অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। কম সার, কীটনাশক প্রয়োগে আশানুরূপ উৎপাদন হলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় মিষ্টিকুমড়া বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পাইকার না আসায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে মিষ্টিকুমড়া। এমন অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত দাম ও সবজি সংরক্ষণে হাওরে হিমাগার নির্মাণের দাবি কৃষকদের।
ইটনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েক বছর ধরে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ২০৫ হেক্টর পতিত ও অনুর্বর জমিতে সুইট বল, ইউলোকার্ট, ওয়ান্ডার গোল্ড ও বারী মিষ্টিকুমড়া-১ জাতের আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় কুমড়া বিক্রি নিয়ে হতাশায় কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার মৃগা, ধনপুর, বড়িবাড়ী, রায়টুটি, বাদলা, এলেংজুরীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাত শতাধিক কৃষক ২০৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার আবাদের পরিমাণ ও উৎপাদন বেড়েছে। একরপ্রতি ১৮-২০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইটনায় পতিত ও অনুর্বর জমিতে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভের আশায়, ধারদেনা করে সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। উৎপাদিত পণ্য যথাসময়ে বিক্রি ও ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের ঝুঁকিতে রয়েছেন তাঁরা।
এলেংজুরী হাওরে গিয়ে দেখা গেছে, জমিতে পড়ে আছে পরিপক্ব মিষ্টিকুমড়া। সময়মতো না ওঠানোর কারণে পচতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে হাওরাঞ্চলের সবজি কিনতে গড়িমসি করছেন এবং কম দাম দিচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক পরিবারগুলো। এ ব্যাপারে কৃষি বিপণন বিভাগের সহায়তা চান তাঁরা।
কৃষক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘আমি ২০ একর জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করতে ১০ লাখ টাকা খরচ করেছি। উৎপাদনের হিসাবে ৫০-৬০ লাখ টাকা বিক্রির কথা। এখন বিক্রি হয়েছে ৫-৬ লাখ টাকা। লাভ না, পুঁজি ওঠাতে পারব কি না, সন্দেহ।’
ছিলনি গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘৩০ একর জমি চাষ করেছি। ফলন ভালো, কিন্তু দাম পাচ্ছি না। পাইকার আসে না। মিষ্টিকুমড়া জমিতে পচে নষ্ট হচ্ছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটর কারণে এই অবস্থা। সরকার যদি হাওরে হিমাগার করত, আমার উচ্চমূল্য পেতাম।’
হাওরাঞ্চলে হিমাগার স্থাপনের পরামর্শ দিয়ে ইটনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ উজ্জ্বল সাহা বলেন, কম খরচে বেশি লাভের কারণে ইটনায় দিনে দিনে বাড়ছে মিষ্টিকুমড়ার চাষ। চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না থাকায় হতাশ কৃষকেরা। এসব সবজি স্থানীয় হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারলে বাজারে সিন্ডিকেট ভেঙে পড়ত। লাভবান হতেন কৃষক।
কিশোরগঞ্জের ইটনায় এবার মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। কম সার, কীটনাশক প্রয়োগে আশানুরূপ উৎপাদন হলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় মিষ্টিকুমড়া বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পাইকার না আসায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে মিষ্টিকুমড়া। এমন অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত দাম ও সবজি সংরক্ষণে হাওরে হিমাগার নির্মাণের দাবি কৃষকদের।
ইটনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েক বছর ধরে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ২০৫ হেক্টর পতিত ও অনুর্বর জমিতে সুইট বল, ইউলোকার্ট, ওয়ান্ডার গোল্ড ও বারী মিষ্টিকুমড়া-১ জাতের আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় কুমড়া বিক্রি নিয়ে হতাশায় কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার মৃগা, ধনপুর, বড়িবাড়ী, রায়টুটি, বাদলা, এলেংজুরীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাত শতাধিক কৃষক ২০৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার আবাদের পরিমাণ ও উৎপাদন বেড়েছে। একরপ্রতি ১৮-২০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইটনায় পতিত ও অনুর্বর জমিতে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভের আশায়, ধারদেনা করে সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। উৎপাদিত পণ্য যথাসময়ে বিক্রি ও ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের ঝুঁকিতে রয়েছেন তাঁরা।
এলেংজুরী হাওরে গিয়ে দেখা গেছে, জমিতে পড়ে আছে পরিপক্ব মিষ্টিকুমড়া। সময়মতো না ওঠানোর কারণে পচতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে হাওরাঞ্চলের সবজি কিনতে গড়িমসি করছেন এবং কম দাম দিচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক পরিবারগুলো। এ ব্যাপারে কৃষি বিপণন বিভাগের সহায়তা চান তাঁরা।
কৃষক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘আমি ২০ একর জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করতে ১০ লাখ টাকা খরচ করেছি। উৎপাদনের হিসাবে ৫০-৬০ লাখ টাকা বিক্রির কথা। এখন বিক্রি হয়েছে ৫-৬ লাখ টাকা। লাভ না, পুঁজি ওঠাতে পারব কি না, সন্দেহ।’
ছিলনি গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘৩০ একর জমি চাষ করেছি। ফলন ভালো, কিন্তু দাম পাচ্ছি না। পাইকার আসে না। মিষ্টিকুমড়া জমিতে পচে নষ্ট হচ্ছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটর কারণে এই অবস্থা। সরকার যদি হাওরে হিমাগার করত, আমার উচ্চমূল্য পেতাম।’
হাওরাঞ্চলে হিমাগার স্থাপনের পরামর্শ দিয়ে ইটনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ উজ্জ্বল সাহা বলেন, কম খরচে বেশি লাভের কারণে ইটনায় দিনে দিনে বাড়ছে মিষ্টিকুমড়ার চাষ। চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না থাকায় হতাশ কৃষকেরা। এসব সবজি স্থানীয় হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারলে বাজারে সিন্ডিকেট ভেঙে পড়ত। লাভবান হতেন কৃষক।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং করেছে পুলিশ। কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের সদস্য হিসেবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে মাইকিংয়ে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গোসলের সময় নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণ ও অশ্লীল কথাবার্তার দায়ে মো. রুবেল (৩০) নামের এক যুবকের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট...
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার থেকে যাত্রীবেশে পাকস্থলীতে করে ইয়াবা বড়ি নিয়ে এসে ধরা পড়েছেন রাজু মোল্লা নামের এক মাদক কারবারি। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাঙামাটির সাজেকে চান্দের গাড়ি দুর্ঘটনায় ছাত্রী নিহতের ঘটনায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল সাদাত এ তথ্য জানিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে