দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া

সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে শান্ত হোসেন। ধীরে ধীরে সে হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রণহীন। ময়লা-আবর্জনা খাওয়া, বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর, নিজেকেই আঘাত করার প্রবণতা দেখে একসময় পরিবার বুঝতে পারে, এটা আর সাধারণ সমস্যা নয়। কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
তাই বাধ্য হয়ে আট বছর বয়স থেকে দড়ি, পরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় বেড়ে উঠছে শান্ত। নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা। তবু প্রতিদিন বাবা-মায়ের বুকফাটা কান্নার গল্প শুধু বাড়ছে।

শান্ত কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান উত্তরপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার বয়স এখন ১৪।
তবে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকেরা শান্তর করুণ অবস্থা তুলে ধরেছেন কুষ্টিয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইকবাল হোসেনের কাছে। অতঃপর গত সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শান্তর বাড়িতে হাজির হন জেলা প্রশাসক।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসক তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে শান্তর চিকিৎসা শুরুর তাগিদ দেন।
দিনমজুর জসিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, উঠানের মাঝে পাটি বিছানো। পাটিতে বসে আছে শান্ত। গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে তার পা বাঁধা। প্রথমে তার নাম বলতে পারলেও পরে আর কোনো কথা বলেনি।
এ সময় বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বয়স যখন সাড়ে তিন বছর, তখন খেয়াল করলাম ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণও বাড়তে থাকে। এলাকার মানুষের বাড়িঘর, থালা-বাটি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখামাত্রই ভেঙে ফেলতে শুরু করে। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের ড্রেনের ময়লা, মুরগি, গরু-ছাগলের বিষ্ঠা খেতে শুরু করে। অস্বাভাবিক আচরণের জন্য ২০১৯ সালে বয়স যখন আট বছর, তখন থেকে শান্তকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখি।
‘এমন অবস্থায় অসচ্ছলতার ভেতরেও ছেলেকে রাজশাহীতে চিকিৎসা করিয়েছি। ছয় মাসে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয় ১৭ হাজার টাকা। চিকিৎসার পর ময়লা-আবর্জনা খাওয়া বন্ধ করে শান্ত। কিন্তু অর্থের অভাবে ২০২০ সালের পর থেকে ছেলের আর চিকিৎসা করাতে পারি নাই। এখন শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। চিকিৎসক বলেছেন, নার্ভের সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করালে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি দিনমজুর মানুষ। তিন ছেলের মধ্যে শান্ত বড়। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া ১২ কাঠা জমি ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই। কোনো রকম টেনেটুনে সংসার চলে। এর ভেতর চিকিৎসার খরচ বহন করা কঠিন। এই অবস্থা দেখে সমাজসেবা অফিসার ছেলের ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা পাই। সেই টাকা দিয়ে ছেলের থালা, বাটি, পোশাক কিনে দেই।
‘কয়েক দিন আগে ডিসি স্যার বাড়িতে এসে ছেলেকে দেখে গেছেন। তিনি চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আগামী সোমবার ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাব।’
রাতে শান্ত মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুমায়। বাকি সময় জেগে থাকে। ছেলের এমন পরিণতি দেখে মা সীমা খাতুনও অসহায়। চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, ‘ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে আমার ছেলে।’
স্নায়ুরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমিও একটি ভিডিওতে বিষয়টি দেখেছি। এ ক্ষেত্রে প্রথমে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। এ ছাড়া নিউরোলজিসহ অন্য বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে। এরপর বলা যাবে ছেলেটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে কি না।’
মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী বলেন, ‘মিরপুর উপজেলায় অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় শান্তর বিষয়টি তুলে ধরা হলে ডিসি মহোদয় সাড়া দেন। তিনি শান্তকে দেখতে যান এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করি।’
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিসি স্যার ছেলেটির চিকিৎসা শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আজ বুধবার ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে চিকিৎসাসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘শান্তর চিকিৎসা সহায়তার জন্য ইউএনওকে নির্দেশনা দিয়েছি। যেহেতু চিকিৎসায় ওষুধ কিনতে খরচ রয়েছে, সে জন্য প্রাথমিকভাবে শান্তর বাবার হাতে আজকে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ সহযোগিতা ডিসি ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, ভবিষ্যতে আমার জায়গায় যে ডিসি স্যার আসবেন, তিনিও শান্তর ব্যাপারে আন্তরিক হবেন। আশা করি, অন্যরাও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন।’

সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে শান্ত হোসেন। ধীরে ধীরে সে হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রণহীন। ময়লা-আবর্জনা খাওয়া, বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর, নিজেকেই আঘাত করার প্রবণতা দেখে একসময় পরিবার বুঝতে পারে, এটা আর সাধারণ সমস্যা নয়। কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
তাই বাধ্য হয়ে আট বছর বয়স থেকে দড়ি, পরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় বেড়ে উঠছে শান্ত। নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা। তবু প্রতিদিন বাবা-মায়ের বুকফাটা কান্নার গল্প শুধু বাড়ছে।

শান্ত কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান উত্তরপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার বয়স এখন ১৪।
তবে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকেরা শান্তর করুণ অবস্থা তুলে ধরেছেন কুষ্টিয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইকবাল হোসেনের কাছে। অতঃপর গত সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শান্তর বাড়িতে হাজির হন জেলা প্রশাসক।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসক তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে শান্তর চিকিৎসা শুরুর তাগিদ দেন।
দিনমজুর জসিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, উঠানের মাঝে পাটি বিছানো। পাটিতে বসে আছে শান্ত। গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে তার পা বাঁধা। প্রথমে তার নাম বলতে পারলেও পরে আর কোনো কথা বলেনি।
এ সময় বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বয়স যখন সাড়ে তিন বছর, তখন খেয়াল করলাম ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণও বাড়তে থাকে। এলাকার মানুষের বাড়িঘর, থালা-বাটি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখামাত্রই ভেঙে ফেলতে শুরু করে। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের ড্রেনের ময়লা, মুরগি, গরু-ছাগলের বিষ্ঠা খেতে শুরু করে। অস্বাভাবিক আচরণের জন্য ২০১৯ সালে বয়স যখন আট বছর, তখন থেকে শান্তকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখি।
‘এমন অবস্থায় অসচ্ছলতার ভেতরেও ছেলেকে রাজশাহীতে চিকিৎসা করিয়েছি। ছয় মাসে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয় ১৭ হাজার টাকা। চিকিৎসার পর ময়লা-আবর্জনা খাওয়া বন্ধ করে শান্ত। কিন্তু অর্থের অভাবে ২০২০ সালের পর থেকে ছেলের আর চিকিৎসা করাতে পারি নাই। এখন শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। চিকিৎসক বলেছেন, নার্ভের সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করালে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি দিনমজুর মানুষ। তিন ছেলের মধ্যে শান্ত বড়। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া ১২ কাঠা জমি ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই। কোনো রকম টেনেটুনে সংসার চলে। এর ভেতর চিকিৎসার খরচ বহন করা কঠিন। এই অবস্থা দেখে সমাজসেবা অফিসার ছেলের ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা পাই। সেই টাকা দিয়ে ছেলের থালা, বাটি, পোশাক কিনে দেই।
‘কয়েক দিন আগে ডিসি স্যার বাড়িতে এসে ছেলেকে দেখে গেছেন। তিনি চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আগামী সোমবার ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাব।’
রাতে শান্ত মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুমায়। বাকি সময় জেগে থাকে। ছেলের এমন পরিণতি দেখে মা সীমা খাতুনও অসহায়। চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, ‘ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে আমার ছেলে।’
স্নায়ুরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমিও একটি ভিডিওতে বিষয়টি দেখেছি। এ ক্ষেত্রে প্রথমে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। এ ছাড়া নিউরোলজিসহ অন্য বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে। এরপর বলা যাবে ছেলেটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে কি না।’
মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী বলেন, ‘মিরপুর উপজেলায় অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় শান্তর বিষয়টি তুলে ধরা হলে ডিসি মহোদয় সাড়া দেন। তিনি শান্তকে দেখতে যান এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করি।’
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিসি স্যার ছেলেটির চিকিৎসা শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আজ বুধবার ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে চিকিৎসাসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘শান্তর চিকিৎসা সহায়তার জন্য ইউএনওকে নির্দেশনা দিয়েছি। যেহেতু চিকিৎসায় ওষুধ কিনতে খরচ রয়েছে, সে জন্য প্রাথমিকভাবে শান্তর বাবার হাতে আজকে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ সহযোগিতা ডিসি ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, ভবিষ্যতে আমার জায়গায় যে ডিসি স্যার আসবেন, তিনিও শান্তর ব্যাপারে আন্তরিক হবেন। আশা করি, অন্যরাও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন।’
দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া

সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে শান্ত হোসেন। ধীরে ধীরে সে হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রণহীন। ময়লা-আবর্জনা খাওয়া, বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর, নিজেকেই আঘাত করার প্রবণতা দেখে একসময় পরিবার বুঝতে পারে, এটা আর সাধারণ সমস্যা নয়। কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
তাই বাধ্য হয়ে আট বছর বয়স থেকে দড়ি, পরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় বেড়ে উঠছে শান্ত। নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা। তবু প্রতিদিন বাবা-মায়ের বুকফাটা কান্নার গল্প শুধু বাড়ছে।

শান্ত কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান উত্তরপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার বয়স এখন ১৪।
তবে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকেরা শান্তর করুণ অবস্থা তুলে ধরেছেন কুষ্টিয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইকবাল হোসেনের কাছে। অতঃপর গত সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শান্তর বাড়িতে হাজির হন জেলা প্রশাসক।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসক তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে শান্তর চিকিৎসা শুরুর তাগিদ দেন।
দিনমজুর জসিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, উঠানের মাঝে পাটি বিছানো। পাটিতে বসে আছে শান্ত। গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে তার পা বাঁধা। প্রথমে তার নাম বলতে পারলেও পরে আর কোনো কথা বলেনি।
এ সময় বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বয়স যখন সাড়ে তিন বছর, তখন খেয়াল করলাম ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণও বাড়তে থাকে। এলাকার মানুষের বাড়িঘর, থালা-বাটি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখামাত্রই ভেঙে ফেলতে শুরু করে। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের ড্রেনের ময়লা, মুরগি, গরু-ছাগলের বিষ্ঠা খেতে শুরু করে। অস্বাভাবিক আচরণের জন্য ২০১৯ সালে বয়স যখন আট বছর, তখন থেকে শান্তকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখি।
‘এমন অবস্থায় অসচ্ছলতার ভেতরেও ছেলেকে রাজশাহীতে চিকিৎসা করিয়েছি। ছয় মাসে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয় ১৭ হাজার টাকা। চিকিৎসার পর ময়লা-আবর্জনা খাওয়া বন্ধ করে শান্ত। কিন্তু অর্থের অভাবে ২০২০ সালের পর থেকে ছেলের আর চিকিৎসা করাতে পারি নাই। এখন শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। চিকিৎসক বলেছেন, নার্ভের সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করালে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি দিনমজুর মানুষ। তিন ছেলের মধ্যে শান্ত বড়। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া ১২ কাঠা জমি ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই। কোনো রকম টেনেটুনে সংসার চলে। এর ভেতর চিকিৎসার খরচ বহন করা কঠিন। এই অবস্থা দেখে সমাজসেবা অফিসার ছেলের ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা পাই। সেই টাকা দিয়ে ছেলের থালা, বাটি, পোশাক কিনে দেই।
‘কয়েক দিন আগে ডিসি স্যার বাড়িতে এসে ছেলেকে দেখে গেছেন। তিনি চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আগামী সোমবার ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাব।’
রাতে শান্ত মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুমায়। বাকি সময় জেগে থাকে। ছেলের এমন পরিণতি দেখে মা সীমা খাতুনও অসহায়। চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, ‘ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে আমার ছেলে।’
স্নায়ুরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমিও একটি ভিডিওতে বিষয়টি দেখেছি। এ ক্ষেত্রে প্রথমে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। এ ছাড়া নিউরোলজিসহ অন্য বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে। এরপর বলা যাবে ছেলেটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে কি না।’
মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী বলেন, ‘মিরপুর উপজেলায় অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় শান্তর বিষয়টি তুলে ধরা হলে ডিসি মহোদয় সাড়া দেন। তিনি শান্তকে দেখতে যান এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করি।’
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিসি স্যার ছেলেটির চিকিৎসা শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আজ বুধবার ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে চিকিৎসাসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘শান্তর চিকিৎসা সহায়তার জন্য ইউএনওকে নির্দেশনা দিয়েছি। যেহেতু চিকিৎসায় ওষুধ কিনতে খরচ রয়েছে, সে জন্য প্রাথমিকভাবে শান্তর বাবার হাতে আজকে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ সহযোগিতা ডিসি ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, ভবিষ্যতে আমার জায়গায় যে ডিসি স্যার আসবেন, তিনিও শান্তর ব্যাপারে আন্তরিক হবেন। আশা করি, অন্যরাও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন।’

সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে শান্ত হোসেন। ধীরে ধীরে সে হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রণহীন। ময়লা-আবর্জনা খাওয়া, বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর, নিজেকেই আঘাত করার প্রবণতা দেখে একসময় পরিবার বুঝতে পারে, এটা আর সাধারণ সমস্যা নয়। কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
তাই বাধ্য হয়ে আট বছর বয়স থেকে দড়ি, পরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় বেড়ে উঠছে শান্ত। নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা। তবু প্রতিদিন বাবা-মায়ের বুকফাটা কান্নার গল্প শুধু বাড়ছে।

শান্ত কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান উত্তরপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার বয়স এখন ১৪।
তবে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকেরা শান্তর করুণ অবস্থা তুলে ধরেছেন কুষ্টিয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইকবাল হোসেনের কাছে। অতঃপর গত সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শান্তর বাড়িতে হাজির হন জেলা প্রশাসক।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসক তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে শান্তর চিকিৎসা শুরুর তাগিদ দেন।
দিনমজুর জসিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, উঠানের মাঝে পাটি বিছানো। পাটিতে বসে আছে শান্ত। গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে তার পা বাঁধা। প্রথমে তার নাম বলতে পারলেও পরে আর কোনো কথা বলেনি।
এ সময় বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বয়স যখন সাড়ে তিন বছর, তখন খেয়াল করলাম ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণও বাড়তে থাকে। এলাকার মানুষের বাড়িঘর, থালা-বাটি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখামাত্রই ভেঙে ফেলতে শুরু করে। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের ড্রেনের ময়লা, মুরগি, গরু-ছাগলের বিষ্ঠা খেতে শুরু করে। অস্বাভাবিক আচরণের জন্য ২০১৯ সালে বয়স যখন আট বছর, তখন থেকে শান্তকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখি।
‘এমন অবস্থায় অসচ্ছলতার ভেতরেও ছেলেকে রাজশাহীতে চিকিৎসা করিয়েছি। ছয় মাসে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয় ১৭ হাজার টাকা। চিকিৎসার পর ময়লা-আবর্জনা খাওয়া বন্ধ করে শান্ত। কিন্তু অর্থের অভাবে ২০২০ সালের পর থেকে ছেলের আর চিকিৎসা করাতে পারি নাই। এখন শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। চিকিৎসক বলেছেন, নার্ভের সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করালে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি দিনমজুর মানুষ। তিন ছেলের মধ্যে শান্ত বড়। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া ১২ কাঠা জমি ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই। কোনো রকম টেনেটুনে সংসার চলে। এর ভেতর চিকিৎসার খরচ বহন করা কঠিন। এই অবস্থা দেখে সমাজসেবা অফিসার ছেলের ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা পাই। সেই টাকা দিয়ে ছেলের থালা, বাটি, পোশাক কিনে দেই।
‘কয়েক দিন আগে ডিসি স্যার বাড়িতে এসে ছেলেকে দেখে গেছেন। তিনি চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আগামী সোমবার ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাব।’
রাতে শান্ত মাত্র দুই ঘণ্টা ঘুমায়। বাকি সময় জেগে থাকে। ছেলের এমন পরিণতি দেখে মা সীমা খাতুনও অসহায়। চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, ‘ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে আমার ছেলে।’
স্নায়ুরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমিও একটি ভিডিওতে বিষয়টি দেখেছি। এ ক্ষেত্রে প্রথমে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। এ ছাড়া নিউরোলজিসহ অন্য বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে। এরপর বলা যাবে ছেলেটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে কি না।’
মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী বলেন, ‘মিরপুর উপজেলায় অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় শান্তর বিষয়টি তুলে ধরা হলে ডিসি মহোদয় সাড়া দেন। তিনি শান্তকে দেখতে যান এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করি।’
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিসি স্যার ছেলেটির চিকিৎসা শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আজ বুধবার ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে চিকিৎসাসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘শান্তর চিকিৎসা সহায়তার জন্য ইউএনওকে নির্দেশনা দিয়েছি। যেহেতু চিকিৎসায় ওষুধ কিনতে খরচ রয়েছে, সে জন্য প্রাথমিকভাবে শান্তর বাবার হাতে আজকে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ সহযোগিতা ডিসি ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, ভবিষ্যতে আমার জায়গায় যে ডিসি স্যার আসবেন, তিনিও শান্তর ব্যাপারে আন্তরিক হবেন। আশা করি, অন্যরাও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন।’

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
১৬ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৪২ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বয়স যখন সাড়ে তিন বছর, তখন খেয়াল করলাম ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উশৃঙ্খল আচরণও বাড়তে থাকে। এলাকার মানুষের বাড়িঘর, থালা-বাটি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখামাত্রই ভেঙে ফেলতে শুরু করে। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের ড্রেনের ময়লা, মুরগি, গরু-ছাগলের
৯ দিন আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
১৬ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৪২ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেদশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।
এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’
প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’
তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।
এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’
প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’
তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বয়স যখন সাড়ে তিন বছর, তখন খেয়াল করলাম ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উশৃঙ্খল আচরণও বাড়তে থাকে। এলাকার মানুষের বাড়িঘর, থালা-বাটি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখামাত্রই ভেঙে ফেলতে শুরু করে। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের ড্রেনের ময়লা, মুরগি, গরু-ছাগলের
৯ দিন আগে
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৪২ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।
পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।
পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বয়স যখন সাড়ে তিন বছর, তখন খেয়াল করলাম ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উশৃঙ্খল আচরণও বাড়তে থাকে। এলাকার মানুষের বাড়িঘর, থালা-বাটি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখামাত্রই ভেঙে ফেলতে শুরু করে। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের ড্রেনের ময়লা, মুরগি, গরু-ছাগলের
৯ দিন আগে
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
১৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বয়স যখন সাড়ে তিন বছর, তখন খেয়াল করলাম ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উশৃঙ্খল আচরণও বাড়তে থাকে। এলাকার মানুষের বাড়িঘর, থালা-বাটি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখামাত্রই ভেঙে ফেলতে শুরু করে। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের ড্রেনের ময়লা, মুরগি, গরু-ছাগলের
৯ দিন আগে
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
১৬ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৪২ মিনিট আগে