জাহিদ হাসান, যশোর
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা। এই মোড় থেকে শহরের চারদিকে চারটি সড়ক বিভিন্ন দিকে গেছে। এই মোড়েই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসানো রয়েছে তিনটি সিসি ক্যামেরা। তবে তিনটিই নষ্ট। কোনোটির সংযোগের তারই ছেঁড়া, কোনোটি নিচের দিকে বাঁকানো। অথচ অপরাধপ্রবণতা কমাতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে ৯ বছর আগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে বসানো হয়েছিল ক্যামেরাগুলো।
স্থানীয়রা বলছেন, সঠিক পর্যবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে ক্যামেরাগুলো। এতে শহরে বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা। শুধু এই দড়াটানাই নয়; ২০১৭ সালে যশোর পৌরসভা ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপন করে ১৩০টি সিসি ক্যামেরা। সেগুলোর মধ্যে বর্তমানে সচল আছে মাত্র ৭০টি, বাকি ৬০টি ক্যামেরার মধ্যে ২০টির বেশি চুরি হয়েছে। আর অন্যগুলো অকেজো। জনস্বার্থে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরা কেন অচল হয়ে পড়ল, তার সুনির্দিষ্ট জবাব নেই পৌরসভা কিংবা প্রশাসনের কাছে। এদিকে অপরাধপ্রবণতা কমাতে এবং নজরদারি বাড়াতে শহরজুড়ে আরও বেশি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকেরা।
পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৭৬টি পয়েন্টে এই ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম শহরের সিভিল কোর্ট মোড়, দড়াটানা, চৌরাস্তা, রেলরোড, রেলস্টেশন, শহীদ মিনার, বকুলতলা, আরবপুর, পুলিশ লাইনস ও পৌর পার্ক। তবে সে সময় শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মণিহারে একটি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের জজকোর্ট মোড়, দড়াটানা এলাকা, এম কে রোডে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। এগুলোর কোনোটির তার বিচ্ছিন্ন, কোনোটির ক্যামেরা ভাঙা। আবার কোনো কোনো স্থানে তারের সঙ্গে ঝুলছে সিসি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরা অকেজো থাকায় অপরাধী শনাক্ত এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজে আসছে না। তাই চুরি, ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেও অনেক ক্ষেত্রে জড়িতরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ২০২১ সালে ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯০টি ক্যামেরা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় যশোর পৌরসভা। এরপর চার বছরে আর নতুন ক্যামেরা সংযোজন কিংবা মেরামত করা হয়নি। জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে চলতি মাসের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উঠে আসে হত্যা, চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রসঙ্গ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নষ্ট সিসি ক্যামেরাগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির সদস্যরাও।
পৌর প্রশাসক মো. রফিকুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। তবে যতটুকু জানি, পৌরসভার উদ্যোগে কিছু ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। যেগুলো জেলা পুলিশ পর্যবেক্ষণ করছে। তবে কতগুলো ক্যামেরা সচল আছে, সেটি আমি বলতে পারব না।’
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘পৌরসভার সিসি ক্যামেরাগুলো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে মনিটরিং করা হয়। তবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। এটি পুলিশের কৌশলগত অবস্থান। বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড বা অপরাধবিষয়ক কোনো ঘটনা ঘটলে আসামিদের ধরতেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।’
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা। এই মোড় থেকে শহরের চারদিকে চারটি সড়ক বিভিন্ন দিকে গেছে। এই মোড়েই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসানো রয়েছে তিনটি সিসি ক্যামেরা। তবে তিনটিই নষ্ট। কোনোটির সংযোগের তারই ছেঁড়া, কোনোটি নিচের দিকে বাঁকানো। অথচ অপরাধপ্রবণতা কমাতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে ৯ বছর আগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে বসানো হয়েছিল ক্যামেরাগুলো।
স্থানীয়রা বলছেন, সঠিক পর্যবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে ক্যামেরাগুলো। এতে শহরে বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা। শুধু এই দড়াটানাই নয়; ২০১৭ সালে যশোর পৌরসভা ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপন করে ১৩০টি সিসি ক্যামেরা। সেগুলোর মধ্যে বর্তমানে সচল আছে মাত্র ৭০টি, বাকি ৬০টি ক্যামেরার মধ্যে ২০টির বেশি চুরি হয়েছে। আর অন্যগুলো অকেজো। জনস্বার্থে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরা কেন অচল হয়ে পড়ল, তার সুনির্দিষ্ট জবাব নেই পৌরসভা কিংবা প্রশাসনের কাছে। এদিকে অপরাধপ্রবণতা কমাতে এবং নজরদারি বাড়াতে শহরজুড়ে আরও বেশি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকেরা।
পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৭৬টি পয়েন্টে এই ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম শহরের সিভিল কোর্ট মোড়, দড়াটানা, চৌরাস্তা, রেলরোড, রেলস্টেশন, শহীদ মিনার, বকুলতলা, আরবপুর, পুলিশ লাইনস ও পৌর পার্ক। তবে সে সময় শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মণিহারে একটি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের জজকোর্ট মোড়, দড়াটানা এলাকা, এম কে রোডে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। এগুলোর কোনোটির তার বিচ্ছিন্ন, কোনোটির ক্যামেরা ভাঙা। আবার কোনো কোনো স্থানে তারের সঙ্গে ঝুলছে সিসি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরা অকেজো থাকায় অপরাধী শনাক্ত এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজে আসছে না। তাই চুরি, ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেও অনেক ক্ষেত্রে জড়িতরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ২০২১ সালে ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯০টি ক্যামেরা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় যশোর পৌরসভা। এরপর চার বছরে আর নতুন ক্যামেরা সংযোজন কিংবা মেরামত করা হয়নি। জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে চলতি মাসের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উঠে আসে হত্যা, চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রসঙ্গ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নষ্ট সিসি ক্যামেরাগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির সদস্যরাও।
পৌর প্রশাসক মো. রফিকুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। তবে যতটুকু জানি, পৌরসভার উদ্যোগে কিছু ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। যেগুলো জেলা পুলিশ পর্যবেক্ষণ করছে। তবে কতগুলো ক্যামেরা সচল আছে, সেটি আমি বলতে পারব না।’
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘পৌরসভার সিসি ক্যামেরাগুলো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে মনিটরিং করা হয়। তবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। এটি পুলিশের কৌশলগত অবস্থান। বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড বা অপরাধবিষয়ক কোনো ঘটনা ঘটলে আসামিদের ধরতেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।’
এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে দলটির কয়েকজন নেতা বলতে থাকেন, ‘এসব নিয়ে নিউজ করা যাবে না। এতে দলের বদনাম হবে।’ ওই সময় তাঁদের সামনেই বাড়ির মালিক ফাতেমা আহমেদ বলতে থাকেন, তিনি চার মাসের ভাড়া পাবেন। তাঁকে ভাড়া দেওয়া হয়নি। ভাড়ার টাকা দিয়েই তিনি সংসার চালান। ভাড়া না পেয়ে বিপদে পড়েছেন।
৭ মিনিট আগেকক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর পাড় থেকে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চিংড়িজোনের চিলখালী কাটাবুনিয়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেআজ শনিবার ফরিদপুরে ‘মাদারস অব জুলাই’ অনুষ্ঠানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন শহরের পূর্ব খাবাসপুর এলাকার শামসু মোল্যার স্ত্রী মেঘলা বেগম। গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ফরিদপুরে নিহত হন শামসু। ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের ওপর হামলার চেষ্টার অভিযোগে এক ক্লিনিকের মালিককে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিরাজ খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে