পাটকেলঘাটা সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
জমি চাষের সঙ্গে গরু ও মহিষের সম্পর্ক সেই আদিকাল থেকে। আগে গ্রামে কৃষকের বড় পরিচয় ছিল—যাঁর বাড়িতে গরু, লাঙল ও জোয়াল তিনি কৃষক। সাধারণত কৃষিজমিতে গরু দিয়ে টানা লাঙলে জমি চাষ ও মই দিয়ে চাষের জমি সমান করে ফসল ফলানো হয়। আধুনিক যুগে এসে চাষের ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে ইঞ্জিনচালিত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর।
পাটকেলঘাটা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শাকদহ বিলে এক কৃষক আজিবর সরদার তাঁর ছেলেকে নিয়ে হালচাষের জন্য মই টানছেন।
কথা হয় সেই কৃষক আজিবর সরদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জমি চাষাবাদ করে ছয় সদস্যের পরিবারের সংসার চালাই। এলাকায় ইরি-বোরোর চাষ ছাড়া অন্য ফসল তেমন হয় না। সে কারণে হালের গরু পালন করা হয় না। আগে আমার হালের বলদ ছিল। কিন্তু সারা বছর গরু পালন করতে যে টাকা খরচ হয়, তা দিয়ে আমাদের মতো কৃষকের গরু পোষা সম্ভব না। তা ছাড়া এখন গোখাদ্যের অনেক দাম। হালের বলদ না থাকায় সকাল থেকে বাবা-ছেলে মিলে খেতে মই টানছি। এক বিঘা জমি গরু দিয়ে মই টানতে প্রায় ৫০০ টাকা খরচ হয়। আবার একখানা লাঙলের এক দিনের মজুরি এক হাজার থেকে পনেরো শ টাকা।’
এ বিষয়ে জুজখোলা গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইরি ধান চাষ করে আসছেন। এবারও তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এলাকায় হালের বলদ না থাকায় পরিবারের সদস্যদের সিয়ে নিজেই খেতের মই টানছেন।
তৈলকুপি গ্রামের কৃষক আব্দুস সবুর বলেন, ‘আগে হালচাষের জন্য প্রত্যেক কৃষকের ঘরে গরু, লাঙল ও মই থাকত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন গ্রামাঞ্চলে ফসল ফলানোর জন্য গরু টানা লাঙল ও মইয়ের পরিবর্তে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে গরুর টানা লাঙল, মই এখন পাটকেলঘাটায় তেমন একটা চোখে পড়ে না। পাটকেলঘাটা থেকে হালের বলদ প্রায় বিলুপ্তির পথে। সে কারণে নিজে ও ভাইদের সহযোগিতায় চলতি বোরো মৌসুমে গরুর পরিবর্তে মই টানছি।’
এ বিষয়ে তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় গরু-লাঙলের চাষ অনেকটা কমে গেছে। যে কারণে কৃষক বিকল্প পথে চাষাবাদ করছেন।
জমি চাষের সঙ্গে গরু ও মহিষের সম্পর্ক সেই আদিকাল থেকে। আগে গ্রামে কৃষকের বড় পরিচয় ছিল—যাঁর বাড়িতে গরু, লাঙল ও জোয়াল তিনি কৃষক। সাধারণত কৃষিজমিতে গরু দিয়ে টানা লাঙলে জমি চাষ ও মই দিয়ে চাষের জমি সমান করে ফসল ফলানো হয়। আধুনিক যুগে এসে চাষের ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে ইঞ্জিনচালিত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর।
পাটকেলঘাটা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শাকদহ বিলে এক কৃষক আজিবর সরদার তাঁর ছেলেকে নিয়ে হালচাষের জন্য মই টানছেন।
কথা হয় সেই কৃষক আজিবর সরদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জমি চাষাবাদ করে ছয় সদস্যের পরিবারের সংসার চালাই। এলাকায় ইরি-বোরোর চাষ ছাড়া অন্য ফসল তেমন হয় না। সে কারণে হালের গরু পালন করা হয় না। আগে আমার হালের বলদ ছিল। কিন্তু সারা বছর গরু পালন করতে যে টাকা খরচ হয়, তা দিয়ে আমাদের মতো কৃষকের গরু পোষা সম্ভব না। তা ছাড়া এখন গোখাদ্যের অনেক দাম। হালের বলদ না থাকায় সকাল থেকে বাবা-ছেলে মিলে খেতে মই টানছি। এক বিঘা জমি গরু দিয়ে মই টানতে প্রায় ৫০০ টাকা খরচ হয়। আবার একখানা লাঙলের এক দিনের মজুরি এক হাজার থেকে পনেরো শ টাকা।’
এ বিষয়ে জুজখোলা গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইরি ধান চাষ করে আসছেন। এবারও তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এলাকায় হালের বলদ না থাকায় পরিবারের সদস্যদের সিয়ে নিজেই খেতের মই টানছেন।
তৈলকুপি গ্রামের কৃষক আব্দুস সবুর বলেন, ‘আগে হালচাষের জন্য প্রত্যেক কৃষকের ঘরে গরু, লাঙল ও মই থাকত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন গ্রামাঞ্চলে ফসল ফলানোর জন্য গরু টানা লাঙল ও মইয়ের পরিবর্তে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে গরুর টানা লাঙল, মই এখন পাটকেলঘাটায় তেমন একটা চোখে পড়ে না। পাটকেলঘাটা থেকে হালের বলদ প্রায় বিলুপ্তির পথে। সে কারণে নিজে ও ভাইদের সহযোগিতায় চলতি বোরো মৌসুমে গরুর পরিবর্তে মই টানছি।’
এ বিষয়ে তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় গরু-লাঙলের চাষ অনেকটা কমে গেছে। যে কারণে কৃষক বিকল্প পথে চাষাবাদ করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে বজ্রপাতে কৃষকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (১১ মে) দুপুর ও বিকেলে রুটি এবং বনগজ এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন রুটি গ্রামের শেখ সেলিম মিয়া (৬০) এবং বনগজ এলাকার জমির খান (২২)।
১৪ মিনিট আগেকয়েক দিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতের বাংলা ভাষাভাষীদের বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে পুশ ইন করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মৌলভীবাজার সীমান্তে এমন ৭৪ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে।
১৬ মিনিট আগেরাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর
২০ মিনিট আগেচট্টগ্রামে একাধিক হত্যা মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়ে আবার পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট বারৈয়পাড়া একটি বাসা থেকে তামান্নাকে গ্রেপ্তার করে
৪১ মিনিট আগে