দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই দাকোপে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির চরম সংকট। ফলে বিশুদ্ধ খোলা পানি বিক্রির দোকানেও দেখা যাচ্ছে পানি কেনার হিড়িক। এতে অনেকেই বাধ্য হয়ে ডোবা-নালার পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে ভুগছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, তিনটি পৃথক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত সুন্দরবনের কোলঘেঁষা এই উপজেলা। এর চারপাশের নদীর পানি লবণাক্ত থাকায় খরা মৌসুমে সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এবারও একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের সর্বত্রই সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ৩৬ হাজার ৫৯৭টি পরিবারের প্রায় ২ লাখ মানুষ সুপেয় পানির জন্য হা-হুতাশ করছে। এমনকি চায়ের দোকান, খাবারের হোটেল, মিষ্টির দোকানে খরিদ্দারকে বিশুদ্ধ পানি দিতে না পেরে দোকানদারেরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। আবার চলতি রবি মৌসুমে এই অঞ্চলের প্রধান ফসল তরমুজখেতেও সেচ দিতে না পারায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন এলাকার হাজারো কৃষক।
এ ছাড়া এখানকার গভীর নলকূপের পাশাপাশি অগভীর নলকূপের অধিকাংশই অকেজো। আবার কোনো কোনো নলকূপের পানি লবণ, আর্সেনিক ও অতিরিক্ত আয়রন যুক্ত। আবার এই অঞ্চলে পর্যাপ্ত রেইন ওয়াটারও নেই। যে কারণে এলাকার মানুষের খাওয়ার পানির একমাত্র ব্যবস্থা হলো পুকুরের পানি ফিল্টার করে খাওয়া। কিন্তু অপ্রতুল পুকুরগুলোতে পানির স্বল্পতার কারণে প্রায় সব ফিল্টার বা পিএসএফ অকেজো হয়ে পড়েছে। এলাকার সচ্ছল ব্যক্তিরা বটিয়াঘাটা, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি কিনে জীবন ধারণ করছেন। আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে পুকুরের পানি পান করছে। ফলে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির তীব্র সংকটের কারণে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে খাওয়ার অনুপযোগী পানি খেয়ে জীবন ধারণ করছেন। এতে অনেকেই ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে ভুগছে।
গুনারী কালীবাড়ি এলাকার বিথিকা সরদার, কালি মণ্ডল, তৃপ্তি মণ্ডল, অঞ্জনা মণ্ডলসহ অনেকে জানান, প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরের একটি পুকুর থেকে অতি কষ্টে পানি এনে খেতে হচ্ছে। আর যাদের ভালো অবস্থা, টাকা-পয়সা আছে, তারা বাইরে থেকে ভালো পানি কিনে খাচ্ছেন।
চালনা বাজার লঞ্চঘাট এলাকার হোটেল মালিক রমেশ রায় বলেন, ‘পানির সংকটের কারণে খরিদ্দারদের পানি দিতে পারছি না। পুকুরের পানি খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় তা দিয়ে প্লেট ধোয়ার কাজ চলছে আর খরিদ্দারদের ৫০ পয়সা লিটার পানি কিনে খেতে দিতে হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হক নিজামী জানান, প্রধানত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। গত জানুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ছাড়া কয়েক শ মানুষ ভর্তিবিহীন সেবা নিচ্ছে।
এ বিষয় চালনা পৌর মেয়র সনৎ কুমার বিশ্বাস জানান, সুপেয় পানির সমস্যা নিরসনে একটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের ও পাইপলাইনের কাজ চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হতে আর কয়েক মাস সময় লাগবে। কাজ শেষ হলেই পৌর এলাকায় সুপেয় পানির সংকট অনেকটা নিরসন হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, এখানে পানির আধারের মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ১৬৯টি রেইন ওয়াটার হারভেটিং (ট্যাংক)। এর মধ্যে অকেজো ১৯৪টি। এ ছাড়া ২১টি কমিউনিটি রেইন ওয়াটারের কাজ চলমান রয়েছে। পিএসএফ ৬৮টির মধ্যে সোলার ১২টি। ৬৮৯টি অগভীর নলকূপের মধ্যে বিভিন্ন কারণে অকেজো ৫০০টি, গভীর ২৭টির মধ্যে চালু রয়েছে ২৩টি। ২০টি পুকুর ও ৯টি সোলার ডি সেলাইনেশন ইউনিট। তা ছাড়া কয়েকটি ভ্যাসেল টাইপ পিএসএফের কাজ চলমান রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরও জানান, পানির সংকট সমাধানের জন্য এই অঞ্চলে আরও অনেক রেইন ওয়াটার হারভেটিং (ট্যাংক) ও পুকুর খনন করা দরকার। এ ছাড়া ছোট-বড় ব্যক্তিগত পুকুর পুনরায় খনন করে পিএসএফ ও পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হবে।
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই দাকোপে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির চরম সংকট। ফলে বিশুদ্ধ খোলা পানি বিক্রির দোকানেও দেখা যাচ্ছে পানি কেনার হিড়িক। এতে অনেকেই বাধ্য হয়ে ডোবা-নালার পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে ভুগছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, তিনটি পৃথক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত সুন্দরবনের কোলঘেঁষা এই উপজেলা। এর চারপাশের নদীর পানি লবণাক্ত থাকায় খরা মৌসুমে সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এবারও একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের সর্বত্রই সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ৩৬ হাজার ৫৯৭টি পরিবারের প্রায় ২ লাখ মানুষ সুপেয় পানির জন্য হা-হুতাশ করছে। এমনকি চায়ের দোকান, খাবারের হোটেল, মিষ্টির দোকানে খরিদ্দারকে বিশুদ্ধ পানি দিতে না পেরে দোকানদারেরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। আবার চলতি রবি মৌসুমে এই অঞ্চলের প্রধান ফসল তরমুজখেতেও সেচ দিতে না পারায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন এলাকার হাজারো কৃষক।
এ ছাড়া এখানকার গভীর নলকূপের পাশাপাশি অগভীর নলকূপের অধিকাংশই অকেজো। আবার কোনো কোনো নলকূপের পানি লবণ, আর্সেনিক ও অতিরিক্ত আয়রন যুক্ত। আবার এই অঞ্চলে পর্যাপ্ত রেইন ওয়াটারও নেই। যে কারণে এলাকার মানুষের খাওয়ার পানির একমাত্র ব্যবস্থা হলো পুকুরের পানি ফিল্টার করে খাওয়া। কিন্তু অপ্রতুল পুকুরগুলোতে পানির স্বল্পতার কারণে প্রায় সব ফিল্টার বা পিএসএফ অকেজো হয়ে পড়েছে। এলাকার সচ্ছল ব্যক্তিরা বটিয়াঘাটা, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি কিনে জীবন ধারণ করছেন। আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে পুকুরের পানি পান করছে। ফলে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির তীব্র সংকটের কারণে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে খাওয়ার অনুপযোগী পানি খেয়ে জীবন ধারণ করছেন। এতে অনেকেই ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে ভুগছে।
গুনারী কালীবাড়ি এলাকার বিথিকা সরদার, কালি মণ্ডল, তৃপ্তি মণ্ডল, অঞ্জনা মণ্ডলসহ অনেকে জানান, প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরের একটি পুকুর থেকে অতি কষ্টে পানি এনে খেতে হচ্ছে। আর যাদের ভালো অবস্থা, টাকা-পয়সা আছে, তারা বাইরে থেকে ভালো পানি কিনে খাচ্ছেন।
চালনা বাজার লঞ্চঘাট এলাকার হোটেল মালিক রমেশ রায় বলেন, ‘পানির সংকটের কারণে খরিদ্দারদের পানি দিতে পারছি না। পুকুরের পানি খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় তা দিয়ে প্লেট ধোয়ার কাজ চলছে আর খরিদ্দারদের ৫০ পয়সা লিটার পানি কিনে খেতে দিতে হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হক নিজামী জানান, প্রধানত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। গত জানুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ছাড়া কয়েক শ মানুষ ভর্তিবিহীন সেবা নিচ্ছে।
এ বিষয় চালনা পৌর মেয়র সনৎ কুমার বিশ্বাস জানান, সুপেয় পানির সমস্যা নিরসনে একটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের ও পাইপলাইনের কাজ চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হতে আর কয়েক মাস সময় লাগবে। কাজ শেষ হলেই পৌর এলাকায় সুপেয় পানির সংকট অনেকটা নিরসন হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, এখানে পানির আধারের মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ১৬৯টি রেইন ওয়াটার হারভেটিং (ট্যাংক)। এর মধ্যে অকেজো ১৯৪টি। এ ছাড়া ২১টি কমিউনিটি রেইন ওয়াটারের কাজ চলমান রয়েছে। পিএসএফ ৬৮টির মধ্যে সোলার ১২টি। ৬৮৯টি অগভীর নলকূপের মধ্যে বিভিন্ন কারণে অকেজো ৫০০টি, গভীর ২৭টির মধ্যে চালু রয়েছে ২৩টি। ২০টি পুকুর ও ৯টি সোলার ডি সেলাইনেশন ইউনিট। তা ছাড়া কয়েকটি ভ্যাসেল টাইপ পিএসএফের কাজ চলমান রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরও জানান, পানির সংকট সমাধানের জন্য এই অঞ্চলে আরও অনেক রেইন ওয়াটার হারভেটিং (ট্যাংক) ও পুকুর খনন করা দরকার। এ ছাড়া ছোট-বড় ব্যক্তিগত পুকুর পুনরায় খনন করে পিএসএফ ও পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হবে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
৯ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডো সৃষ্টি হয়ে পানি আকাশে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া...
১ ঘণ্টা আগে২০০৭ সালে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তাঁর স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাঁদের খালাস দেন। পরবর্তীতে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল কর
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের এক ইমামকে গত ২০ এপ্রিল সকালে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ইমামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে ওই ইমামের মৃত্যু হয়। ইমামের এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত...
১ ঘণ্টা আগে