Ajker Patrika

যবিপ্রবির বাস চালককে মারধর, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

যবিপ্রবির বাস চালককে মারধর, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

রাস্তা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে শিক্ষার্থী উঠানোয় জেলা পরিবহন মালিক সমিতির লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চালকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয়রা যোগ দিলে রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। 

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কের মনিরামপুরের আটমাইল জামতলা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। 

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে। 

আটক দুই ব্যক্তি হলেন কেশবপুরের আলতাপোল এলাকার হাফিজুর রহমান ও মনিরামপুরের মুন্সি খানপুর এলাকার সাইদুল ইসলাম। তাঁরা দুইজন কাকন পরিবহন নামে একটি বাসের চালক ও হেলপার। 

মূলত রাস্তা থেকে শিক্ষার্থী তোলাকে কেন্দ্র করে কাকন পরিবহনের চালক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসকে চলাচলে বাধাগ্রস্ত করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান বাস মালিক সমিতির লোকজন। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বাস রেখে দুই থেকে তিনঘন্টা রাস্তা আটকে রাখে। 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডক্টর হাফিজ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মনিরামপুর থেকে আমাদের একটি বাস নিয়মিত শিক্ষার্থী ও স্টাফদের আনা নেওয়া করে। আজ রোববার সকালে বাস মনিরামপুর থেকে ছেড়ে এসে জামতলা আটমাইল নামক স্থান থেকে আমাদের দুইজন শিক্ষার্থীকে বাসে তোলে। আমাদের বাসের পেছনে কাকন পরিবহন নামে একটি বাস আসছিল। তাঁরা মনে করেছে আমাদের বাস রাস্তা থেকে সাধারণ যাত্রী তুলেছে। তখন কাকন পরিবহন বাসের চালাক আমাদের বাসকে টপকে সামনে উঠতে যেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের লুকিং গ্রাস ভেঙে গতিরোধ করে।’ 

প্রক্টর আরও বলেন, আমাদের চালক পিন্টু তাঁর আসন থেকে নেমে কাকন বাসের চালকের কাছে গতিরোধ ও গ্লাস ভাঙার কারণ জানতে চাইলে ওই বাসের চালক ও হেলপার আমাদের চালককে মারপিট করে। 

বাস চালকদের সঙ্গে যোগদেন স্থানীয় আব্দুল মমিন মেম্বার, তাঁর ছেলে আজম, বরাত ও হুমায়ুন নামে আরও চার ব্যক্তি। আমাদের শিক্ষার্থীরা বাস থেকে নেমে ঠেকাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান পরিবহন শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে আমাদের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। 

প্রক্টর হাফিজ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমি পরিবহন শ্রমিক নেতাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে মনিরামপুরের ইউএনও এবং থানার ওসি আসেন। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে কাকন বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেন। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলে আসি। 

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনা ঘটার পরে থানা পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় উৎসুক জনতাও বিক্ষোভ করলে সড়কে যানচলাচল কিছুটা ধীরগতি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

ওসি আরও বলেন, এই ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ১০৯ বছরের কারমাইকেল কলেজ

রংপুর প্রতিনিধি
নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা

শতবর্ষ পেরিয়েও প্রাণচঞ্চল উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ। আজ সোমবার নানা আয়োজনে উদ্‌যাপিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর। বেলুন-পায়রায় সেজেছে ক্যাম্পাস, মিলেছেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। আলো-রং-সংগীতে মুখর বিদ্যাপীঠ যেন ফিরে পেয়েছে তার সোনালি দিনের গৌরব আর তারুণ্যের উচ্ছ্বাস।

সকাল ১০টায় কলেজের জি এল হোস্টেল মাঠে পতাকা উত্তোলন ও উদ্বোধন করেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুহম্মদ রেজাউল হক। পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমজাদ হোসেন, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ইসমাইল হোসেন সরকার, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. বোরহান উদ্দিন, কারমাইকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান ও কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর দিলীপ কুমার রায়।

১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান জানান, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ ও বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা প্রেক্ষাপটের সাক্ষী কারমাইকেল কলেজ একটি ইতিহাস। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত বছরের যে গৌরব ও অর্জন, তা অবিস্মরণীয়। উত্তরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনে নবীন-প্রবীণ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

ড. মো. সাইফুর রহমান আরও জানান, দুদিনের এই আয়োজনের সমাপনী দিনে (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল কলেজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরের বছর থেকেই পাঠদান শুরু হয়। উত্তরবঙ্গের প্রাচীনতম এই কলেজ বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত, যেখানে উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

ইন্দোস্যারানিক শৈলীতে নির্মিত ৬১০ ফুট দীর্ঘ সাদা মূল ভবন, শতবর্ষী বৃক্ষ ‘কাইজেলিয়া’, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য ‘প্রজন্ম’, প্রাচীন গ্রন্থাগার ও নানা সাংস্কৃতিক সংগঠনে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস যেন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। এখানে রয়েছে সাতটি আবাসিক হল, আধুনিক অডিটরিয়াম, লাইব্রেরি, মঞ্চ ও নানা সহপাঠক্রমিক সংগঠন।

কারমাইকেল কলেজে পড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, লেখক আনিসুল হক, জাহানারা ইমাম, সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন, প্রথম প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমসহ বহু কৃতী ব্যক্তি। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম—সবখানেই কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রেখেছেন অমর ভূমিকা।

