খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা ওয়াসা কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম আব্দুল গফফার। তিনি সংস্থাটিতে নকশাকারক পদে চাকরি করলেও নিয়মিত অফিস করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে; বরং ব্যস্ত থাকেন আউটসোর্সিংয়ে কর্মচারী নিয়োগ, মাস্টাররোল কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, বদলি, আবাসন বরাদ্দ ও টেন্ডারবাজির মতো নানা কাজের তদবিরে।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, গফফারের নিয়োগ হয়েছিল পাম্প অপারেটর পদে। এরপর চাকরি নকশাকারক পদে আত্তীকরণ হলেও তিনি পাম্পচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি প্রভাব খাটিয়ে পাম্প থেকে প্রধান কার্যালয়ে চলে আসেন। এর আগে ১১ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব ব্যবহার করে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন।
অভিযোগ রয়েছে, কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা হওয়ার পর থেকে গফফার নিয়মিত অফিস করেন না। হাজিরা খাতা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, তিনি গত ২৬ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত সেখানে স্বাক্ষর করেননি। অফিসে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন ওয়াসার কর্মকর্তা (অর্থ ও প্রশাসন) ঝুমুর বালা বিশ্বাস; কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে হামলার মিথ্যা মামলা করে গফফার মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওয়াসার কর্মচারী ইমামুল ইসলাম, কাজী মো. ইলিয়াস হোসেন, সরদার সাইফুল ইসলাম ও শহিদুল্লাহ বাবু।
গফফারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে কর্মচারী ইউনিয়ন থেকে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন গফফার। পরে ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা নিষ্পত্তি করেন। তিনি প্রভাব খাটিয়ে সম্প্রতি কিছু লোক নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি কতিপয় কর্মচারীকে প্রায় ৬ লাখ টাকার কাজের টেন্ডার পাইয়ে দেন। ইউনিয়নের হিসাব দাখিল করার কথা থাকলেও তিনি দেন না।
মুকুল বলেন, গফফারের বিরুদ্ধে ওয়াসায় জুতামিছিল করেছেন সাধারণ কর্মচারীরা। বর্তমানে ইউনিয়নের যে অবস্থা, তাতে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার কথা হলে অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন গফফার। তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। ওয়াসার চারটি অফিস রয়েছে। সেসব অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখতে হয়। এ জন্য মাঝেমধ্যে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে পারি না। এটা কোনো বিষয় নয়। আজ (সোমবার) দুপুরে না খেয়ে সচিব স্যারের সঙ্গে কাজ করছি। আপনি এসে দেখে যেতে পারেন।’
যোগাযোগ করা হলে খুলনা ওয়াসার নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সায়েদ মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘আমি তিন দিন আগে দায়িত্ব পেয়েছি। এখনো অফিসে যাইনি। আজ (সোমবার) বিকেলে অফিসে গিয়ে বিষয়গুলোর খোঁজ নেব। অফিসে কোনো অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি দেখছি।’
আরো খবর পড়ুন:
খুলনা ওয়াসা কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম আব্দুল গফফার। তিনি সংস্থাটিতে নকশাকারক পদে চাকরি করলেও নিয়মিত অফিস করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে; বরং ব্যস্ত থাকেন আউটসোর্সিংয়ে কর্মচারী নিয়োগ, মাস্টাররোল কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, বদলি, আবাসন বরাদ্দ ও টেন্ডারবাজির মতো নানা কাজের তদবিরে।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, গফফারের নিয়োগ হয়েছিল পাম্প অপারেটর পদে। এরপর চাকরি নকশাকারক পদে আত্তীকরণ হলেও তিনি পাম্পচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি প্রভাব খাটিয়ে পাম্প থেকে প্রধান কার্যালয়ে চলে আসেন। এর আগে ১১ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব ব্যবহার করে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন।
অভিযোগ রয়েছে, কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা হওয়ার পর থেকে গফফার নিয়মিত অফিস করেন না। হাজিরা খাতা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, তিনি গত ২৬ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত সেখানে স্বাক্ষর করেননি। অফিসে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন ওয়াসার কর্মকর্তা (অর্থ ও প্রশাসন) ঝুমুর বালা বিশ্বাস; কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে হামলার মিথ্যা মামলা করে গফফার মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওয়াসার কর্মচারী ইমামুল ইসলাম, কাজী মো. ইলিয়াস হোসেন, সরদার সাইফুল ইসলাম ও শহিদুল্লাহ বাবু।
গফফারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে কর্মচারী ইউনিয়ন থেকে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন গফফার। পরে ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা নিষ্পত্তি করেন। তিনি প্রভাব খাটিয়ে সম্প্রতি কিছু লোক নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি কতিপয় কর্মচারীকে প্রায় ৬ লাখ টাকার কাজের টেন্ডার পাইয়ে দেন। ইউনিয়নের হিসাব দাখিল করার কথা থাকলেও তিনি দেন না।
মুকুল বলেন, গফফারের বিরুদ্ধে ওয়াসায় জুতামিছিল করেছেন সাধারণ কর্মচারীরা। বর্তমানে ইউনিয়নের যে অবস্থা, তাতে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার কথা হলে অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন গফফার। তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। ওয়াসার চারটি অফিস রয়েছে। সেসব অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখতে হয়। এ জন্য মাঝেমধ্যে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে পারি না। এটা কোনো বিষয় নয়। আজ (সোমবার) দুপুরে না খেয়ে সচিব স্যারের সঙ্গে কাজ করছি। আপনি এসে দেখে যেতে পারেন।’
যোগাযোগ করা হলে খুলনা ওয়াসার নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সায়েদ মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘আমি তিন দিন আগে দায়িত্ব পেয়েছি। এখনো অফিসে যাইনি। আজ (সোমবার) বিকেলে অফিসে গিয়ে বিষয়গুলোর খোঁজ নেব। অফিসে কোনো অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি দেখছি।’
আরো খবর পড়ুন:
বগুড়ার শাজাহানপুরে মামলা তুলে না নেওয়া ও চাঁদা না দেওয়ায় হাতুড়িপেটায় আহত আল আমিন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
৪ মিনিট আগেনাটোর চিনিকলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটেছে। রাতভর কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ লুট করেছে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি ডাকাতদল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চিনিকলের নিরাপত্তা প্রহরীদের বরাত দিয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্র
১২ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছে এক স্বামী। স্ত্রীকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে তালাবদ্ধ করে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। স্থানীয়রা বসতবাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধূর শরীর। গতকাল শনিবার দিবাগ
৪২ মিনিট আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় মোসা. আইমিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিন্না গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আইমিন একই গ্রামের ফাইজুল হক ও আখতারুননাহারের মেয়ে। তিনি মো. রাজু মাঝির স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগে