Ajker Patrika

নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

ইবি প্রতিনিধি
নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নির্মাণাধীন দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ করতে গিয়ে মো. ওবাইদুল রহমান (৪০) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাত ৯টার দিকে এ ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। নিহত ওবায়দুল রহমান পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার বাসিন্দা। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান মেগা প্রকল্পের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। এ সময় মাথায় আঘাত পান ওবাইদুল। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর মৃত্যু হয়। 

 ওবাইদুলের মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে রাত ৯টার দিকে বিক্ষোভে নামেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা নির্মাণকাজের টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই চলমান কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেন তাঁরা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় সহউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সী শহীদ উদ্দীন মো. তারেক উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনায় আন্দোলনকারীরা আট দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো, যেকোনো অবস্থায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পাসে নির্মাণ সামগ্রীর গাড়ির গতিনিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিহত শ্রমিকের পরিবারের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সকল উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকবে। এ সময় আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

এ নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সী শহীদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার ঠিকাদারি কোম্পানির। ওদের ইনস্যুরেন্স করা থাকে। ইনস্যুরেন্স থেকে নিহত শ্রমিকের পরিবার যেন ক্ষতিপূরণ পায়, সে ব্যবস্থা আমরা করে দেব। তবে নিরাপত্তার কোনো ত্রুটি ছিল না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত