বেগম ঝিনাইদহ থেকে ঢাকায় এসে নিখোঁজ হন, তখন সাল ছিল ১৯৮৬। এর পর থেকে তিনি পাকিস্তানের পাঞ্জাবে আছেন। তবে তাঁর পাকিস্তান যাওয়ার কোনো তথ্য জানা যায়নি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৫৫, তিন ছেলে ও দুই মেয়ের জননী।
২০ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইলে বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. জামাল মিয়া (৩৫) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জামাল উদ্দিন ওই এলাকার শিরু মিয়ার ছেলে।
৩০ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুরের সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান নিজের বিচারের দাবিতে ব্যানার ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কলেজের ফটকে এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। খবর পেয়ে আধা ঘণ্টা পর কলেজের অধ্যক্ষ ড. শফিকুল ইসলাম ওই শিক্ষকের কর্মসূচি ভাঙিয়ে তাঁকে অফিসকক্ষে
৪১ মিনিট আগে