তবে ৩৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদ (কাকসু)। ১৯৯০ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘবিরতির কারণে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের বরখাস্তের দাবি

রাবি প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, বডি শেমিং, অনৈতিক প্রস্তাব ও মামলার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিল ভূঁইয়ার স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এসব অভিযোগকে ‘বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে তানজিল ভূঁইয়ার চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে দিনব্যাপী বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করে আসছেন। পাশাপাশি অনৈতিক প্রস্তাব, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটু মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘উনি নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। যেমন, ‘‘তোমার কোমর তো ভালো দোলে’, ‘‘রাতের রানি’’, ‘‘রাতের গার্ড’’। আমাদের প্রথম ব্যাচ থেকে এখন সপ্তম ব্যাচ পর্যন্ত অনেকে উনার এমন আচরণের শিকার হয়েছেন। আগের এক ঘটনায় উনি শিক্ষার্থীদের মারতে এসেছিলেন, সেই ভিডিওও আছে।’

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘উনার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে উনি ওই শিক্ষার্থীদের নম্বর ছড়িয়ে দেন। এমনকি তাঁর তাকানোর ভঙ্গিতেও ভয় লাগে। আমরা ক্লাসে যেতেও এখন ভয় পাচ্ছি। তাই আমরা উনার স্থায়ী বরখাস্ত চাই।’

আরও এক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘তানজিল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মারতে আসা ও মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক সময় নিজের বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন; এরপর তাঁর স্ত্রীও সহপাঠীদের নানা হুমকি দেন। এসব কারণে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁর স্থায়ী বরখাস্ত দাবি করছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক তানজিল ভূঁইয়া জানান, তাঁরা যে অভিযোগ করেছেন, এর একটিও সত্য নয়। এগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক।

তানজিল ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘটনার শুরু আমাদের প্রথম ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে। এক ট্যুরে ওই শিক্ষার্থী মেয়েদের রুমে কয়েকজন ছেলে নিয়ে মাদক সেবন করছিল। আমি গিয়ে বাধা দিই। সেই ঘটনাতেই সে আমার নামে এসব ছড়াচ্ছে। তার পাশাপাশি সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষার্থী বিভাগের অন্যদের উসকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব করছে।’

শিক্ষার্থীদের মারমুখী হওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তানজিল বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, যদি আমার স্ত্রীর কিছু হয়, তাহলে মামলা করব—এর বাইরে কিছু না। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ফাঁসাচ্ছে। যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে সেটা সামনে আনুক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ১৫ কেজি ওজনের অজগর সাপ অবমুক্ত

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে। সাপটির দৈঘ্য ১০ ফুট ও ওজন ১৫ কেজি বলে জানান বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন।

রাঙামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে। সাপটির দৈঘ্য ১০ ফুট ও ওজন ১৫ কেজি বলে জানান বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় অজগর সাপটি কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন, বড়ইছড়ি পরীক্ষণ ফাঁড়ি কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, রাম পাহাড় বিট কর্মকর্তা মিঠু তালুকদার, শুকনাছড়ি বিট কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল নাঈম, সুনয়ন দেওয়ান, কাপ্তাই প্রেসক্লাব সভাপতি কবির হোসেন, স্থানীয় কবিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও বন বিভাগের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।  

বন বিভাগের রাঙামাটি সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, রাঙামাটি সদর কালিন্দপুর সড়কের ইন্দু বিকাশ তালুকদারের বাসার আঙিনায় আজ সকালে অজগর সাপটি জালে আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগকে খবর দেওয়া হলে স্থানীয় জনতার সহায়তায় অজগর সাপটি উদ্ধার করে কাপ্তাই বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির কর্মী হাকিম হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে মিলল থানা লুটের অস্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে আসামি ধরতে গিয়ে মিলল থানা লুটের অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে আসামি ধরতে গিয়ে মিলল থানা লুটের অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার অভিযানে গিয়ে পুলিশের খোয়া যাওয়া চায়নিজ রাইফেল ও একটি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরীহাট এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় রাইফেলের ৪৯টি গুলি (৭.৬২) ও ১৭টি শটগানের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

একই জায়গা থেকে রাউজানে বিএনপির কর্মী আব্দুল হাকিম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ৪টি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১৯টি পিস্তলের গুলি (৭.৬৫), ৭টি ম্যাগাজিনসহ মাদক ও নগদ প্রায় ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আব্দুল হাকিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের পর তাঁদের তথ্যে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘চায়নিজ রাইফেলটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। শটগানটি কাস্টমাইজড করা থাকায় একটু সন্দেহ হচ্ছে।

তবে শটগানটিও পুলিশের অস্ত্র হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। এই অস্ত্রটির বিষয়ে আমরা আরও ভালোভাবে যাচাই করে দেখছি।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘চায়নিজ রাইফেল ও শটগান রাউজানে ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযানে আমরা রাইফেলটি লোডেড অবস্থায় উদ্ধার করেছি।’

উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালায় জনতা এবং কিছু অসাধু লোক থানায় অগ্নিসংযোগসহ অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ২৩২টি অস্ত্র খোয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত