ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
তিন দিনের ব্যবধানে ময়মনসিংহের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। তিন দিন আগেও যে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৪০ টাকা ছিল, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে। ফলে ঊর্ধ্বগতির বাজার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের মানুষ। এর জন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোড়দার করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গেছে, ময়মনসিংহের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার মেছুয়া বাজারে মধ্যরাত থেকে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে সবজি নিয়ে আসেন ব্যাপারী ও কৃষকেরা। ভোর থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁরা সবজি বিক্রি করেন। এসব ব্যবসায়ী পাইকারি দামে সবজি কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। সেই সঙ্গে কাঁচাবাজারে এর প্রভাব পড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই বেশি দামে সবজি কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ময়মনসিংহের জয় বাংলা বাজারের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘চর থেকে এখন পোটল, কাঁকরোল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, পুঁইশাক, লাউশাক, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারের দূরত্ব বেশি এবং ঝক্কিঝামেলা এড়াতে স্থানীয়ভাবে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেই। বাজারে সবজির যে দাম শুনতে পাই, আসলে আমরা তো তার অর্ধেক দামও পাই না। আসলে হাত বদল হলেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। সার এবং ডিজেলের দাম বাড়ার পর আমাদের মাথায় হাত পড়েছে। সরকার যদি কৃষক পর্যায়ে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করত তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা থাকত না।’
পাইকারি সবজি বিক্রেতা সাদেকুর রহমান জানান, বিগত ৩০ বছর ধরে কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে শহরে নিয়ে পাইকারি বিক্রি করছেন তিনি। সম্প্রতি সময়ের মতো তিনি এত ঝামেলায় কোনো দিন পড়েননি। সবজি আনতে যানবাহনের ভাড়া দ্বিগুণ বাড়ায় কোনো কোনো দিন লাভ থাকে না। উল্টো লোকসান গুনতে হয় তাঁর। বলতে গেলে হতাশার মধ্য দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন সাদেকুর রহমান। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে গাড়ির চালকেরা বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। ভাড়া কোনোভাবেই কম করতে চান না। এভাবে খুব বেশি দিন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যাবে না বলেও জানান তিনি।
মেছুয়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত তিন দিন আগে যে বয়লার মুরগি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি, আজ তা বিক্রি করতে হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে। কারণ উৎপাদন কমার পাশাপাশি পরিবহন খরচ বাড়ায় মুরগির দাম বেড়েছে। কক মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৯০ টাকা। দেশি মুরগি ৩৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে দাম বাড়ায় বিক্রি কিছুটা কমেছে।’
একই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. লাল চান বলেন, ‘ভোরে পাইকারি ধরে সবজি কিনে আমরা এই বাজারেই খুচরা বিক্রি করি। কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ করি। এর মধ্যে আবার ঘাটতিও যায়। সবজির দাম বাড়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে। আসলে আমরা বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করি। এখন সবকিছুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমাদের হাতে তো কিছু করার নেই।’
ডিম বিক্রেতা মোশারফ হোসেন বলেন, এ বছর ডিমের সর্বোচ্চ দাম হয়েছে। এর আগে কোনো দিন এত দাম বৃদ্ধি পায়নি। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে সোনালি মুরগির ডিমের হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৬০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। মূলত উৎপাদন এবং জ্বালানি খরচের জন্য দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে বাজার করতে আসা নসর উদ্দিন বলেন, ‘আমি ছোট একটি চাকরি করি। মাসে প্রায় ২৭ হাজার টাকার মতো বেতন পাই। বাজারে আসলে হাজার বারো শত টাকার মতো খরচ হয়ে যায়, এ ছাড়া অন্যান্য খরচ তো আছেই। আর একটা পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করলে কমার কোনো লক্ষণ থাকে না। আমি পাঁচ বছর ধরে একই বেতনে চাকরি করছি। এখন বেতন ছাড়া সবকিছুর দামই বেড়েছে। আমাদের বলার এবং যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।’
আরেকজন ক্রেতা সালমা আক্তার বলেন, ‘দেশে কাঁচা মরিচের দামও কেজি প্রতি ৩০০ টাকা ছুঁই ছুঁই, যা ভাবতেও অবাক লাগে। আমরা আসলে কোনো দেশে বাস করি। একের পর এক জিনিসের দাম বাড়ছে, আর নেতারা বলেন আমরা বেহেশতে আছি। দেশের মানুষকে নিয়ে এমন হাসিঠাট্টা সরকারের মানায় না। বরং তাঁদের উচিত সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে তার খেয়াল রাখা। বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। সব চাপ সাধারণ মানুষের ওপর পড়ছে।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। সরকার নির্ধারিত দামের মধ্যে সবকিছু রাখার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিন দিনের ব্যবধানে ময়মনসিংহের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। তিন দিন আগেও যে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৪০ টাকা ছিল, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে। ফলে ঊর্ধ্বগতির বাজার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের মানুষ। এর জন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোড়দার করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গেছে, ময়মনসিংহের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার মেছুয়া বাজারে মধ্যরাত থেকে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে সবজি নিয়ে আসেন ব্যাপারী ও কৃষকেরা। ভোর থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁরা সবজি বিক্রি করেন। এসব ব্যবসায়ী পাইকারি দামে সবজি কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। সেই সঙ্গে কাঁচাবাজারে এর প্রভাব পড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই বেশি দামে সবজি কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ময়মনসিংহের জয় বাংলা বাজারের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘চর থেকে এখন পোটল, কাঁকরোল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, পুঁইশাক, লাউশাক, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারের দূরত্ব বেশি এবং ঝক্কিঝামেলা এড়াতে স্থানীয়ভাবে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেই। বাজারে সবজির যে দাম শুনতে পাই, আসলে আমরা তো তার অর্ধেক দামও পাই না। আসলে হাত বদল হলেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। সার এবং ডিজেলের দাম বাড়ার পর আমাদের মাথায় হাত পড়েছে। সরকার যদি কৃষক পর্যায়ে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করত তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা থাকত না।’
পাইকারি সবজি বিক্রেতা সাদেকুর রহমান জানান, বিগত ৩০ বছর ধরে কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে শহরে নিয়ে পাইকারি বিক্রি করছেন তিনি। সম্প্রতি সময়ের মতো তিনি এত ঝামেলায় কোনো দিন পড়েননি। সবজি আনতে যানবাহনের ভাড়া দ্বিগুণ বাড়ায় কোনো কোনো দিন লাভ থাকে না। উল্টো লোকসান গুনতে হয় তাঁর। বলতে গেলে হতাশার মধ্য দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন সাদেকুর রহমান। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে গাড়ির চালকেরা বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। ভাড়া কোনোভাবেই কম করতে চান না। এভাবে খুব বেশি দিন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যাবে না বলেও জানান তিনি।
মেছুয়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত তিন দিন আগে যে বয়লার মুরগি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি, আজ তা বিক্রি করতে হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে। কারণ উৎপাদন কমার পাশাপাশি পরিবহন খরচ বাড়ায় মুরগির দাম বেড়েছে। কক মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৯০ টাকা। দেশি মুরগি ৩৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে দাম বাড়ায় বিক্রি কিছুটা কমেছে।’
একই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. লাল চান বলেন, ‘ভোরে পাইকারি ধরে সবজি কিনে আমরা এই বাজারেই খুচরা বিক্রি করি। কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ করি। এর মধ্যে আবার ঘাটতিও যায়। সবজির দাম বাড়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে। আসলে আমরা বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করি। এখন সবকিছুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমাদের হাতে তো কিছু করার নেই।’
ডিম বিক্রেতা মোশারফ হোসেন বলেন, এ বছর ডিমের সর্বোচ্চ দাম হয়েছে। এর আগে কোনো দিন এত দাম বৃদ্ধি পায়নি। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে সোনালি মুরগির ডিমের হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৬০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। মূলত উৎপাদন এবং জ্বালানি খরচের জন্য দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে বাজার করতে আসা নসর উদ্দিন বলেন, ‘আমি ছোট একটি চাকরি করি। মাসে প্রায় ২৭ হাজার টাকার মতো বেতন পাই। বাজারে আসলে হাজার বারো শত টাকার মতো খরচ হয়ে যায়, এ ছাড়া অন্যান্য খরচ তো আছেই। আর একটা পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করলে কমার কোনো লক্ষণ থাকে না। আমি পাঁচ বছর ধরে একই বেতনে চাকরি করছি। এখন বেতন ছাড়া সবকিছুর দামই বেড়েছে। আমাদের বলার এবং যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।’
আরেকজন ক্রেতা সালমা আক্তার বলেন, ‘দেশে কাঁচা মরিচের দামও কেজি প্রতি ৩০০ টাকা ছুঁই ছুঁই, যা ভাবতেও অবাক লাগে। আমরা আসলে কোনো দেশে বাস করি। একের পর এক জিনিসের দাম বাড়ছে, আর নেতারা বলেন আমরা বেহেশতে আছি। দেশের মানুষকে নিয়ে এমন হাসিঠাট্টা সরকারের মানায় না। বরং তাঁদের উচিত সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে তার খেয়াল রাখা। বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। সব চাপ সাধারণ মানুষের ওপর পড়ছে।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। সরকার নির্ধারিত দামের মধ্যে সবকিছু রাখার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে চার যুবক একটি মোটরসাইকেলে পলাশবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ঢোলভাঙ্গা বাজার এলাকার সেতুর ওপর পণ্যবাহী একটি ট্রাককে পাশ কাটিয়ে (ওভারটেক) সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেলটি। পাশে থাকা চলন্ত ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই কৌশিক...
২ ঘণ্টা আগেনান্দাইলে জমি সংক্রান্ত জেরে ভাতিজার হাতে চাচা দিলোয়ার হোসেন দিলু (৪৫) খুন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১লা মে) নান্দাইল উপজেলার মুসুল্লি ইউনিয়নের শুভখিলা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘাতক ভাতিজা এনামুলকে (৪৫) আটক করে পুলিশ।
১২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ‘ফেমডম সেশনের’ নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শিখা আক্তার (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা (২৫)।
১২ ঘণ্টা আগেশ্রম দেওয়া ছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় শ্রমিকের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা বাংলাদেশের আইনে নেই। এ কারণে প্রচলিত আইনে শ্রমিকেরা মালিকের বা পুঁজিপতিদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়ে আছে। মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর পরিবাগ ডিসিসি সুপার মার্কেট প্রাঙ্গনে যুব বাঙালি আয়োজিত ‘মহান মে দিবসে ‘শ্রম-কর্ম...
১৩ ঘণ্টা আগে