Ajker Patrika

করোনার টাকা আত্মসাৎ: খুলনার সিভিল সার্জন ওএসডি

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩, ১৯: ৪৪
করোনার টাকা আত্মসাৎ: খুলনার সিভিল সার্জন ওএসডি

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাঁকে ওএসডি করা হয়।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার ফির ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

প্রজ্ঞাপনে সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি এবং আইএইচটির অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের জন্য তাঁর চাকরি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে ন্যস্ত করার আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, অন্যথায় ষষ্ঠ কর্মদিবসে তিনি বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি বা স্ট্যান্ড রিলিজ মর্মে গণ্য হবেন। একই প্রজ্ঞাপনে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমানকে খুলনার নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে বদলি করা হয়।

দুদক জানায়, ২৫০ শয্যা খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হতো। তবে ল্যাবে যে পরিমাণ নমুনা পাঠানো হতো, তার চেয়ে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে টেস্ট ফি সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।

২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয় ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয় ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ ঘটনায় দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামিরা হলেন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী, ক্যাশিয়ার তপতী সরকার, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন এবং তৎকালীন দায়িত্ব পালন করা খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ। ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বর্তমানে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশ করে সরকারি রশিদ বইয়ের বাইরে নকল রশিদ বই ব্যবহার করে তাঁরা ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।

একই অভিযোগে অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে একজনকে শাস্তি দেওয়া হলেও বাকি পাঁচজনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মঞ্জুরুল মোর্শিদির মন্তব্য জানতে চেয়ে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তা ছাড়া অভিযুক্ত ডা. সুজাত আহমেদের মন্তব্য জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত